ঢাকা, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২
পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে বড় ভূখন্ড পাচ্ছে বাংলাদেশ
ডুয়া ডেস্ক: বাংলাদেশের ভৌগোলিক মানচিত্রে নীরবে ঘটছে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন—দেশের আয়তন দিন দিন বাড়ছে। পদ্মা, মেঘনা ও বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় অঞ্চলে বিগত কয়েক বছরে গড়ে উঠেছে ৫০টিরও বেশি নতুন চর ও দ্বীপ। এরা এখন শুধু মাটি নয়, স্থায়ী বসতির সম্ভাবনা জাগানো নতুন ভূখণ্ড। অনেকে বলছেন, হারানো দক্ষিণ তালপট্টির জবাব যেন প্রকৃতিই দিচ্ছে নতুন আশীর্বাদ হিসেবে।
স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের আয়তনে ক্রমাগত এই বৃদ্ধি লক্ষ করা যাচ্ছে। নদীর পলি জমে, বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলে, সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন চর। একসময় যে চরগুলো ছিল বর্ষাকালে নিমজ্জিত, এখন তারা শক্ত ভূমিতে রূপ নিচ্ছে—রীতিমতো দেশের মানচিত্রে স্থায়ীভাবে যুক্ত হয়ে যাচ্ছে।
পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশ বিশ্বের বৃহত্তম বদ্বীপ। গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা নদী হিমালয় থেকে প্রতিবছর প্রায় এক বিলিয়ন মেট্রিক টন পলি বয়ে এনে বঙ্গোপসাগরে ফেলে। যদিও এর একটি বড় অংশ গভীর সমুদ্রে হারিয়ে যায় তবুও বাকি অংশ নতুন ভূমি সৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি করছে।
১৯৭০ সালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের পর বঙ্গোপসাগরে জেগে উঠেছিল দক্ষিণ তালপট্টি নামের একটি দ্বীপ, যা নিয়ে শুরু হয়েছিল ভারত-বাংলাদেশ বিরোধ। স্যাটেলাইট ছবি ও নথিপত্র উপস্থাপন করে বাংলাদেশ তার দাবি তুলে ধরলেও ভারত সেখানে সামরিক উপস্থিতি জোরদার করে। পরে আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে দ্বীপটি ভারতের দখলে গেলেও আজ সেটি আর নেই—সমুদ্রেই হারিয়ে গেছে।
তবে প্রকৃতি থেমে থাকেনি। বিগত কয়েক বছরে কুকরি-মুকরি চর, ওসমান চর, কামাল তারুয়া চর, চড় গাঙ্গুলিয়াসহ আরও অনেক নতুন ভূখণ্ডের উদ্ভব ঘটেছে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর নদীভাঙনে হারাচ্ছি প্রায় ৩২ বর্গ কিলোমিটার কিন্তু ফিরেও পাচ্ছি প্রায় ১০০ বর্গ কিলোমিটার নতুন চর—যেটা নিঃসন্দেহে এক আশাব্যঞ্জক চিত্র।
এই নতুন চরগুলোর কিছুতে ইতোমধ্যেই গড়ে উঠেছে স্থায়ী বসতি ও অবকাঠামো। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি হিমালয় থেকে আসা পলি ধরে রাখার কৌশল যথাযথভাবে প্রয়োগ করা যায় তাহলে আগামী কয়েক দশকে দুই লক্ষ পাঁচ হাজার বর্গ কিলোমিটার পর্যন্ত নতুন জমি বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। অর্থাৎ আয়তনে প্রায় পশ্চিমবঙ্গের সমান একটি নতুন ভূখণ্ড অর্জনের পথে রয়েছে বাংলাদেশ।
জলবায়ু পরিবর্তনের আশঙ্কা যখন ভবিষ্যতের ভয় দেখাচ্ছে ঠিক তখনই পলি জমার এই প্রাকৃতিক চক্র যেন বাংলাদেশকে দিচ্ছে এক নতুন আশার আলো। নতুন চর আর দ্বীপ মিলিয়ে গড়ে উঠছে এক অনন্য ভূখণ্ডিক জাগরণ—প্রকৃতির নিজস্ব গতিতে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- নতুন মার্জিন নীতিতে কারা সুবিধা পাবেন, কারা হারাবেন?
- শেয়ারবাজারই হতে পারে ওষুধ শিল্পের নতুন প্রাণশক্তি: ডিএসই চেয়ারম্যান
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: কবে, কখন, কোথায়-যেভবে দেখবেন সরাসরি(LIVE)
- শেয়ারবাজারে নতুন মার্জিন বিধিমালা জারি করল বিএসইসি
- নিউজিল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ: খেলাটি মোবাইলে সরাসরি দেখুন(LIVE)
- নিয়ন্ত্রক সংস্থার টানাপোড়েনে বিপর্যস্ত ব্যাংক ও শেয়ারবাজার
- বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের ৬ কোম্পানির শেয়ারে ঝলক
- পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের বার্তা
- ‘নো ডিভিডেন্ড’- এর বদনাম ঘুচাল বস্ত্র খাতের তিন কোম্পানি
- পাঁচ ব্যাংকের বিনিয়োগকারীরা কী পাবেন? জানালেন গভর্নর
- সাপোর্টের রেকর্ড মুনাফা, ১৫ বছরে সর্বোচ্চ ডিভিডেন্ড
- চলতি সপ্তাহে আসছে ৯ কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- ব্রাজিল বনাম হন্ডুরাস: ৭ গোলে শেষ হলো ম্যাচ, জানুন ফলাফল
- বিএনপির মনোনয়নে শেয়ারবাজারে ঝড় তুলেছে তিন কোম্পানি
- চলতি সপ্তাহে আসছে ৪৪ কোম্পানির ইপিএস