ঢাকা, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২
গুচ্ছ থেকে চূড়ান্তভাবে বেরিয়ে গেল ৩ বিশ্ববিদ্যালয়; একই পথে ৪ প্রতিষ্ঠান
.jpg)
ডুয়া নিউজ: শিক্ষার্থীদের আর্থিক ও মানসিক চাপ কমানো এবং ভর্তি প্রক্রিয়ার সময় সাশ্রয় করা উদ্দেশ্যে ২০২০ সাল থেকে বাংলাদেশে সরকারি সাধারণ, কৃষি, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি চালু হয়। তবে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে গুচ্ছ থেকে চূড়ান্তভাবে বেরিয়ে গেছে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়। আরও চারটি বিশ্ববিদ্যালয় বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। বের হয়ে যাওয়া তিন উচ্চশিক্ষালয় হচ্ছে-জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। একই পথ অনুসরণ করা চার বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে- ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
তবে গুচ্ছে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মত হলো, গুচ্ছে থাকতে হলে সবাইকে থাকতে হবে। সেটা সম্ভব না হলে বাকিরাও গুচ্ছে থাকতে আগ্রহী নয়। এর কারণে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই চার বিশ্ববিদ্যালয়।
এরই মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম শুরু করেছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, যোগ্য শিক্ষার্থী না পাওয়া, সেশনজট বৃদ্ধি, আসন ফাঁকা থাকা এবং দীর্ঘ প্রক্রিয়ার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মান হারাচ্ছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্বতা হারানোর অভিযোগও রয়েছে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায়।
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ ভর্তি নিয়ে গত শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৯টায় ভার্চুয়ালি শুরু হওয়া এ সভা শেষ হয় সাড়ে ১১টারও পর। তবে এ সভাতেও গুচ্ছেতে কে থাকবে বা কে থাকবে না এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কাটেনি।
সভায় বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার পক্ষে মত দিলেও চারটি বিশ্ববিদ্যালয় না থাকার পক্ষে মত দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে, কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
এ প্রসঙ্গে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী জানান, আমরা উপাচার্যদের মিটিংয়ে গুচ্ছে না থাকার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছি। তবে আমরা আহ্বান জানিয়েছি, যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ইতোমধ্যে গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে গেছ, সরকার যদি তাদের যুক্ত করতে পারে তাহলে আমরাও থাকব। তবে আমি মনে করি, এ অবস্থায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছে থাকার কোনো সম্ভাবনা নেই। দু-একদিনের মধ্যে আমাদের ভর্তি সার্কুলারও যাবে।
এদিকে গুচ্ছ প্রক্রিয়ায় থাকতে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের দফায় দফায় চিঠি ও নির্দেশনা দিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এমনকি শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ স্বাক্ষরিত একটি আধা সরকারি পত্রও প্রেরণ করা হয়েছে। সর্বশেষ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয় থেকে গুচ্ছ ভর্তি কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে একটি জরুরি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার সুষ্ঠু উন্নয়ন ও কার্যকর ব্যবস্থাপনার জন্য দেশের সরকারি সাধারণ, কৃষি, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি কার্যক্রমে অংশ নিতে সকল ভিসিদেরকে পুনরায় অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ারবাজারে বিস্ময়: এক লাখ টাকার শেয়ার ৮০ কোটি!
- ডিভিডেন্ডের উপর উচ্চ কর: শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ
- বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে দ্যুতি ছড়াচ্ছে ১৩ ‘বনেদি’ কোম্পানি
- মুনাফা থেকে লোকসানে তথ্য প্রযুক্তির দুই কোম্পানি
- শেয়ারবাজারের ১০ ব্যাংকে আমানত বেড়েছে ৩২ হাজার কোটি টাকা
- মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত শেয়ারবাজারের ১৩ ব্যাংকের
- শেয়ারবাজারের শর্ত পূরণে ৬০ কোম্পানিকে বিএসইসির আল্টিমেটাম
- নীলক্ষেত হোস্টেল থেকে ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীর ম’রদেহ উদ্ধার
- ইরানকে হা-ম-লা বন্ধে প্রস্তাব
- সত্যিই কি স্ট্রোক করেছেন মির্জা ফখরুল? যা জানা গেল
- দুই বড় খবরের মধ্যে আজ খুলছে দেশের শেয়ারবাজার
- ডিভিডেন্ড বেড়েছে শেয়ারবাজারের সাত ব্যাংকের
- কারাগারে ফাঁসিতে ঝুললেন সেই অস্ত্রধারী আ’লীগ নেতা
- মূলধনের বেশি রিজার্ভ জ্বালানি খাতের ১৪ কোম্পানির
- মুনাফা বেড়েছে ১৮ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির