ঢাকা, রবিবার, ১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
বাংলাদেশি পণ্য আমদানি
জানা গেল ভারতের নিষেধাজ্ঞার কারণ

ডুয়া ডেস্ক: ভারত বাংলাদেশ থেকে স্থলবন্দর মাধ্যমে পণ্য আমদানিতে নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। গত শনিবার (১৭ মে) দেশটি জানায়, তাদের স্থলবন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশের নির্দিষ্ট কিছু পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ থাকবে।
নির্দেশনার অধীনে, বাংলাদেশি তৈরি পোশাক আমদানি করতে চাইলে ভারতীয় আমদানিকারকদের কলকাতা ও মহারাষ্ট্রের নাভা শেভা সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করতে হবে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার কারণে দুই দেশের মোট বাণিজ্যের প্রায় ৪২ শতাংশ পণ্যের ওপর প্রভাব পড়বে, যা প্রায় ৭৭০ মিলিয়ন ডলারের সমমূল্য। বাণিজ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ (জিটিআরআই) এই তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটি বলছে, ‘বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতীয় রপ্তানির ওপর ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য বাধা এবং চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে চাওয়ায় এমনটি করেছে ভারত।’
এছাড়াও সাম্প্রতিক চীন সফরে গিয়ে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার করা মন্তব্যকে ভালোভাবে নেয়নি নয়াদিল্লি। গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ (জিটিআরআই) বলেছে, গতকালের ভারতের এই সিদ্ধান্ত সেই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়াও বটে।
ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, ‘২০২৪ সালের শেষভাগ থেকে বাংলাদেশ ভারতীয় রপ্তানির ওপর একের পর এক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে এপ্রিল ২০২৫ থেকে প্রধান স্থলবন্দরগুলোর মাধ্যমে ভারতীয় সুতা আমদানি নিষিদ্ধকরণ, চাল আমদানির ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ এবং কাগজ, তামাক, মাছ ও গুঁড়ো দুধ আমদানিতে নিষেধাজ্ঞার মতো বিষয়গুলো।’
এছাড়া, বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে যাওয়া প্রতি টন ভারতীয় পণ্যের জন্য কিলোমিটার প্রতি ১.৮ টাকা হারে ট্রানজিট ফি ধার্য করেছে ঢাকা। বাংলাদেশের এই সিদ্ধান্তের ফলে ভারতীয় রপ্তানিকারকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ জানিয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের শর্তাবলী কেবল নিজেদের সুবিধার জন্য বেছে নিতে পারে না বলে জানান দেশটির এক কর্মকর্তা। ভারতের গণমাধ্যমগুলো বলছে, ‘বিশেষ করে বাংলাদেশের বিধিনিষেধের কারণে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে ব্যাপক প্রভাব পড়েছ।’
এমন পরিস্থিতিতে ভারতের পক্ষ থেকেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরামের শুল্ক স্টেশনগুলো এবং পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ি শুল্ক পয়েন্টের মাধ্যমে ফল, স্বাদযুক্ত পানীয়, কার্বনেটেড পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাবার, তুলার বর্জ্য, প্লাস্টিক পণ্য (নির্দিষ্ট উপকরণ ব্যতীত) এবং কাঠের আসবাবপত্র আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সূত্র: ইকোনমিক টাইমস
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বাতিল হচ্ছে ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স, তালিকায় শেয়ারবাজারের ১৪টি
- ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ১.৪ বিলিয়ন ডলারের শেয়ার বিক্রির ঘোষণা
- শেয়ারবাজারের ৬৬ কোম্পানির প্রতি বিএসইসি’র কঠোর বার্তা
- গভীর রাতে ঢাবি শিবির সভাপতির ফেসবুক পোস্টে তোলপাড়
- বনানীতে ঢাবির সাবেক ছাত্রীর ম’রদেহ উদ্ধার
- শেয়ারবাজারের ১৮ ব্যাংককে ডিভিডেন্ড না দেওয়ার নির্দেশ
- ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি, তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করার প্রস্তাব
- ঢাবির পীরগাছা উপজেলা সংগঠনের নেতৃত্বে রবিউল ও সৈকত
- ড. ইউনূসকে ‘আক্রমণ’!
- শেয়ারবাজার ধসের দায় চাপছে বিএসইসি নেতৃত্বের ওপর
- জেড ক্যাটাগরি ও ন্যুনতম শেয়ারধারণে ব্যর্থ কোম্পানিতে বসছে স্বতন্ত্র পরিচালক
- ঈদের ছুটি নিয়ে নতুন প্রস্তাবনা
- ফাঁস হলো হাসনাত-সার্জিসকে হ-ত্যার ভ'য়ঙ্কর পরিকল্পনা
- মন্দার বাজারে আলো ছড়িয়েছে ২০ শেয়ার
- ‘বাংলাদেশের শেয়ারবাজার ডাকাতদের আড্ডা হয়ে গেছে’