ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২
পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে বড় ভূখন্ড পাচ্ছে বাংলাদেশ
.jpg)
ডুয়া ডেস্ক: বাংলাদেশের ভৌগোলিক মানচিত্রে নীরবে ঘটছে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন—দেশের আয়তন দিন দিন বাড়ছে। পদ্মা, মেঘনা ও বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় অঞ্চলে বিগত কয়েক বছরে গড়ে উঠেছে ৫০টিরও বেশি নতুন চর ও দ্বীপ। এরা এখন শুধু মাটি নয়, স্থায়ী বসতির সম্ভাবনা জাগানো নতুন ভূখণ্ড। অনেকে বলছেন, হারানো দক্ষিণ তালপট্টির জবাব যেন প্রকৃতিই দিচ্ছে নতুন আশীর্বাদ হিসেবে।
স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের আয়তনে ক্রমাগত এই বৃদ্ধি লক্ষ করা যাচ্ছে। নদীর পলি জমে, বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলে, সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন চর। একসময় যে চরগুলো ছিল বর্ষাকালে নিমজ্জিত, এখন তারা শক্ত ভূমিতে রূপ নিচ্ছে—রীতিমতো দেশের মানচিত্রে স্থায়ীভাবে যুক্ত হয়ে যাচ্ছে।
পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশ বিশ্বের বৃহত্তম বদ্বীপ। গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা নদী হিমালয় থেকে প্রতিবছর প্রায় এক বিলিয়ন মেট্রিক টন পলি বয়ে এনে বঙ্গোপসাগরে ফেলে। যদিও এর একটি বড় অংশ গভীর সমুদ্রে হারিয়ে যায় তবুও বাকি অংশ নতুন ভূমি সৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি করছে।
১৯৭০ সালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের পর বঙ্গোপসাগরে জেগে উঠেছিল দক্ষিণ তালপট্টি নামের একটি দ্বীপ, যা নিয়ে শুরু হয়েছিল ভারত-বাংলাদেশ বিরোধ। স্যাটেলাইট ছবি ও নথিপত্র উপস্থাপন করে বাংলাদেশ তার দাবি তুলে ধরলেও ভারত সেখানে সামরিক উপস্থিতি জোরদার করে। পরে আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে দ্বীপটি ভারতের দখলে গেলেও আজ সেটি আর নেই—সমুদ্রেই হারিয়ে গেছে।
তবে প্রকৃতি থেমে থাকেনি। বিগত কয়েক বছরে কুকরি-মুকরি চর, ওসমান চর, কামাল তারুয়া চর, চড় গাঙ্গুলিয়াসহ আরও অনেক নতুন ভূখণ্ডের উদ্ভব ঘটেছে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর নদীভাঙনে হারাচ্ছি প্রায় ৩২ বর্গ কিলোমিটার কিন্তু ফিরেও পাচ্ছি প্রায় ১০০ বর্গ কিলোমিটার নতুন চর—যেটা নিঃসন্দেহে এক আশাব্যঞ্জক চিত্র।
এই নতুন চরগুলোর কিছুতে ইতোমধ্যেই গড়ে উঠেছে স্থায়ী বসতি ও অবকাঠামো। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি হিমালয় থেকে আসা পলি ধরে রাখার কৌশল যথাযথভাবে প্রয়োগ করা যায় তাহলে আগামী কয়েক দশকে দুই লক্ষ পাঁচ হাজার বর্গ কিলোমিটার পর্যন্ত নতুন জমি বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। অর্থাৎ আয়তনে প্রায় পশ্চিমবঙ্গের সমান একটি নতুন ভূখণ্ড অর্জনের পথে রয়েছে বাংলাদেশ।
জলবায়ু পরিবর্তনের আশঙ্কা যখন ভবিষ্যতের ভয় দেখাচ্ছে ঠিক তখনই পলি জমার এই প্রাকৃতিক চক্র যেন বাংলাদেশকে দিচ্ছে এক নতুন আশার আলো। নতুন চর আর দ্বীপ মিলিয়ে গড়ে উঠছে এক অনন্য ভূখণ্ডিক জাগরণ—প্রকৃতির নিজস্ব গতিতে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- হলে ঢাবি ছাত্রীর হঠাৎ অসুস্থতা, হাসপাতালে মৃত্যু
- মার্জিন ঋণে মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডে বিনিয়োগ করা যাবে না
- ‘পদত্যাগ করতে পারেন ড. ইউনূস’
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষে পাঁচ শেয়ার
- শেয়ারবাজারের ৬ ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা, ৫ ব্যাংকের লোকসান
- ঢাবির হলে 'গাঁ’জার আসর', চার শিক্ষার্থীকে আটক
- ১২ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৯ খবর
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব: ফের অস্থির শেয়ারবাজার
- দুই কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘লাল তালিকা’য় ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠান
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- বেক্সিমকো-বেক্সিমকো ফার্মাসহ চার ব্যক্তি-এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা-সতর্ক
- সামিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কিনছে আরব আমিরাতের কোম্পানি
- বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের নতুন কমিটির অভিষেক শনিবার
- ভালুকায় প্রথম পাঁচতারা হোটেল চালু করছে বেস্ট হোল্ডিংস