ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২

সাম্য হ-ত্যা-য় গোপন কক্ষে বৈঠকসহ আদালতে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি

ডুয়া নিউজ- বিশ্ববিদ্যালয়
২০২৫ মে ২৭ ১১:১১:৪৪
সাম্য হ-ত্যা-য় গোপন কক্ষে বৈঠকসহ আদালতে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা এসএম শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল অন্তত দুটি সংঘবদ্ধ গ্রুপ। হত্যার পর অভিযুক্তরা পালিয়ে যায় কক্সবাজারে। সোমবার (২৬ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমানের আদালতে আসামি মো. রিপন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব তথ্য প্রকাশ করেন।

রিপন আদালতে বলেন, “হত্যার পর আমি মূল হামলাকারীকে মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থল থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মন্দির গেটে পৌঁছে দিই। এরপর অন্য একটি গ্রুপ তাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়। পরে সবাই মিলে কক্সবাজারে চলে যাই।”

তার ভাষ্য অনুযায়ী, ৫ থেকে ৭ জন সরাসরি এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়। এদের মধ্যে দুজন সরাসরি সাম্যকে আঘাত করে, বাকিরা চারপাশে নজর রাখে। জড়িতরা সবাই মাদক কারবারের সঙ্গেও যুক্ত বলে দাবি করেছেন রিপন।

রিপনের স্বীকারোক্তি রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. আখতার মোর্শেদ। বিচারক মিনহাজুর রহমান জবানবন্দি রেকর্ড করার পর রিপনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

অন্যদিকে গ্রেফতার হওয়া আসামি সোহাগ, হৃদয় ইসলাম ও রবিনের সাত দিনের রিমান্ড এবং সুজন সরকারকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক মো. সাইফুজ্জামান সুজনকে কারাগারে এবং বাকি তিনজনের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

১৪ মে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানা এলাকা থেকে মো. তামিম হাওলাদার, পলাশ সরদার ও সম্রাট মল্লিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালত প্রথম দফায় তাদের ছয় দিনের এবং পরবর্তী দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বর্তমানে তারা রিমান্ডে রয়েছেন।

এর আগে ১৩ মে রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন ছাত্রদল নেতা সাম্য। সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার পরদিন ১৪ মে সাম্যের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তে এ পর্যন্ত মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত