ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২
শেয়ারবাজারের রাজনৈতিক মালিকানা নেওয়ার ঘোষণা বিএনপির

ডুয়া নিউজ: বাংলাদেশে শেয়ারবাজারসহ অর্থনৈতিক খাতে যত বড় ধরনের সংস্কার হয়েছে, তার অধিকাংশই বিএনপির সময়েই বাস্তবায়ন হয়েছে বলে দাবি করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, “আগামী দিনে শেয়ারবাজারের ওনারশিপ বিএনপি নেবে, কারণ এই বাজারে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক অঙ্গীকার জরুরি।”
শনিবার (২৪ মে) ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক আলোচনায় শেয়ারবাজার: দর্শন ও অনুশীলন’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
আমির খসরু বলেন, “বাংলাদেশে বিনিয়োগ ছাড়া উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু দেশের অর্থনীতির সঙ্গে শেয়ারবাজারের সংযোগ অনেকটাই বিচ্ছিন্ন। ক্যাপিটাল মার্কেটে রাজনৈতিক ওনারশিপ নেই বলেই এই দুরবস্থা। সরকার ও বেসরকারি খাত উভয়ের ঋণ শেয়ারবাজার থেকে তোলা সম্ভব, তবুও আমরা ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবনের (আইএমএফ) পেছনে ঘুরছি।”
তিনি আরও বলেন, “শেয়ারবাজার দক্ষভাবে পরিচালনা করতে হলে সেলফ রেগুলেটরি ব্যবস্থার দিকে যেতে হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে নিজস্বভাবে নিয়ন্ত্রণের সুযোগ দিতে হবে, আর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি রাখবে তদারকি ভূমিকা।”
দেবপ্রিয়: কাঠামোগত দুর্বলতা শেয়ারবাজারের মূল সংকট
সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, “রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে ২০১০-১১ সালে শেয়ারবাজার থেকে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা বের হয়ে গেছে, যার মধ্যে ১৫ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এসব ঘটনার বিরুদ্ধে কার্যকর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”
তিনি বলেন, “শেয়ারবাজারে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের ব্যবস্থা না থাকায় এর চরিত্র বদলে গেছে। এটি এখন আর প্রকৃত বিনিয়োগের প্ল্যাটফর্ম নয়। শেয়ারবাজারকে ফিরিয়ে আনতে হলে আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে, বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিতে হবে এবং অংশগ্রহণমূলক সংস্কার আনতে হবে।”
জামায়াতের বক্তব্য
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মো. মোবারক হোসাইন বলেন, ইসলামী অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ভিত্তিতে শেয়ারবাজারকে ঢেলে সাজালে তা বৈশ্বিক রোল মডেলে পরিণত হতে পারে। তিনি যাকাতভিত্তিক গবেষণার ওপর জোর দেন।
এনসিপির বক্তব্য
জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনুভা জাবিন বলেন, “শেয়ারবাজার একটি চক্রের হাতে বন্দি ছিল। বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তার মধ্যে কোনো যোগসূত্র ছিল না। এই disconnect থেকে বেরিয়ে আসতে হলে স্থায়ী, সময়োপযোগী পরিকল্পনা দরকার।”
প্যানেল আলোচকদের প্রতিক্রিয়া
আলোচকরা বলেন, শেয়ারবাজার এখন এলিট শ্রেণির ক্লাবে পরিণত হয়েছে, যেখানে মাত্র ১ শতাংশ অংশগ্রহণকারী লাভবান হয়েছে। বাকিরা ক্ষতিগ্রস্ত। তারা বলেন, উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীর মাঝে বিশ্বাসের সম্পর্ক গড়ে তুলতে না পারলে শেয়ারবাজার কখনোই কার্যকর হতে পারবে না।
তারা আরও বলেন, “ব্যাংকিং খাতের মালিকানাধীন গোষ্ঠীগুলোর রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে ক্যাপিটাল মার্কেট উপেক্ষিত থেকে গেছে। সব ধরনের বিনিয়োগ ব্যাংকনির্ভর হওয়ায় দীর্ঘমেয়াদে অর্থনীতিতে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হচ্ছে, যা আর টেকসই নয়।”
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ভারতে ঢাবির দুই ছাত্রীর ছবি নিয়ে তোলপাড়, ক্ষোভ
- শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্র ও বহুজাতিক ১৫ কোম্পানি
- ১১'শ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিবে ঘুড্ডি ফাউন্ডেশন
- স্কয়ার ফার্মার বাজার মূলধনে নতুন মাইলফলক
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ৭ প্রতিষ্ঠান
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ফিরেছে আর্থিক খাতের কোম্পানি
- নতুন সিনেট সদস্য হলেন ঢাবির ৫ অধ্যাপক
- ক্যাশ ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- সর্বোচ্চ উচ্চতায় ১৭ কোম্পানির শেয়ার
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ১২ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- গেস্ট হাউজ থেকে সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের মরদেহ উদ্ধার
- ‘মুজিব’স ব্লান্ডার্স’: নেপথ্যের ষড়যন্ত্র উন্মোচন
- ৩ আগস্টের আগাম বার্তায় উত্তাপ ছড়াচ্ছে এনসিপি
- ‘৪ আগস্ট রাতেই হাসিনা পতনের পরিকল্পনায় শিবির নেতা সিবগাতুল্লাহ’