ঢাকা, সোমবার, ৪ আগস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২
শেখ পরিবারের ম্যুরাল-নামফলক সরালো যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
.jpg)
ডুয়া নিউজ: গতকাল বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে শেখ হাসিনার ফেসবুক ভাষণকে কেন্দ্র করে উত্তাল পুরো দেশ। ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ‘বুলডোজার মিছিলের’ ডাক দেয়। এদিন রাত ৮টার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ির ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় সেখানে ভাঙচুর চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করেন তারা। পরে রাত পৌনে ১১টার দিকে শেখ হাসিনার ধানমন্ডি ৫ নম্বরের বাসভবন সুধাসদনেও আগুন দেন তারা।
এরপর দেশের বিভিন্ন জেলায় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ম্যুরাল ও স্থাপনা ভাঙচুর করেন ছাত্র-জনতা। বুধবার রাত ও আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলে এই কর্মকাণ্ড। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম মুছে ফেলে করা হয় ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল’। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও ঘটেছে একই ঘটনা।
জানা যায়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যূরাল ভাঙচুর করেছে ছাত্র-জনতা। বুধবার দিবাগত রাতে বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হয় এটি। এ সময় ছাত্র-জনতা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ম্যুরাল ভেঙে ফেলা হয়েছে। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া নামফলকও ভেঙে ফেলা হয়।
এছাড়া, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও অ্যাকাডেমিক ভবনসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থাপনায় মুজিব পরিবারের নাম মুছে দিতে ভাঙচুর ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার রাত ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নামফলক ভাংচুর করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এসময় বঙ্গবন্ধু হলের নাম পরিবর্তন করে 'বিজয়-২৪' নামকরণ করেন তারা।
পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, নির্মাণাধীন শেখ হাসিনা হল, কামারুজ্জামান হল, শেখ রাসেল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে থাকা নামফলকও ভেঙে ফেলা হয়েছে। এছাড়াও ক্যাম্পাসজুড়ে থাকা মুজিব পরিবারের নামে গ্রাফিতি ও দেয়াল লিখন মুছে ফেলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এদিকে গতকাল বুয়েট সিন্ডিকেট সভায় ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলে’র নাম পরিবর্তন করে ‘স্বাধীনতা হল’ রাখা হয়।
এছাড়া দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরাও শেখ মুজিব পরিবারের নামে থাকা ম্যুরাল ও নামফলক ভেঙ্গে মুছে দিয়েছে। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ ভবনের সামনে জড়ো হয়ে হাতুড়ি, শাবল দিয়ে শেখ মুজিবের ম্যুরাল ও নামফলক ভাঙচুর করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ ভবন এবং দশতলা ভবনের নৌকার আদলে তৈরি নামফলক ভেঙে দেয় তারা। এছাড়াও শেখ পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ক্যাম্পাসের অন্যান্য নামফলকে ভাঙচুর চালায় তারা।
বুধবার রাতেই বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ ফজিলাতুন্নেছা এবং মির্জা আজমের ম্যুরাল ভাঙচুর করেন এবং আগুন লাগিয়ে দেন তারা।
এছাড়াও, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শেখ হাসিনা আবাসিক হলের নামফলক ভেঙে দেয়া হয়েছে। পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের শেখ রাসেল আবাসিক হলের নামফলকও মুছে ফেলেছেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজিব ম্যুরালে শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি ঝুলিয়ে প্রায় ৩০ মিনিট ধরে জুতা নিক্ষেপ করা হয়।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্র ও বহুজাতিক ১৫ কোম্পানি
- ভারতে ঢাবির দুই ছাত্রীর ছবি নিয়ে তোলপাড়, ক্ষোভ
- ১১'শ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিবে ঘুড্ডি ফাউন্ডেশন
- দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে ১৪ কোম্পানি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স
- ডিএনসিসির শিক্ষাবৃত্তি পাবে ২ হাজার শিক্ষার্থী
- স্কয়ার ফার্মার বাজার মূলধনে নতুন মাইলফলক
- শেয়ারবাজারে বড়দের দাপট, ছোটদের পিছুটান
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ৪ প্রতিষ্ঠান
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ৭ প্রতিষ্ঠান
- বিকালে আসছে ১০ কোম্পানির ইপিএস
- বিকালে আসছে ২১ কোম্পানির ইপিএস
- নতুন সিনেট সদস্য হলেন ঢাবির ৫ অধ্যাপক
- শিবলী রুবাইয়াত ও শেখ শামসুদ্দিন শেয়ারবাজারে অবাঞ্ছিত ঘোষণা