ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২
১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে ইউজিসি

ডুয়া ডেস্ক : বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এবার স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু না করায় রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার ১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পর ইউজিসি এখন এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা পর্যালোচনা করছে।
ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী, স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে ব্যর্থ হলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারেন কর্তৃপক্ষ। এ তালিকায় ঢাকার ৯টিসহ মোট ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব এ এস এম কাসেমের সই করা একটি চিঠিতে ইউজিসি চেয়ারম্যানের কাছে এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এ ১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাময়িক অনুমতির মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়েছে, কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত তাদের শিক্ষা কার্যক্রম স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করেনি। ফলস্বরূপ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০-এর ধারা ১২(১) অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইউজিসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আইনের আওতায় আসা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ঢাকা মোহাম্মদপুরের দি পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, সাতমসজিদ রোডের ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ, সিদ্ধেশ্বরীর স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, রাজারবাগের দি মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি, গুলশানের প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি, বনানীর প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটি, শ্যামলীর আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, পান্থপথের সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি এবং মিরপুরের বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস উল্লেখযোগ্য।
এছাড়া, ঢাকার বাইরের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে সিলেটের নর্থ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, কিশোরগঞ্জের ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, খুলনার নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, ফেনীর ফেনী ইউনিভার্সিটি, কুমিল্লার ব্রিটানিয়া ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রামের পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও চিটাগং ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি।
এর আগে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ১৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের জন্য চূড়ান্ত নোটিশ দেয়। ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ক্যাম্পাস স্থানান্তরের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
তবে নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়া, আরও দুটি বিশ্ববিদ্যালয়কে তাদের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি না করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
বাকি ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থায়ী ক্যাম্পাসে কার্যক্রম শুরুর জন্য আরও একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়ে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- লাভেলোর শেয়ার কারসাজি: তিন বিও অ্যাকাউন্টের লেনদেন স্থগিত
- সরকারের সিদ্ধান্তে ডুবছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন?
- ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড কার্যকারিতায় বিএসইসির নতুন উদ্যোগ
- শেয়ারবাজারে ইতিহাস গড়লেন ‘ছাগল-কাণ্ডের’ সেই মতিউর
- একাদশে ভর্তি: চতুর্থ ধাপে আবেদনের সুযোগ
- শেয়ারবাজারে প্রতারণা ঠেকাতে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
- শেয়ারবাজারে হঠাৎ দরপতন, নেপথ্যে এনবিআরের চিঠি
- শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক মুনাফা চান? জেনে নিন ৫ মন্ত্র
- ডিভিডেন্ড বৃদ্ধির আলোচনায় জ্বালানি খাতের ১১ কোম্পানি
- আরএসআই বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত পাঁচ শেয়ারে
- মালিকানায় পরিবর্তন আসছে ইয়াকিন পলিমারের
- এক শেয়ারের জোরেই সবুজে ফিরল শেয়ারবাজার
- ডিভিডেন্ড দোলাচলে তথ্যপ্রযুক্তির ৮ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- সোনালী পেপারের কারসাজিতে জেনেক্স ইনফোসিসের পরিচালকদের জরিমানা
- চার কোম্পানির আর্থিক অনিয়মের দায়ে নিষিদ্ধ হচ্ছে ৬ নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান