ঢাকা, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২
স্নাতক ৩ বছর
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ বছর বাধ্যতামূলক কারিগরি প্রশিক্ষণ
.jpg)
ডুয়া নিউজ : প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী মর্যাদা) অধ্যাপক ড. এম আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান চার বছরের স্নাতক (সম্মান) কোর্সকে তিন বছর করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বাকি এক বছর বাধ্যতামূলকভাবে কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। শিক্ষাজীবন শেষ করে শিক্ষার্থীরা যাতে দেশ-বিদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভালো ভালো চাকরি করতে পারেন।
আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আজ রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ‘বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন’ (বিএনসিইউ) এবং ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের যৌথ উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও শিক্ষা : যান্ত্রিক স্বয়ংক্রিয়তার যুগে মানবসত্তা ও মানবিক ক্ষমতার স্বকীয়তা, সুরক্ষা এবং বিকাশ’ প্রতিপাদ্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের (আমাই) অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় এ আলোচনা সভা।
অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম বলেন, “জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চার বছরের অনার্স কোর্সকে তিন বছরের কোর্স করা হবে। বাকি এক বছরে ডিপ্লোমা ও কারিগরির ওপর ব্যাপকভাবে শিক্ষা দেওয়া হবে। তারপর তাদের দুটো সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।”
তিনি আরও বলেন, “একটা অনার্সের সার্টিফিকেট দেওয়া হবে; আরেকটা ডিপ্লোমার সার্টিফিকেট দেওয়া হবে, যে সার্টিফিকেটটা ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে সবার কাছে। তার অনার্স পড়ার যে ড্রিম তাও ঠিক থাকল, আর চাকরিও তারা পাবে, অনেক ভালো চাকরি।”
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, “মনে হয় একটা অভিনব-অসাধারণ সিদ্ধান্ত হতে যাচ্ছে।” নতুন ব্যবস্থায় কর্মসংস্থানে বেগ পেতে হবে না বলে মনে করেন তিনি।
ডিপ্লোমা বা কারিগরি ডিগ্রি নিয়ে ট্যাবু আছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটা একটা ট্যাবু, স্টিগমা রয়েছে গোটা দেশের ভেতর ডিপ্লোমা যদি পড়ে, কারিগরি যদি পড়ে, তাহলে এটা খুব খারাপ একটা বিষয় হবে। লোকের কাছে মুখ দেখাতে পারবে না। এটার জন্য খুব অভিনব ব্যবস্থা করতে যাওয়া হচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে।
কারিগরি শিক্ষায় আমূল পরিবর্তন আনা হবে বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, “যেটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল দেশের জন্য, সেটা সবচেয়ে অনুন্নত অবস্থায় আছে। তাদের যে শিক্ষক দরকার, তার ১৮ পারসেন্ট রয়েছে। তাদের প্র্যাক্টিকাল ও থিওরি আছে। প্র্যাক্টিকালের জন্য ল্যাবরেটরি নাই, ট্রেইনার নাই, টিচার নাই। তাই থিওরি পড়িয়ে দেওয়া হয়, পরে ভাইভা নেওয়া হয়। প্র্যাক্টিকাল করানোই হয় না, কিন্তু তার ভিত্তিতেই সার্টিফিকেট দিয়ে দেওয়া হয়। এটার আমূল পরিবর্তন করা হবে।”
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ারবাজারে বিস্ময়: এক লাখ টাকার শেয়ার ৮০ কোটি!
- ডিভিডেন্ডের উপর উচ্চ কর: শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ
- বদলে গেছে ধারণা, বিস্মিত ইসরায়েল
- মুনাফা থেকে লোকসানে তথ্য প্রযুক্তির দুই কোম্পানি
- শেয়ারবাজারের শর্ত পূরণে ৬০ কোম্পানিকে বিএসইসির আল্টিমেটাম
- মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত শেয়ারবাজারের ১৩ ব্যাংকের
- শেয়ারবাজারের ১০ ব্যাংকে আমানত বেড়েছে ৩২ হাজার কোটি টাকা
- নীলক্ষেত হোস্টেল থেকে ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীর ম’রদেহ উদ্ধার
- ইরানকে হা-ম-লা বন্ধে প্রস্তাব
- ঢাবিতে হটাৎ ছাত্রলীগের বিক্ষোভ, ককটেল বি-স্ফো-র-ণ
- কারাগারে ফাঁসিতে ঝুললেন সেই অস্ত্রধারী আ’লীগ নেতা
- দুই বড় খবরের মধ্যে আজ খুলছে দেশের শেয়ারবাজার
- ডিভিডেন্ড বেড়েছে শেয়ারবাজারের সাত ব্যাংকের
- মূলধনের বেশি রিজার্ভ জ্বালানি খাতের ১৪ কোম্পানির
- মুনাফা বেড়েছে ১৮ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির