ঢাকা, শনিবার, ২ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি: ১ লাখের বেশি শিক্ষক নিয়োগ

ডুয়া নিউজ- চাকরি
২০২৫ জুন ১৬ ১৮:৩০:১৪
৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি: ১ লাখের বেশি শিক্ষক নিয়োগ

দেশের এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংকট মোকাবিলায় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) ১ লাখ ৮২২ শিক্ষক নিয়োগে ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আগামী ২২ জুন থেকে শুরু হবে আবেদন গ্রহণ, যা চলবে ১০ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত এবং আবেদন ফি জমা দেওয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ জুলাই পর্যন্ত।

সোমবার (১৬ জুন) এই গণবিজ্ঞপ্তিটি এনটিআরসিএ তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে। এতে বলা হয়েছে, দেশের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট ১ লাখ ৮২২টি এমপিওভুক্ত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে স্কুল ও কলেজে ৪৬ হাজার ২১১টি, মাদ্রাসায় ৫৩ হাজার ৫০১টি, এবং কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানে ১ হাজার ১১০টি পদ রয়েছে।

বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে এনটিআরসিএ’র ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের যোগ্যতা নির্ধারণে বলা হয়েছে, প্রার্থীর বয়স ২০২৫ সালের ৪ জুন তারিখে সর্বোচ্চ ৩৫ বছর হতে হবে যেদিন ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয়েছে। একই সঙ্গে, নিবন্ধন সনদের মেয়াদও ঐ তারিখ থেকে তিন বছরের মধ্যে থাকতে হবে। বয়স ও সনদের মেয়াদ সংক্রান্ত শর্ত পূরণ না হলে আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।

আগ্রহী প্রার্থীরা এনটিআরসিএ ও টেলিটকের নির্ধারিত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন ফি ১ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা পরিশোধ না করলে আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে।

প্রতিটি প্রার্থী সর্বোচ্চ ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পছন্দক্রম অনুযায়ী বেছে নিতে পারবেন। তবে ইচ্ছা থাকলে পছন্দক্রমের বাইরে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পেতে আগ্রহ প্রকাশের সুযোগও রাখা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে কড়াভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, আবেদনপত্রে মিথ্যা তথ্য প্রদান বা তার ভিত্তিতে সুপারিশপ্রাপ্ত হলে প্রার্থীর নিয়োগ বাতিল করা হবে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ছাড়া, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যদি সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীকে নিয়োগ না দেয়, তবে জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী সেই প্রতিষ্ঠানের প্রধানের এমপিও স্থগিত বা বাতিল করা হবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডিও বাতিল হতে পারে।

এনটিআরসিএ জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠান প্রধানদের দাখিল করা শূন্যপদের তথ্য উপজেলা ও জেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে। ফলে এসব তথ্যের ভুলের জন্য এনটিআরসিএ দায়ী থাকবে না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত