ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২
ঢাবি ছাত্র সাম্য হ-ত্যা ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিলেন সারজিস

ডুয়া ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশে ছুরিকাঘাতে নিহত হন। এ ঘটনায় উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেছে ছাত্রদল। তবে ঘটনাটির পেছনের বাস্তবতা তুলে ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের অবস্থান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
বুধবার (১৪ মে) তিনি তার ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাসে লেখেন, “আমার ক্যাম্পাস অভিজ্ঞতা থেকে বলছি—তথ্যগুলো ডিটেইলড হলেও গুরুত্বপূর্ণ।”
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দোষারোপ নয়, বাস্তবতাকে সামনে আনতে হবে
সারজিস আলম লিখেছেন, “সাম্য হত্যার পর উপাচার্য ও প্রক্টরের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা হচ্ছে, যা এক ধরনের সত্য আড়াল করার অপচেষ্টা। ঘটনার স্থান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন নয়। বরং, ওই এলাকায় যে অসংখ্য অনিয়ম চলছে, তা দীর্ঘদিনের একটি শক্তিশালী চক্রের কাজ।"
তিনি জানান, “উদ্যানে মাদকসেবন, চাঁদাবাজি, হেনস্তা ইত্যাদি যেসব অপরাধ চলে, সেগুলো পরিচালনা করে প্রভাবশালী সংগঠনগুলোর ছায়ায় থাকা সিন্ডিকেট। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এসব দোকান বসায়নি, বরং কিছু ক্ষমতাধর নেতাকর্মী নিজ স্বার্থে এসব বসিয়ে চাঁদাবাজি করছে এবং নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছে।”
অবৈধ দোকান ও বহিরাগতদের উপস্থিতি: একটি গভীর সমস্যা
সারজিস আলম মন্তব্য করেন, “উদ্যানের ফটক ও ভেতরে স্থায়ীভাবে গড়ে ওঠা দোকানগুলোই হত্যাকাণ্ডের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করেছে। মেট্রোরেল স্টেশন ও শহীদ মিনার কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা ভাসমান দোকান এবং দোয়েল চত্বরের পাশে গড়ে ওঠা ব্যবসা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস বহিরাগতদের চায়ের দোকান কিংবা আড্ডার স্থান হতে পারে না।”
তিনি আরও বলেন, “টিএসসি এলাকাকে দখল করে সেখানে গড়ে ওঠা চায়ের দোকানগুলোতে প্রতিদিন হাজার হাজার বহিরাগত আসে, যাদের একটি অংশ মাদকসেবী ও বখাটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাফেটেরিয়াগুলো অকার্যকর করে দিয়ে এই দোকানগুলো চাঁদাবাজদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে।”
দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি
সারজিস আলম বলেন, “আমাদের ভাই সাম্যকে হারানো যেমন হৃদয়বিদারক, তেমনি ভবিষ্যতে এমন ঘটনা রোধে ব্যবস্থা নেওয়াও জরুরি। প্রশাসন যদি উদ্যোগ নেয় এসব অবৈধ দোকান উচ্ছেদে, তখন এক শ্রেণির তথাকথিত প্রগতিশীল ও সুশীলদের প্রতিবাদ শুরু হয়। এই দ্বিচারিতা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।”
তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন:
১. ক্যাম্পাসে সকল ভাসমান দোকান উচ্ছেদ করতে হবে
২. শিক্ষার্থীদের জন্য সক্রিয় ও সুলভ মূল্যের ক্যাফেটেরিয়ার ব্যবস্থা করতে হবে
৩. টিএসসিকে চায়ের দোকানের আখড়া থেকে মুক্ত করতে হবে
৪. বহিরাগত ও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে
সারজিস আলম জোর দিয়ে বলেন, “আমরা চাই, সাম্যের হত্যার সঙ্গে যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। প্রশাসনের উচিত, বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি নিরাপদ, শিক্ষাবান্ধব পরিবেশে রূপান্তর করা এবং কোনো শিক্ষার্থী যেন আর এমন ঘটনার শিকার না হয়—সেই নিশ্চয়তা নিশ্চিত করা।”
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- চলতি সপ্তাহে বেক্সিমকোর ফ্লোর প্রাইস ওঠার সম্ভাবনা
- স্বল্প মূল্যে কম্পিউটার স্কিল ট্রেনিং কোর্সে ভর্তির সুযোগ, আসন সীমিত
- শেয়ারবাজারে তানিয়া শারমিন ও মাহবুব মজুমদার ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ
- শেয়ারবাজারের ৩ প্রতিষ্ঠানের ২৯৬ কোটি টাকা মানি লন্ডারিং
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দামের জন্য ডিএসইর সতর্কবার্তা
- শিক্ষার্থীদের আলোকিত ভবিষ্যত গড়তে পাশে থাকবে ঢাবি অ্যালামনাই
- ১০ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তার
- ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল দুই কোম্পানি
- জুলাই স্মৃতি জাদুঘর: টেন্ডার ছাড়াই ১১১ কোটি টাকার কাজ পেল দুই প্রতিষ্ঠান
- ঢাবি অ্যালামনাই ও নিউ হরাইজন কানাডিয়ান স্কুলের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
- ঢাবির ২০১৮-১৯ সেশনের অছাত্ররা হতে পারবেন না ভোটার-প্রার্থী
- ১৬ জুলাই সরকারি ছুটি কি-না? যা জানা যাচ্ছে
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম নিয়ে ডিএসইর সতর্কতা
- ঢাবির জিয়া হলে ‘ক্যারিয়ার টক’ অনুষ্ঠিত
- ডিভিডেন্ড পেয়েছে চার কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা