ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

এবার কুয়েটের নতুন উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি

২০২৫ মে ২১ ২০:১২:৪৯
এবার কুয়েটের নতুন উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি

ডুয়া ডেস্ক: শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদকে অপসারণ করে প্রফেসর ড. মো. হযরত আলীকে নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে উপাচার্যের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে তার দ্রুত পদত্যাগ দাবি করেছেন শিক্ষকরা। তারা উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম-নীতির প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন, ছাত্র ও শিক্ষকদের দাবি উপেক্ষা এবং অভিভাবকের দায়িত্ব পালনে অবহেলা করার অভিযোগ তুলেছেন। পাশাপাশি সরকারকে কুয়েটের জন্য উপযুক্ত ও বন্ধুসুলভ একজন উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

আজ বুধবার (২১ মে) দুপুরে কুয়েটের প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো. ফারুক হোসেন এই দাবি জানান। পাশাপাশি শিক্ষক সমিতি আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন কর্মসূচি আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো. ফারুক হোসেন বলেন, “উপাচার্য যেহেতু দায়িত্ব নিতে পারছেন না, সেহেতু সম্মানের সঙ্গে সেটা সুরাহা করার জন্য সহযোগিতা করবেন। উনি যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক, সেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে তিনি এটা করবেন।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা গত ৪ মে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা করে ভাইস চ্যান্সেলরকে সাত কর্মদিবস সময় দিয়েছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি-বিধান অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করার জন্য। গত ফেব্রুয়ারি মাসে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সিন্ডিকেট, তদন্ত, পরবর্তীতে ডিসিপ্লিনারি কমিটির মিটিংসহ অতি দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য। যাতে আমরা ছাত্র-শিক্ষক দ্রুত ক্লাসে ফিরে যেতে পারি। সাত কর্মদিবস অতিক্রান্ত হওয়ার পরও উপাচার্যের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে আটকে রেখেছেন।”

ফারুক হোসেন বলেন, “এ অবস্থায় ১৮ মে আবার আমরা শিক্ষক সমিতি সাধারণ সভা করে অ্যাকাডেমিক এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি ভাইস চ্যান্সেলরের কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি দিয়েছিলাম। আমরা যে সময় খুব হতাশা নিয়ে এরকম এক সংকটময় পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র এবং শিক্ষক অতিক্রান্ত করছি, সেই সময় উপাচার্য দাপ্তরিক কাজের কথা বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে অবস্থান করছেন। ১৮ তারিখে উনি আমাদের কাছে বলে যান, পরের দিন ফিরে আসবেন। এই বিষয়ে একটা দ্রুত সমাধান করবেন। উনি এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসেননি।”

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, “আমাদের আজ তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি ছিল, সেটার প্রতি উনি কোনো কর্ণপাত করেননি। এমনকি উনি দাপ্তরিক কাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে গিয়েছেন এমন কোনো অফিসিয়াল নোটিশ আমাদের দেননি। যাকে দায়িত্ব দিয়ে গেছেন তিনিও দায়িত্ব নিতে অপারগতা প্রকাশ করে আজ লিখিত দিয়েছেন। এ অবস্থায় আমরা আজ অভিভাবকশূন্য। এমন অবহেলা, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অভিভাবক যার প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা এবং সহযোগিতা ছিল। উনি এটার মূল্য দিতে ব্যর্থ হয়েছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি-বিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না থাকা, ছাত্র-শিক্ষক সবার দাবির প্রতি অবজ্ঞা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবকের দায়িত্বে থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন না করায় কুয়েটের শিক্ষকরা মনে করেন তিনি দায়িত্ব পালনে অক্ষম। এ কারণে আমরা তার দ্রুত পদত্যাগ দাবি করছি। চলমান সংকটে দীর্ঘায়িত না করতে শিক্ষকরা ভাইস চ্যান্সেলরকে অতি দ্রুত পদত্যাগ করার দাবি জানিয়েছেন।”

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

বিশ্ববিদ্যালয় এর সর্বশেষ খবর

বিশ্ববিদ্যালয় - এর সব খবর



রে