ঢাকা, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২

তেহরানে বিজয়ের উল্লাস

ডুয়া নিউজ- আন্তর্জাতিক
২০২৫ জুন ২৪ ২১:১০:৩০
তেহরানে বিজয়ের উল্লাস

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়ার পর ইরানে ছড়িয়ে পড়েছে বিজয়ের আমেজ। রাজপথ থেকে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম—সর্বত্রই ‘ঐতিহাসিক জয়’ উদ্‌যাপনের পরিবেশ বিরাজ করছে।

ইরানের শীর্ষ নেতাদের ভাষ্যে, এই যুদ্ধবিরতি কেবল সামরিক সাফল্য নয়, বরং দেশটির আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরাশক্তি হিসেবে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করার প্রমাণ।

দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেজা আরেফ যুদ্ধবিরতিকে ‘পশ্চিমাদের ঔদ্ধত্যের পতন’ আখ্যা দিয়ে বলেন, “আজ বিশ্বের পূর্ব থেকে পশ্চিম—সবাই ইরানকে ভিন্ন চোখে দেখছে।” আর সংসদ স্পিকার গালিবাফের উপদেষ্টা মেহদি মোহাম্মাদি এটিকে ‘এক নতুন যুগের সূচনা’ হিসেবে উল্লেখ করেন।

ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার মুখপাত্র বেহরুজ কামালভান্দি রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারে বলেন, “আমাদের পারমাণবিক কর্মসূচিকে কেউ থামাতে পারবে না। আমাদের অবস্থান দৃঢ় এবং অচল।”

মঙ্গলবার (২৪ জুন) প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে ঘোষণা দেন, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তবে তার আগেই ইরান বেশ কয়েকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের দিকে ছোড়ে, যাতে অন্তত চারজন নিহত হয়।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হলেও, ইরান কৌশলগতভাবে এটিকে ‘বিজয়’ হিসেবে তুলে ধরছে—দেশের অভ্যন্তরে জনমত নিজেদের পক্ষে আনতে এবং আঞ্চলিক প্রভাব আরও জোরদার করতে।

তেহরানসহ বিভিন্ন শহরে বিজয় মিছিল, জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জনসমাবেশের মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির এই মুহূর্তকে উদ্‌যাপন করছে সাধারণ জনগণ। অনেকের মতে, এ উদ্‌যাপন কেবল সামরিক অর্জনের নয়—বরং জাতীয়তাবাদী আবেগ এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা রক্ষার একটি কৌশলও বটে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত