ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২
গুচ্ছ থেকে চূড়ান্তভাবে বেরিয়ে গেল ৩ বিশ্ববিদ্যালয়; একই পথে ৪ প্রতিষ্ঠান
.jpg)
ডুয়া নিউজ: শিক্ষার্থীদের আর্থিক ও মানসিক চাপ কমানো এবং ভর্তি প্রক্রিয়ার সময় সাশ্রয় করা উদ্দেশ্যে ২০২০ সাল থেকে বাংলাদেশে সরকারি সাধারণ, কৃষি, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি চালু হয়। তবে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে গুচ্ছ থেকে চূড়ান্তভাবে বেরিয়ে গেছে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়। আরও চারটি বিশ্ববিদ্যালয় বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। বের হয়ে যাওয়া তিন উচ্চশিক্ষালয় হচ্ছে-জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। একই পথ অনুসরণ করা চার বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে- ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
তবে গুচ্ছে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মত হলো, গুচ্ছে থাকতে হলে সবাইকে থাকতে হবে। সেটা সম্ভব না হলে বাকিরাও গুচ্ছে থাকতে আগ্রহী নয়। এর কারণে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই চার বিশ্ববিদ্যালয়।
এরই মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম শুরু করেছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, যোগ্য শিক্ষার্থী না পাওয়া, সেশনজট বৃদ্ধি, আসন ফাঁকা থাকা এবং দীর্ঘ প্রক্রিয়ার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মান হারাচ্ছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্বতা হারানোর অভিযোগও রয়েছে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায়।
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ ভর্তি নিয়ে গত শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাত ৯টায় ভার্চুয়ালি শুরু হওয়া এ সভা শেষ হয় সাড়ে ১১টারও পর। তবে এ সভাতেও গুচ্ছেতে কে থাকবে বা কে থাকবে না এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কাটেনি।
সভায় বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার পক্ষে মত দিলেও চারটি বিশ্ববিদ্যালয় না থাকার পক্ষে মত দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে, কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
এ প্রসঙ্গে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী জানান, আমরা উপাচার্যদের মিটিংয়ে গুচ্ছে না থাকার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছি। তবে আমরা আহ্বান জানিয়েছি, যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ইতোমধ্যে গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে গেছ, সরকার যদি তাদের যুক্ত করতে পারে তাহলে আমরাও থাকব। তবে আমি মনে করি, এ অবস্থায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছে থাকার কোনো সম্ভাবনা নেই। দু-একদিনের মধ্যে আমাদের ভর্তি সার্কুলারও যাবে।
এদিকে গুচ্ছ প্রক্রিয়ায় থাকতে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের দফায় দফায় চিঠি ও নির্দেশনা দিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এমনকি শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ স্বাক্ষরিত একটি আধা সরকারি পত্রও প্রেরণ করা হয়েছে। সর্বশেষ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয় থেকে গুচ্ছ ভর্তি কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে একটি জরুরি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার সুষ্ঠু উন্নয়ন ও কার্যকর ব্যবস্থাপনার জন্য দেশের সরকারি সাধারণ, কৃষি, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি কার্যক্রমে অংশ নিতে সকল ভিসিদেরকে পুনরায় অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- লাভেলোর শেয়ার কারসাজি: তিন বিও অ্যাকাউন্টের লেনদেন স্থগিত
- সরকারের সিদ্ধান্তে ডুবছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন?
- ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড কার্যকারিতায় বিএসইসির নতুন উদ্যোগ
- একাদশে ভর্তি: চতুর্থ ধাপে আবেদনের সুযোগ
- শেয়ারবাজারে প্রতারণা ঠেকাতে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
- শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক মুনাফা চান? জেনে নিন ৫ মন্ত্র
- আরএসআই বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত পাঁচ শেয়ারে
- মালিকানায় পরিবর্তন আসছে ইয়াকিন পলিমারের
- ডিভিডেন্ড বৃদ্ধির আলোচনায় জ্বালানি খাতের ১১ কোম্পানি
- এক শেয়ারের জোরেই সবুজে ফিরল শেয়ারবাজার
- ডিভিডেন্ড দোলাচলে তথ্যপ্রযুক্তির ৮ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- শেয়ার কারসাজিতে শ্যালক–দুলাভাইর দেড় কোটি টাকা জরিমানা
- চার কোম্পানির আর্থিক অনিয়মের দায়ে নিষিদ্ধ হচ্ছে ৬ নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান
- রেকর্ড ডেটে শেয়ার লেনদেন চালুর পরিকল্পনা ডিএসইর
- ধস কাটিয়ে অবশেষে শেয়ারবাজারে উত্থানের স্রোত