ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২
হয়রানিমূলক ১০ হাজার মামলা প্রত্যাহারের উদ্যোগ
.jpg)
ডুয়া ডেস্ক: আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বিএনপি-জামায়াত-সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের হাজারো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলাগুলো প্রত্যাহারের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে দায়ের হওয়া এসব মামলাকে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সরকারি বার্তা সংস্থা বাসস জানায়, এখন পর্যন্ত বিভিন্ন আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সারা দেশে মোট ১০ হাজার ৫০৬টি মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন-১ শাখার এক কর্মকর্তা জানান, এসব মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে চিঠির মাধ্যমে মামলা নম্বর উল্লেখ করে জেলা পাবলিক প্রসিকিউটরের (পিপি) কাছে মতামত গ্রহণ ও ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮-এর ৪৯৪ ধারা অনুসরণ করে এসব মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, রাজনৈতিক কারণে দায়ের হওয়া হয়রানি মূলক মামলা পর্যালোচনা ও প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া তদারকির জন্য দুটি পর্যায়ে কমিটি গঠন করেছে জননিরাপত্তা বিভাগ। একটি জেলা পর্যায়ে এবং অন্যটি মন্ত্রণালয় পর্যায়ে কাজ করছে।
জেলা পর্যায়ের কমিটিতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট থাকছেন কমিটির সভাপতি হিসেবে। সদস্যসচিবের দায়িত্ব পালন করবেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। কমিটির বাকি সদস্যরা হচ্ছেন সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার এবং পাবলিক প্রসিকিউটর।
জেলা পর্যায়ের কমিটির মতামতে যদি কোনো মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা হয়রানিমূলক হিসেবে বিবেচিত হয়, তবে কমিটি তা প্রত্যাহারের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করবে। সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মামলার সুপারিশ-সহ এজাহার, অভিযোগপত্র ও প্রয়োজনীয় তথ্য নির্ধারিত ছকে আবেদন পাওয়ার ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন।
এই প্রক্রিয়ার পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়েও আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কিংবা আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটরের বরাবর আবেদন জমা দেওয়া যাচ্ছে। তবে এসব আবেদন প্রথমে যাচাই-বাছাই করে তালিকা তৈরি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরপর আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটির সভায় তা রেজুলেশন আকারে অনুমোদন করা হয়। এরপর আবেদনপত্রগুলো আবার ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ফেরত আসার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হিসেবে সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর অফিসিয়াল চিঠি পাঠানো হয়।
জেলা কমিটির কার্যপ্রণালী ও দায়িত্ব নির্ধারণ করে সরকারের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জেলা পর্যায়ের সুপারিশের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটি মামলাগুলোর যাচাই-বাছাই করে প্রত্যাহার যোগ্য মামলা চিহ্নিত করবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং সদস্যসচিব হিসেবে আছেন জননিরাপত্তা বিভাগের আইন-১ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব। আরও কয়েকজন সদস্যও এই কমিটিতে রয়েছেন।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- হলে ঢাবি ছাত্রীর হঠাৎ অসুস্থতা, হাসপাতালে মৃত্যু
- মার্জিন ঋণে মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডে বিনিয়োগ করা যাবে না
- ‘পদত্যাগ করতে পারেন ড. ইউনূস’
- শেয়ারবাজারের ৬ ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা, ৫ ব্যাংকের লোকসান
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষে পাঁচ শেয়ার
- ঢাবির হলে 'গাঁ’জার আসর', চার শিক্ষার্থীকে আটক
- ১২ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৯ খবর
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব: ফের অস্থির শেয়ারবাজার
- দুই কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘লাল তালিকা’য় ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠান
- বেক্সিমকো-বেক্সিমকো ফার্মাসহ চার ব্যক্তি-এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা-সতর্ক
- সামিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কিনছে আরব আমিরাতের কোম্পানি
- বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের নতুন কমিটির অভিষেক শনিবার
- বিসিএসে স্বতন্ত্র বিভাগে অন্য বিভাগ অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ