ঢাকা, মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট ২০২৫, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২
যশোরের জাফর এখন ইউক্রেন যুদ্ধে, বাড়ি ফেরার আকুতি
.jpg)
ডুয়া ডেস্ক: স্বপ্ন ছিল সাইপ্রাসে গিয়ে জীবিকা নির্বাহ করবেন। তাই পরিবারের ভরণপোষণের জন্য ঘরও ছেড়েছিলেন। কিন্তু তার ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, এখন তাকে রাশিয়ায় গিয়ে যুদ্ধ করতে হচ্ছে। পাচারের শিকার হয়ে তিনি এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন।
যশোর সদর উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের সরদারপাড়ার খায়রুল সরদারের ছেলে জাফর হোসেন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন। সম্প্রতি তিনি ফোনে তার পরিবারকে পাচারের কথা জানান এবং বর্তমানে যে অবস্থায় আছেন সেটি বর্ণনা করেন। যুদ্ধের ময়দানে জীবনসংকট নিয়ে বাড়ি ফেরার আকুতি জানিয়েছেন তিনি। এমনকি যুদ্ধের পোশাক পরিহিত একটি ছবি পাঠিয়েছেন।
এদিকে জাফরের মা হাসিনা খাতুন এবং স্ত্রী খাদিজা খাতুন তার সন্তানের পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগে আছেন। তাদের দুইটি ছেলে এবং একটি মেয়ে রয়েছে।
জাফর পাঁচ মাস আগে ঢাকার একটি এজেন্সির মাধ্যমে সাইপ্রাসে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি ছাড়েন। সাইপ্রাসে যাওয়ার জন্য তাকে ৯ লাখ টাকা দিতে হয়েছিল। কিন্তু দালালচক্র তাকে প্রথমে সৌদি আরবে পাঠায়। সেখানে দুই মাস থাকার পর দুবাই নেওয়া হয়। এরপর তাকে বিক্রি করে রাশিয়ায় পাঠানো হয়। রাশিয়ায় গিয়ে জাফরকে বলা হয় সেনাদের কাপড় পরিষ্কার করার জন্য। কিন্তু পরে তাকে যুদ্ধের ময়দানে ব্যবহার করা হয়।
জাফরের বাবা খায়রুল সরদার জানান, এখন তার ছেলে কান্না করতে করতে জানিয়েছে যে, যুদ্ধ করতে গিয়ে বাংলাদেশের একজন নাগরিক মারা গেছে এবং অন্য একজন আহত হয়েছে। এখন সে বাড়ি ফিরতে চায় কারণ তার বিশ্বাস সে যুদ্ধের ময়দানে আর বাঁচবে না।
এদিকে জাফরের স্ত্রী খাদিজা খাতুন জানান, কয়েকদিন আগে স্বামীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, তার দুই সন্তানকে দেখাশোনা করতে এবং সরকারের কাছে একটাই আবেদন করেছে— স্বামীকে যেন দ্রুত ফিরিয়ে আনা হয়।
জাফরের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, মামাতো ভাই মাহাবুবুর রহমানের মাধ্যমে ঢাকার একটি এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ হয়। তবে মাহবুবুর রহমান বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, জাফর তামান্না নামের এক নারীর মাধ্যমে সাইপ্রাস যাওয়ার জন্য এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু সাইপ্রাসের ভিসা না পাওয়ায়, পরে তাকে রাশিয়া পাঠানো হয়।
মাহবুবুর রহমান আরও জানান, তারা (এজেন্সি) বলেছিলেন, রাশিয়ার যুদ্ধের পরিস্থিতি নিরাপদ, সেখানে জাফরকে শুধু ক্লিনারের কাজ করতে হবে এবং যুদ্ধের পরিস্থিতি তিনি দেখতে বা জানতে পারবেন না। কিন্তু এখন জাফরকে অস্ত্র হাতে ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে এবং সে মাটির নিচে বাংকারে আছে। এখন তার জীবিত না মৃত হওয়ার কোনো নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।
জাফরের পরিবার তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছেন।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ডিভিডেন্ড দিতে পারছে না বস্ত্র খাতের ১৩ কোম্পানি
- ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ফিরেছে আর্থিক খাতের কোম্পানি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- শেয়ারবাজারের ৬ ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা, ৫ ব্যাংকের লোকসান
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৭ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- ডিএসইর সতর্কবার্তার জালে দুর্বল দুই কোম্পানির শেয়ার
- চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে দুই কোম্পানির বাজিমাত
- বিসিএসে স্বতন্ত্র বিভাগে অন্য বিভাগ অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ
- রবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের মুখে গ্রামীণফোন
- টানা পতনেও শেয়ারবাজারে পুনরুজ্জীবনের সংকেত
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- চলতি সপ্তাহে ৬ কোম্পানির ডিভিডেন্ড অনুমোদন
- শেখ সেলিমের ২১টি বিও অ্যাকাউন্ট ও ৩৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ