ঢাকা, শনিবার, ৭ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ভোটের সময় নিয়ে তিন ‘গোপন’ ফ্যাক্টর প্রকাশ্যে

ডুয়া নিউজ- জাতীয়
২০২৫ জুন ০৫ ১৫:২৭:২২
ভোটের সময় নিয়ে তিন ‘গোপন’ ফ্যাক্টর প্রকাশ্যে

বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানালেও অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থানে এসেছে পরিবর্তন। শুরুতে ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত সময়সীমার কথা বলা হলেও এখন দায়িত্বশীলরা নির্দিষ্ট কোনো সময় উল্লেখ করছেন না। বরং বলা হচ্ছে ২০২৫ সালের জুনের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে নির্দিষ্ট দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

সরকার সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ভোটের সময় নির্ধারণে তিনটি মূল বিষয় বিবেচনায় রাখা হয়েছে:

১. রমজান মাস

২. মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা

৩. উচ্চমাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষা

এই তিনটি ইভেন্ট যাতে কোনো বিঘ্ন ছাড়াই সম্পন্ন হয় সেজন্য ভোট আয়োজনের সময় নির্ধারণে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। ফলে সম্ভাব্য সময় হতে পারে রমজানের আগে বা পরে।

বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের অভিযোগ অন্তর্বর্তী সরকারের মূল লক্ষ্য ছিল রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় সংস্কার, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রস্তুতি—কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের দশ মাস পেরিয়ে গেলেও উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। এতে নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “রোডম্যাপ ঘোষণা না করে সরকার যে সময়ক্ষেপণ করছে তা জনগণের আস্থায় প্রভাব ফেলছে।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে এখনো কার্যকর কোনো সংলাপ শুরু না হওয়ায় রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশের রাজনীতিতে আলোচনা-ভিত্তিক সমাধানের সংস্কৃতি দুর্বল। বর্তমান পরিস্থিতিও সেই ধারার বাইরে নয়।”

বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা দীর্ঘায়িত হলে নির্বাচন ঘিরে অস্থিরতা আরও তীব্র হতে পারে যা দেশের সার্বিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত