ঢাকা, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২
যুদ্ধ আতঙ্কে আদানির শেয়ার: বিনিয়োগ ঝুঁকিতে শত শত কোটি ডলার

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার সামরিক উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানির শত শত কোটি ডলারের বিনিয়োগ বড় ঝুঁকিতে পড়েছে। বিশেষ করে ইসরায়েলের হাইফা বন্দর এবং প্রতিরক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে আদানি গ্রুপের বিনিয়োগ সরাসরি ঝুঁকিতে পড়েছে।
২০২৩ সালে আদানি পোর্টস ১ দশমিক ২ বিলিয়ন (১২০ কোটি) ডলারে ইসরায়েলের গ্যাদত গ্রুপের সঙ্গে যৌথভাবে হাইফা বন্দরের ৭০ শতাংশ মালিকানা নেয়। বন্দরটি আদানি পোর্টসের বাৎসরিক কার্গোর প্রায় তিন শতাংশ বহন করে এবং ইসরায়েলের আমদানি-রপ্তানিতে কৌশলগতভাবে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তবে ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই বন্দর বড় ধরেনের ঝুঁকির মুখে পড়েছে। পুরো অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়ায় ভূমধ্যসাগরীয় বাণিজ্যপথে বিঘ্ন ঘটতে পারে। এর ফলে পণ্য পরিবহন বিলম্বিত হতে পারে এবং শিপিং রুট পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে, যা আদানির বিনিয়োগকে প্রভাবিত করবে।
আদানি এন্টারপ্রাইজ ২০১৮ সালে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান এলবিট সিস্টেমসের সঙ্গে যৌথভাবে হায়দরাবাদে ড্রোন কারখানা স্থাপন করে। এই কারখানায় তৈরি হার্মিস ৯০০ ড্রোন বর্তমানে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর (আইডিএফ) একটি প্রধান অস্ত্র। এটি ইসরায়েলের বাইরে একমাত্র নির্মাণকেন্দ্র।
কিন্তু যুদ্ধ বেড়ে গেলে এই ড্রোনের চাহিদা বাড়ার সম্ভাবনা থাকলেও এতে আদানি গ্রুপকে নতুন রাজনৈতিক ও নৈতিক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হতে পারে। কারণ তাদের তৈরি অস্ত্র একটি সক্রিয় সংঘাতে ব্যবহৃত হচ্ছে।
আদানি গ্রুপ ইসরায়েলের টাওয়ার সেমিকন্ডাক্টরের সঙ্গে যৌথভাবে ১০ বিলিয়ন (এক হাজার কোটি) ডলারের একটি সেমিকন্ডাক্টর প্রকল্পের পরিকল্পনা করেছিল। তবে এপ্রিল মাসে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রকল্পটি আপাতত স্থগিত রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর পেছনে বাজারের অনিশ্চয়তা ও ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা কাজ করছে, যা এই ধরনের দীর্ঘমেয়াদী ও উচ্চ প্রযুক্তির বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ঝুঁকি তৈরি করছে।
যদিও হাইফা বন্দর আদানি পোর্টসের জন্য বড় রাজস্ব উৎস নয়, তবু এর কৌশলগত গুরুত্ব বিশাল। যুদ্ধের ঝুঁকিতে এই স্থাপনার ভবিষ্যৎ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে বাজারে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। আদানি পোর্টসের শেয়ারের দর প্রায় ৩ দশমিক ২ শতাংশ এবং আদানি এন্টারপ্রাইজেসের শেয়ারের দর ২ দশমিক ৮ শতাংশ কমে গেছে। শেয়ারগুলোর এমন পতন ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের সরাসরি প্রভাব হিসেবে দেখা হচ্ছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ: এক কোম্পানির শেয়ার কিনলেন উদ্যোক্তারা
- শেয়ারবাজারে বিস্ময়: এক লাখ টাকার শেয়ার ৮০ কোটি!
- বিনিয়োগকারীদের সর্বনাশ করেছে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানি
- ডিভিডেন্ডের উপর উচ্চ কর: শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ
- বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে দ্যুতি ছড়াচ্ছে ১৩ ‘বনেদি’ কোম্পানি
- মুনাফা থেকে লোকসানে তথ্য প্রযুক্তির দুই কোম্পানি
- শেয়ারবাজারের ১০ ব্যাংকে আমানত বেড়েছে ৩২ হাজার কোটি টাকা
- মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত শেয়ারবাজারের ১৩ ব্যাংকের
- বড় আন্দোলনে নামছে ৩ 'দল'
- সত্যিই কি স্ট্রোক করেছেন মির্জা ফখরুল? যা জানা গেল
- ডিভিডেন্ড বেড়েছে শেয়ারবাজারের সাত ব্যাংকের
- মূলধনের বেশি রিজার্ভ জ্বালানি খাতের ১৪ কোম্পানির
- ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃ'ত্যু ৬
- মুনাফা বেড়েছে ১৮ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির
- শেয়ারবাজারে হাজার কোটির ক্লাবে ব্যাংকবহির্ভূত ৬ কোম্পানি