ঢাকা, রবিবার, ১ জুন ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ছাত্রী-শিক্ষককে অব্যাহতি

ডুয়া নিউজ- বিশ্ববিদ্যালয়
২০২৫ মে ২৩ ১৬:৫৩:৩৩
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ছাত্রী-শিক্ষককে অব্যাহতি

ডুয়া ডেস্ক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফাইন্যান্স বিভাগের এক শিক্ষক ও এক ছাত্রীকে সাময়িকভাবে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, ছাত্রী-শিক্ষক সম্পর্কিত ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে। একইসঙ্গে এই ঘটনা এবং সংশ্লিষ্ট চাঁদাবাজির অভিযোগের ব্যাপারে বিস্তারিত তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩৯তম সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন এবং উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. মোহা. ফরিদ উদ্দীন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যরা জানান, 'তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম গোলাম সাদিককে। কমিটিকে দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত অভিযুক্ত শিক্ষক ও ছাত্রী বিভাগের কোনো ধরনের একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না। এরই মধ্যে শিক্ষকের কক্ষটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।'

উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন কালবেলাকে বলেন, "শিক্ষক ও ছাত্রীর নৈতিক স্খলনের বিষয় এবং চাঁদাবাজির অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখবে তদন্ত কমিটি। তদন্ত রিপোর্ট আসার পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।"

জানা যায়, গত ১১ মে সন্ধ্যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের ৩০৭ নম্বর কক্ষ থেকে ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ পাপুল এবং ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকোত্তর (এমবিএ) ছাত্রী মারিয়া খাতুনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান কয়েকজন শিক্ষার্থী। পরে এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর গত ১৪ মে বিষয়টি আলোচনায় আসে এবং ১৭ মে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রী মারিয়া খাতুন দাবি করেন, ওই ভিডিও প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন সাংবাদিক, এক সাবেক সহ-সমন্বয়ক এবং একজন শিক্ষার্থী তার কাছ থেকে তিন লাখ টাকা চাঁদা নেন।

চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠা চারজন হলেন- আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুজ সাকিব, ইতিহাস বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন সজীব, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের একই বর্ষের শিক্ষার্থী সিরাজুল ইসলাম সুমন ওরফে এসআই সুমন এবং ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) শিক্ষার্থী আতাউল্লাহ।

এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করেন সাজ্জাদ হোসেন সজীব এবং এসআই সুমন।

এদিকে পুরো ঘটনা প্রকাশের পর শিক্ষক ও ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবি জানান ফাইন্যান্স বিভাগের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। একই সঙ্গে চাঁদাবাজির অভিযোগ তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানানো হয়। এসব দাবিতে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর এবং বিভাগীয় সভাপতির কাছে স্মারকলিপি জমা দেন।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত

বিশ্ববিদ্যালয় এর অন্যান্য সংবাদ