ঢাকা, বুধবার, ৬ আগস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামি-ফ্যাসিস্টদের নিয়ে জুলাই উদযাপন

ডুয়া নিউজ- বিশ্ববিদ্যালয়
২০২৫ আগস্ট ০৬ ১৬:৪৪:২০
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামি-ফ্যাসিস্টদের নিয়ে জুলাই উদযাপন

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মাসব্যাপী জুলাই অভ্যুত্থান বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপলক্ষে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের অংশগ্রহণ নিয়ে সমালোচনা থাকা সত্ত্বেও তারা আজও আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন।

এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবরের মতো নীরব ছিলেন। আলোচনার এক পর্যায়ে ফ্যাসিবাদের দোসরদের প্রাধান্য দেয়া প্রসঙ্গে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়।

সরাসরি যারা জুলাই আন্দোলনে বাধাদান করে, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করতো তাদের উপর শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, ফোকলোর বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহ।

তিনি ছিলেন সাবেক উপাচার্যেরর মূল পরামর্শক ও সহযোগী। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছো আন্দোলনরত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের লিস্ট করে ডিজিএফআইকে দিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন ও গ্রাফিতি অংকনে বাধাদান করেন।

তার বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট ভিডিও প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তিনি এখনো বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অন্যদের মধ্যে ছিলেন দর্শন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তারিফুল ইসলাম, নাট্যকলা পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের ড. কামাল উদ্দীন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জুলাই গণঅভ্যুত্থান সক্রিয় আন্দোলনকর্মী ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, জুলাই আন্দোলন বাধাদানকারী, অপরাধীর বিচার হওয়ার দরকার ছিলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

সে বিষয়ে প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ নাই, অথচ ১ বছর হয়ে গেলো। তারা আবার বিভিন্ন পদ দখল করে আছেন, গোপনে ফ্যাসিস্টের হয়ে কাজ করছেন। আমরা চাই তাদের প্রশাসন থেকে সরানো হোক। বিচার করা হোক।

এ বিষয়ে মেহেদী উল্লাহকে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও প্রতিবেদক ব্যর্থ হন।

গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে আওয়ামী লীগের দোসরদের পদে বহাল রাখার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে তৈরি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

শিক্ষার্থীদের অনেকে মনে করছেন এর পেছনে বর্তমান প্রশাসনের যোগসাজশ রয়েছে। প্রশাসনের অনেকের সাথে আর্থিক লেনদেন করে আওয়ামীলীগের দোসররা বহাল তবিয়তে রয়েছেন বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করছেন।

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ আসেনি বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দোসরদের চিহ্নিত করণ কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে যাচাইবাচাইয়ের পর প্রকৃত আওয়ামীলীগের দোসরদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে যথাযথ ব্যবস্থা করা হবে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত