ঢাকা, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

কঠোর কর্মসূচিত যাচ্ছে আরেকটি সংগঠন

ডুয়া নিউজ- জাতীয়
২০২৫ মে ২৮ ১৯:১৫:১০
কঠোর কর্মসূচিত যাচ্ছে আরেকটি সংগঠন

এবার প্রশাসন ক্যাডারের বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে শিগগিরই কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে যাচ্ছে ২৫টি অন্যান্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা।

আজ বুধবার (২৮ মে) কলমবিরতির দ্বিতীয় দিন শেষে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘প্রশাসন ক্যাডার কর্তৃক বৈষম্যমূলকভাবে বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত ও বিভাগীয় মামলার প্রতিবাদে সারাদেশের বিভিন্ন দপ্তরে অত্যন্ত সফলভাবে গতকালের মতো আজও কলম বিরতি কর্মসূচি পালিত হয়েছে।’

আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের ডাকে দেশের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুই দিনব্যাপী কর্মসূচিতে অংশ নেন সিভিল সার্ভিসের ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তারা। কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ ও সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় পরিষদের পক্ষ থেকে অংশগ্রহণকারী সকল কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি জানায়, ‘সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসন ক্যাডারের সদস্যরা মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরে মারামারি, মিছিল ও জনপ্রশাসনে শোডাউন করেন। সংস্কার কমিশনকে আলটিমেটাম দেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি শুরু হয় এবং প্রশাসন ক্যাডারের সদস্যরা বাকি ২৫টি ক্যাডারের সদস্যদের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। এসব লেখালেখির কারণে ২৫ ক্যাডারের ১২ জন সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিলো। সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে বিষয়টি সমাধানের জন্য আশ্বস্ত করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে বিষয়টিকে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। উপরন্তু, সম্প্রতি কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম শুরু করেছে। অথচ, প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা সরকারি বিধি-বিধান বহির্ভূত কার্যকলাপের পরও তাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন উত্থাপিত প্রতিবেদনে দুর্নীতিমুক্ত জনসেবা নিশ্চিত করার মতো কোনো সুপারিশ দেখা যায়নি। বরং একটি নির্দিষ্ট ক্যাডারের গোষ্ঠী-স্বার্থে পক্ষপাতদুষ্ট সুপারিশ বিদ্যমান। জেলা পরিষদ ভেঙে দিয়ে ডিসিকে জেলার প্রধান এবং তাকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ পদ আপগ্রেডেশনের সুপারিশ করা হয়েছে। পরিষদ মনে করে- কোনো গণতান্ত্রিক সমাজে একটি ভৌগোলিক এলাকায় কোনো সরকারি চাকরিজীবী প্রধান হতে পারেন না। তাই জেলা পরিষদকে শক্তিশালী ও কার্যকর করে জনগণের প্রতিনিধিকে জেলার প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে দাবি করে পরিষদ।’

পরিষদ জানায়, ‘জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন তার প্রতিবেদনে উদ্দেশ্যমূলকভাবে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিসংখ্যান, ডাক, পরিবার-পরিকল্পনা, কাস্টমস ও ট্যাক্স ক্যাডারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি করেছে। উপসচিব পুলে প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ কোটা রেখে অন্য ২৫টি ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ পরীক্ষার ভিত্তিতে নিয়োগের সুপারিশ করেছে, যা জুলাই বিপ্লবের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে পরিষদ মনে করে। ‘আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ’ এর সঙ্গে কোনো রকম আলোচনা ছাড়া এমন সব সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সরকারের সঙ্গে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকলেও, সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ক্যাডারের পক্ষপাতদুষ্ট নির্যাতনমুলক আচরণের প্রতিবাদে কর্মসূচীতে যেতে বাধ্য হচ্ছে পরিষদ। আলোচনার টেবিলে সমাধানের কমিটমেন্ট পেলেও বাস্তবে তা পরিলক্ষিত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। সমস্যার সমাধান না হলে খুব শীঘ্রই আরও কঠোর কর্মসূচীতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন তারা।’

আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের ডাকে একই দাবির ভিত্তিতে গত ২০ মে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেন পরিষদের অন্তর্ভুক্ত ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তারা।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত