ঢাকা, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
বিশ্ববাজারে আরও কমল সোনার দাম

বিশ্ববাজারে চলমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে সোনার দামে বড় ধরনের পতন দেখা দিয়েছে। মার্কিন-চীন বাণিজ্য সংক্রান্ত ইতিবাচক আলোচনা এবং সুদের হার নিয়ে জল্পনা বাজারে স্বর্ণের চাহিদাকে প্রভাবিত করছে।
মঙ্গলবার (১০ জুন) দুবাইয়ের বাজারে ২৪ ক্যারেট সোনা গ্রামপ্রতি ৩৯৮.৫০ দিরহামে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া ২২ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট ও ১৮ ক্যারেট সোনার দাম যথাক্রমে ৩৬৯, ৩৫৪ ও ৩০৩ দিরহাম নির্ধারণ করা হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৩,৩০৮.০৫ ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা গতকালের তুলনায় ০.৭৭% কম।
বিশ্লেষকদের মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাকরির বাজার, সুদের হার নিয়ে রাজনৈতিক চাপ এবং ফেডারেল রিজার্ভের নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্তের কারণে সোনার বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। গত শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের সমালোচনা করে বলেন, "সুদের হার কমপক্ষে ১% কমানো উচিত ছিল।" তার এই মন্তব্য বাজারে নতুন অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।
বাজার বিশেষজ্ঞ বেলবারকা জানান, ফেড সাধারণত রাজনৈতিক চাপ উপেক্ষা করে, কিন্তু এবার বিনিয়োগকারীরা ভাবছেন, ফেড কতটা স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। এই অনিশ্চয়তা স্বর্ণকে একটি 'সেফ হেভেন' বা নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
তিনি আরও যোগ করেন, বর্তমানে সোনার দাম ওঠানামার মধ্যে আছে। শক্তিশালী অর্থনৈতিক ডেটা সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা কমালেও, অনেকেই এখনও ফেডের নরম নীতির দিকেই তাকিয়ে আছেন। আজ কোনো বড় অর্থনৈতিক তথ্য না আসায় বাজারের মনোভাবই মূল নিয়ামক।
বিশ্লেষকরা সতর্ক করে দিয়েছেন, যদি মার্কিন-চীন বাণিজ্য উত্তেজনা বাড়ে বা ট্রাম্পের বক্তব্যে বাজার অস্থির হয়, তাহলে সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৩,৩৫০ ডলার পর্যন্ত উঠতে পারে। অন্যদিকে, ফেডারেল রিজার্ভ কঠোর নীতি ঘোষণা করলে দাম ৩,৩০০ ডলারের কাছাকাছি স্থিতিশীল থাকতে পারে।
সোনার বাজার এখন বিশ্ব অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতির ওপর সরাসরি নির্ভরশীল। বিনিয়োগকারীদের জন্য সতর্ক পর্যবেক্ষণ ও সঠিক কৌশল গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ: এক কোম্পানির শেয়ার কিনলেন উদ্যোক্তারা
- শেয়ারবাজারে বিস্ময়: এক লাখ টাকার শেয়ার ৮০ কোটি!
- বিনিয়োগকারীদের সর্বনাশ করেছে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানি
- বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে দ্যুতি ছড়াচ্ছে ১৩ ‘বনেদি’ কোম্পানি
- মুনাফা থেকে লোকসানে তথ্য প্রযুক্তির দুই কোম্পানি
- ডিভিডেন্ডের উপর উচ্চ কর: শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ
- শেয়ারবাজারের ১০ ব্যাংকে আমানত বেড়েছে ৩২ হাজার কোটি টাকা
- বড় আন্দোলনে নামছে ৩ 'দল'
- সত্যিই কি স্ট্রোক করেছেন মির্জা ফখরুল? যা জানা গেল
- ডিভিডেন্ড বেড়েছে শেয়ারবাজারের সাত ব্যাংকের
- ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃ'ত্যু ৬
- ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ওষুধ খাতের ১৩ কোম্পানির
- ফেসবুক কমেন্টকে কেন্দ্র করে ঢাবি ছাত্রের আ-ত্ম-হ-ত্যা
- মূলধনের বেশি রিজার্ভ জ্বালানি খাতের ১৪ কোম্পানির
- মুনাফা বেড়েছে ১৮ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির