ঢাকা, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২
ভুয়া সংবাদ প্রত্যাহারের শীর্ষে প্রথম আলো, কালবেলা ও ইত্তেফাক

দেশের গণমাধ্যমে ভুয়া (ফেক) সংবাদ প্রকাশ এবং পরবর্তীতে তা প্রত্যাহার করে নেওয়ার প্রবণতা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। এই প্রবণতায় শীর্ষে রয়েছে প্রথম আলো, এরপর দৈনিক কালবেলা এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে দৈনিক ইত্তেফাক।
আজ শনিবার সকালে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) আয়োজিত এক সেমিনারে 'বাংলাদেশের গণমাধ্যমের সাম্প্রতিক অপতথ্যের গতি-প্রকৃতি' শীর্ষক এক গবেষণা প্রবন্ধে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরা হয়।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ (ইবিএলআইসিটি) প্রকল্পের পরামর্শক মামুন অর রশীদ তার গবেষণায় জানান, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর দেশের গণমাধ্যমে ভুয়া খবর প্রকাশের প্রবণতা এতটাই বেড়েছে যে, মূলধারার শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমগুলোতেও এর ছড়াছড়ি।
গবেষণা পত্রটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গণমাধ্যমগুলো সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ খবর প্রকাশের চেয়ে 'ভাইরাল' হওয়ার দিকেই বেশি মনোযোগ দিচ্ছে, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাণিজ্যিক ও আর্থিক লাভের জন্য করা হচ্ছে।
ভুয়া খবর প্রকাশের পর নিউজ প্রত্যাহারের তালিকায় প্রথম তিনটির পর অন্যান্য গণমাধ্যমগুলোর মধ্যে রয়েছে যথাক্রমে দৈনিক যুগান্তর, ডেইলি স্টার, ঢাকা পোস্ট, বাংলা ট্রিবিউন, বিডিনিউজ, দৈনিক কালের কণ্ঠ, যমুনা টিভি, বিবিসি বাংলা, চ্যানেল২৪বিডি, সময় নিউজ, জাগো নিউজ২৪, বাংলানিউজ২৪, দৈনিক জনকণ্ঠ, ঢাকা ট্রিবিউন, টিবিএস, দৈনিক দেশ রূপান্তর, দৈনিক ইনকিলাব, আইটিভি (ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি), সময়ের কণ্ঠস্বর, একাত্তর টিভি, এনটিভি ওয়েব, যায়যায়দিন, আমাদের সময় এবং বিডি প্রতিদিন।
গবেষক মামুন অর রশীদ জানান, তার এই নিজস্ব গবেষণাকর্মটি গত জানুয়ারি থেকে চলতি জুন মাস নাগাদ পরিচালিত হয়েছে এবং জার্নালে প্রকাশের জন্য আরও তথ্য হালনাগাদ করা হচ্ছে। গবেষণায় ফ্যাক্ট-চেক সাইট থেকে নেওয়া ছয় মাসের স্ক্র্যাপ ডেটা এবং মূলধারার গণমাধ্যমের ৬৯৪টি পৃথক ডেডলিংকসহ ৫টি পদ্ধতির কথা উল্লেখ করা হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহম্মদ তৈয়্যব আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পরিমাণ মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, বানোয়াট ও চাঞ্চল্যকর তথ্য মানুষ বেশি পছন্দ করে, তাই অনেক গণমাধ্যম আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে বানোয়াট তথ্য ছড়ায়।
ফয়েজ আহম্মদ তৈয়্যব আরও বলেন, বর্তমানে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে সত্যের চেয়ে ভাইরাল হওয়ার দিকেই মনোযোগ বেশি। এই চিন্তাধারা থেকে বের হওয়া না গেলে দেশের গণমাধ্যমগুলো বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে এবং গোটা জাতি সংকটের মধ্যে পড়বে। তিনি পরামর্শ দেন, মূলধারার গণমাধ্যম বিশ্বাসযোগ্যতা হারালে সেই জায়গাটা কনটেন্ট মেকার বা ব্লগাররা বিকল্প গণমাধ্যম হিসেবে দখল করে নেবেন। এমন সংকট মোকাবেলায় গণমাধ্যম মালিক ও ম্যানেজমেন্টকে ডিজিটাল ভেরিফিকেশন এবং ফ্যাক্ট চেকিংয়ে বিনিয়োগের পরামর্শ দেন তিনি।
পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন মামুন অর রশীদ। প্রবন্ধের ওপর মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন আমার দেশ পত্রিকার চিফ রিপোর্টার বাছির জামাল, প্রথমা প্রকাশনার প্রধান সমন্বয়কারী মশিউল আলম, একাত্তর টিভির সিওও শফিক আহমেদ, যুগান্তরের নগর সম্পাদক মিজান মালিক, যমুনা টিভির মাহফুজ মিশু প্রমুখ।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- সরাসরি পারমাণবিক অ'স্ত্র পাবে ইরান!
- পাঁচ কোম্পানিতে বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার
- যেসব শর্তে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলো ইরান
- খোঁজ মিলছে না আয়াতুল্লাহ খামেনির!
- ইরানে বড় ধ্বংসলীল : ৬ বিমানবন্দরে একযোগে হামলা
- ভিডিও ফাঁস করার বিষয়ে মুখ খুলেছেন শরীয়তপুরের সেই ডিসি
- হা'মলার পর হন্যে হয়ে ইরানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের
- ঢাবির হলে প্রকাশ্যে ধূমপানে ২০০ টাকা জরিমানার ঘোষণা
- মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা; উত্তেজনা তুঙ্গে
- জবাব দিতে শুরু করেছে ইরান
- পর্যাপ্ত রিজার্ভ থাকা সত্বেও ফেসভ্যালুর নিচে ১৬ ব্যাংকের শেয়ার
- মুন্নু সিরামিকের বিনিয়োগকারীদের জন্য দারুণ সুখবর
- প্রাতিষ্ঠানিকদের দখলে ৮ কোম্পানি: ৪০ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ
- সরকারি চাকরিতে আসছে অবসরের নতুন নিয়ম
- ব্যারিস্টার ফুয়াদের বিরুদ্ধে নিলা ইসরাফিলের বিস্ফোরক অভিযোগ