ঢাকা, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

দীর্ঘদিনের গোয়েন্দা তৎপরতায় গ্রেপ্তার সুব্রত বাইন: আইএসপিআর

ডুয়া নিউজ- জাতীয়
২০২৫ মে ২৭ ১৯:৩৫:২৩
দীর্ঘদিনের গোয়েন্দা তৎপরতায় গ্রেপ্তার সুব্রত বাইন: আইএসপিআর

দীর্ঘদিনের গোয়েন্দা নজরদারি ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আইএসপিআরের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি-উদ-দৌলা চৌধুরী এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার ভোর ৫টা থেকে কুষ্টিয়া ও ঢাকার হাতিরঝিল এলাকায় সমন্বিত সাঁড়াশি অভিযান চালায় সেনাবাহিনীর ৪৬ স্বতন্ত্র ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেডের একটি ইউনিট। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত এই অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয় দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলী, আবু রাসেল মাসুদ ওরফে মোল্লা মাসুদ এবং তাদের দুই সহযোগী—শ্যুটার আরাফাত ও গাড়িচালক শরীফকে।

অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৫টি বিদেশি পিস্তল, ১০টি ম্যাগাজিন, ৫৩ রাউন্ড গুলি এবং একটি স্যাটেলাইট ফোন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র জানায়, কুষ্টিয়ার সোনার বাংলা রোডে মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৫টার দিকে অভিযান চালিয়ে সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সকাল ৭টায় ঢাকার হাতিরঝিলে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় সহযোগী শ্যুটার আরাফাত ও গাড়িচালক শরীফকে। দুজনই সুব্রত বাইনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলে জানায় সূত্রটি।

কর্নেল সামি-উদ-দৌলা চৌধুরী বলেন, এই চক্রটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হত্যা, চাঁদাবাজি এবং নাশকতা চালিয়ে আসছিল। সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদ হলো তালিকাভুক্ত ২৩ জন শীর্ষ সন্ত্রাসী দলের অন্যতম নেতা এবং সেভেন স্টার চক্রের মূল পরিকল্পনাকারী। এ অভিযান ছিল দীর্ঘদিনের গোয়েন্দা তৎপরতা এবং পরিকল্পনার ফসল। অপারেশনটি অত্যন্ত সুনিপুণভাবে ক্ষয়ক্ষতি বা সংঘর্ষ ছাড়াই পরিচালিত হয় যা আমাদের বাহিনীর পেশাদারিত্ব এবং রাষ্ট্রের প্রতি দায়বদ্ধতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ সমন্বয়ে ও সহায়তা দিয়েছে সেনা সদরের সামরিক অপারেশন পরিদপ্তর, ৫৫ পদাতিক ডিভিশন, ১৪ স্বতন্ত্র ইঞ্জিনিয়ার বিগ্রেড, ৭১ মেকানাইজ বিগ্রেড ও এনএসআই।

আইএসপিআর পরিচালক বলেন, এছাড়াও আমি আপনাদের মাধ্যমে দেশের জনগণকে জানাতে চাই— যেকোনো ধরনের সন্দেহজনক কর্মকাণ্ড কিংবা সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত তথ্য অনুগ্রহ করে নিকটস্থ সেনাক্যাম্প অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করুন। আমরা আবারও দৃঢ়ভাবে জানাতে চাই—সেনাবাহিনী প্রধানের সুস্পষ্ট নির্দেশনার আলোকে, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং জনগণের জানমালের সুরক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুত ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবসময় জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত