ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
টোকিওতে নির্বাচন নিয়ে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা
.jpg)
আগামী বছরের জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ বুধবার (২৮ মে) ৪ দিনের জাপান সফরের প্রথম দিনে টোকিওর ইম্পেরিয়াল হোটেলে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী তারো আসোর সঙ্গে সাক্ষাতে এ অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গৃহীত সংস্কার উদ্যোগগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যেকোনো পরিস্থিতিতে আগামী বছরের জুনের মধ্যে বাংলাদেশে একটি সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।’
নিক্কেই ফোরাম ফর এশিয়ায় অংশগ্রহণ এবং জাপানি নেতাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা বুধবার টোকিও পৌঁছান।
জাপান-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ লিগের (জেবিপিএফএল) বর্তমান সভাপতি ও জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী তারো আসো ড. ইউনূসকে বাংলাদেশকে একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক কাঠামোর পথে এগিয়ে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য সময়মতো সাধারণ নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
এ সময় ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে- সংস্কার, ছাত্র-জনতার খুনিদের বিচার এবং সাধারণ নির্বাচন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি এবং বৈদেশিক ঋণ পরিশোধসহ অর্থনৈতিক খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।”
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “পূর্ববর্তী সরকার আমাদের দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে, তরুণদের এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে বাধ্য করেছে। যে ভয়াবহ বাজে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তা ঠিক করার জন্য তরুণরা আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। জাপান গত দশ মাসে আমাদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দিয়েছে। আমি জাপানকে এই সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। এক অর্থে ধন্যবাদ জানানোর জন্যই এবারের এই সফর।”
অধ্যাপক ইউনূস জেবিপিএফএল-এর সভাপতি তারো আসোকে চলমান সংস্কার প্রক্রিয়াগুলো প্রত্যক্ষ করার জন্য বাংলাদেশ সফরে আসার আমন্ত্রণ জানান।
বৈঠকে অংশ নেওয়া জাপানি আইনপ্রণেতারা জানান, “দু’দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষর বাংলাদেশে আরও জাপানি বিনিয়োগ আকর্ষণের ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।”
আগামী আগস্টের মধ্যে আলোচনা শেষ করে সেপ্টেম্বরেই বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট (ইপিএ) স্বাক্ষর হবে বলে প্রত্যাশা করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে, জাপান হবে বাংলাদেশের সঙ্গে ইপিএ স্বাক্ষরকারী প্রথম দেশ।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ: এক কোম্পানির শেয়ার কিনলেন উদ্যোক্তারা
- শেয়ারবাজারে বিস্ময়: এক লাখ টাকার শেয়ার ৮০ কোটি!
- বিনিয়োগকারীদের সর্বনাশ করেছে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানি
- বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে দ্যুতি ছড়াচ্ছে ১৩ ‘বনেদি’ কোম্পানি
- মুনাফা থেকে লোকসানে তথ্য প্রযুক্তির দুই কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ চান বিনিয়োগকারীরা
- সত্যিই কি স্ট্রোক করেছেন মির্জা ফখরুল? যা জানা গেল
- বড় আন্দোলনে নামছে ৩ 'দল'
- মুনাফা বেড়েছে বিবিধ খাতের ৬ কোম্পানির
- মোবাইল কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে আনতে বিশেষ প্রণোদনা
- ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃ'ত্যু ৬
- ডিভিডেন্ড বেড়েছে শেয়ারবাজারের সাত ব্যাংকের
- শেয়ারবাজারের ১০ ব্যাংকে আমানত বেড়েছে ৩২ হাজার কোটি টাকা
- ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ওষুধ খাতের ১৩ কোম্পানির
- ফেসবুক কমেন্টকে কেন্দ্র করে ঢাবি ছাত্রের আ-ত্ম-হ-ত্যা