ঢাকা, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২
ভারতে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনায় মার্কিন ফেডারেল সংস্থার উদ্বেগ

ডুয়া ডেস্ক: ভারতে সংখ্যালঘু মুসলমানদের প্রতি অমানবিক আচরণ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সংস্থা কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ)।
সংস্থাটির ২০২৫ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে, যা বার্তা সংস্থা রয়টার্সের মাধ্যমে জানানো হয়েছে।
এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গুপ্তহত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতের বৈদেশিক গুপ্তচর সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র) এর ওপর সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা আরোপের সুপারিশও করেছে ইউএসসিআইআরএফ।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) প্রকাশিত মার্কিন ফেডারেল সংস্থাটির বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৪ সালে ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা ও বৈষম্য বেড়েই চলেছে।’
এতে আরও বলা হয়, ‘হিন্দু জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তার ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) গত বছরের নির্বাচনী প্রচারণায় ‘মুসলিমসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছে ও ভুল তথ্য ছড়িয়েছে।’ গত বছর এপ্রিলে মুসলমানদের ‘অনুপ্রবেশকারী’ হিসেবে উল্লেখ করে মোদি বলেছিলেন, তারা ‘বেশি বেশি সন্তান’ নেয়। এর সঙ্গে কংগ্রেসসহ বিরোধীদের ভোটের স্বার্থ রয়েছে বলে মোদির অভিযোগ।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের কথা উল্লেখ করেছে মার্কিন সংস্থা কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ)। তবে নয়া দিল্লি এই প্রতিবেদনকে 'গভীরভাবে পক্ষপাতদুষ্ট' হওয়ার অভিযোগ তুলেছে। ২০১৪ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারে থাকাকালীন তিনি এসব ধর্মীয় বৈষম্য ও নিপীড়নের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। মোদির মতে, তার সরকারের বিদ্যুতায়ন এবং ভর্তুকির সুবিধা থেকে সংখ্যালঘুরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হয়েছে।
ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের জন্য ভারতকে 'কান্ট্রি অব পার্টিকুলার কনসার্ন' হিসেবে তালিকাভুক্ত করার পাশাপাশি নিখিল যাদব ও রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র)-এর বিরুদ্ধে 'সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা আরোপের' সুপারিশ করেছে ইউএসসিআইআরএফ।
মানবাধিকারকর্মীরা ভারতীয় সংখ্যালঘুদের দুর্দশা ও বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যের প্রসার, জাতিসংঘের দৃষ্টিতে চরম বৈষম্যমূলক নাগরিকত্ব আইন, ধর্মবিশ্বাসের স্বাধীনতা ক্ষুণ্নকারী আইন এবং কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা বাতিল ও মুসলমানদের মালিকানাধীন স্থাপনা ভাঙার মতো ইস্যুগুলো তুলে ধরেছেন।
ইউএসসিআইআরএফ একটি দ্বিদলীয় সরকারি সংস্থা। সংস্থাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ধর্মীয় স্বাধীনতা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে এবং সংশ্লিষ্ট দেশের জন্য সুপারিশ প্রদান করে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- সম্ভাবনার নতুন দিগন্তে শেয়ারবাজারের খান ব্রাদার্স
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে
- মূলধন ঘাটতিতে দুই ব্রোকারেজ হাউজ, ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- চলতি বছর শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্রায়াত্ব দুই প্রতিষ্ঠান
- মার্জারের সাফল্যে উজ্জ্বল ফার কেমিক্যাল
- তালিকাভুক্ত কোম্পানির ১৫ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা
- বিমা আইন সংস্কার: বিনিয়োগ ও আস্থায় নতুন দিগন্ত
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রথম ‘নো ডিভিডেন্ড’
- শেয়ারবাজারে রেকর্ড: বছরের সর্বোচ্চ দামে ১৭ কোম্পানি
- ডেনিম উৎপাদন বাড়াতে এভিন্স টেক্সটাইলসের বড় পরিকল্পনা
- তিন শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি, ডিএসইর সতর্কবার্তা
- তদন্তের খবরে থামছে দুই কোম্পানির ঘোড়দৌড়
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- ব্যাখ্যা শুনতে ডাকা হচ্ছে শেয়ারবাজারের পাঁচ ব্যাংককে