ঢাকা, সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২
যা বলছে বেসরকারি জরিপ
এখন নির্বাচন হলে কোন দল কতো শতাংশ ভোট পাবে?

ডুয়া নিউজ : বর্তমানে দেশে প্রধান আলোচনার বিষয়ের একটি হলো জাতীয় সংসদ নির্বাচন। অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার পর থেকেই নির্বাচনের কথা বলে আসছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসও বলেছেন অল্প সংস্কার চাইলে চলতি বছরের ডিসেম্বরে এবং বেশি সংস্কার চাইলে আগামী বছরের জুনের দিকে নির্বাচন হতে পারে।
এদিকে দেশে এই মুহূর্তে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে কোন রাজনৈতিক দল কত ভোট পাবে, এমন পরিসংখ্যান উঠে এসেছে বেসরকারি এক জরিপে। তাতে দেখা গেছে, বিএনপি সর্বোচ্চ ৪১.৭ শতাংশ ভোট পাবে।
এরপর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জামায়াত ইসলামী। তারা ৩১.৬ শতাংশ ভোট পাবে বলে জরিপে উঠে এসেছে। তবে এক্ষেত্রে ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। মাত্র ৫.১ শতাংশই নতুন রাজনৈতিক দলকে ভোট দিতে চান।
শনিবার (৮ মার্চ) প্রকাশিত উন্নয়ন গবেষণা ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনা সংস্থা ইনোভিশন কনসাল্টিং বাংলাদেশ পরিচালিত জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত 'জনগণের নির্বাচন ভাবনা' শীর্ষক একটি জরিপ চালানো হয়। এতে সারাদেশের ১০ হাজার ৬৯৬ জন অংশগ্রহণ করেন।
জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ ১৩.৯ শতাংশ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ২.৬ শতাংশ, জাতীয় পার্টি ১ শতাংশ, গণ অধিকার পরিষদ ০.৫ শতাংশ, গণ সংগতি আন্দোলন ০.২ শতাংশ এবং অন্যান্য দলগুলি ৩.৩ শতাংশ ভোট পেতে পারে।
ইনোভিশন কনসাল্টিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রুবাইয়াৎ সরওয়ার জরিপের বিস্তারিত ফলাফল তুলে ধরেন। এতে বলা হয়, জরিপে অংশগ্রহণকারী ৬২ শতাংশ ভোটার ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা কাকে ভোট দেবেন এবং ২৯.৪ শতাংশ এখনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেননি। এছাড়া ৮.৬ শতাংশ ভোটার জরিপে মন্তব্য প্রদান করেননি।
জরিপে দেখা যায়, দেশের ৩১.৬ শতাংশ ভোটার চলতি বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন চাইছেন এবং ২৬.৫ শতাংশ ভোটার চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চান।
এছাড়া ২০২৬ সালের জুনে ৭.৯ শতাংশ, ডিসেম্বরে ৬.৬ শতাংশ এবং ২০২৬ সালের ডিসেম্বারের পর ১০.৯ শতাংশ ভোটার নির্বাচনের পক্ষে। তবে ১৬.৪ শতাংশ ভোটার এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
অন্যদিকে, জরিপে দেখা গেছে, ১৩ শতাংশ ভোটার রাজনৈতিক সংস্কারের পক্ষে মত দিয়েছেন এবং ৯ শতাংশ ভোটার সাংবিধানিক সংস্কারের পক্ষে। ভোটারদের প্রত্যাশা অনুযায়ী, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছ থেকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক কল্যাণ সূচকগুলোর দিকে বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত এবং সংস্কার কর্মসূচির বিষয়ে তুলনামূলকভাবে তাদের আগ্রহ কম।
ইনোভিশন কনসাল্টিং একটি বাংলাদেশ ভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন গবেষণা এবং প্রকল্প ব্যবস্থাপনা সংস্থা। এই সংস্থাটি গত ১৬ বছর ধরে বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য কাজ করে আসছে। এছাড়া সামাজিক এবং বাজার সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়েও তারা গবেষণা পরিচালনা করে। ইনোভিশন কনসাল্টিং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নেও সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- হলে ঢাবি ছাত্রীর হঠাৎ অসুস্থতা, হাসপাতালে মৃত্যু
- মার্জিন ঋণে মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডে বিনিয়োগ করা যাবে না
- ‘পদত্যাগ করতে পারেন ড. ইউনূস’
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষে পাঁচ শেয়ার
- শেয়ারবাজারের ৬ ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা, ৫ ব্যাংকের লোকসান
- ঢাবির হলে 'গাঁ’জার আসর', চার শিক্ষার্থীকে আটক
- ১২ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৯ খবর
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব: ফের অস্থির শেয়ারবাজার
- দুই কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘লাল তালিকা’য় ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠান
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- বেক্সিমকো-বেক্সিমকো ফার্মাসহ চার ব্যক্তি-এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা-সতর্ক
- সামিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কিনছে আরব আমিরাতের কোম্পানি
- বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের নতুন কমিটির অভিষেক শনিবার
- ভালুকায় প্রথম পাঁচতারা হোটেল চালু করছে বেস্ট হোল্ডিংস