ঢাকা, বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২
দুই ডিজির পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষক কর্মচারীদের শিক্ষা ভবন ঘেরাও
.jpg)
ডুয়া ডেস্ক : সদ্য নিয়োগ পাওয়া মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)-এর মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. এহতেশাম উল হক এবং জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির (নায়েম) মহাপরিচালক ড. জুলফিকার হায়দারের প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষা ভবন ঘেরাও করেছে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট।
বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় রাজধানীর আব্দুল গনি রোডে মাউশির মূল ভবনের সামনে শতাধিক শিক্ষক ও কর্মচারী বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। পরে ভবনের সামনে এসে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
শিক্ষকদের এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
শিক্ষকদের অভিযোগ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে পদায়ন পাওয়া অধ্যাপক ড. এহতেশাম উল হককে প্রত্যাহার করতে হবে। বর্তমান শিক্ষাসচিব আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন শুরু করেছে। অবিলম্বে মাউশির মহাপরিচালকের পদত্যাগ করতে হবে।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, মাউশির ডিজি পদে পদায়ন পাওয়া অধ্যাপক ড. এহতেশাম উল হক বরিশাল সিটির সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর ঘনিষ্ঠ অনুচর হিসেবে সর্বমহলে পরিচিত। তার হাত ধরেই বরিশাল বিএম কলেজের রসায়ন বিভাগ থেকে বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ পদে পদায়ন পান অধ্যাপক ড. এহতেশাম উল হক।
তারা বলেন, আওয়ামী বলয়ের প্রভাবশালী অধ্যক্ষ হওয়ায় ক্ষমতার দাপটে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ লোপাট, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারসহ বিস্তর অভিযোগে পাঁচ আগস্টের পরে অধ্যক্ষ পদ থেকে প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা ধারাবাহিক আন্দোলন, আল্টিমেটাম এবং শিক্ষা সচিবের লিখিত অভিযোগ দেন। এরপরই তাতে অধ্যক্ষ পদ থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। আওয়ামী ঘনিষ্ঠ অনুচর ও বিতর্কিত শিক্ষা ক্যাডারের এই কর্মকর্তা কীভাবে মাউশির ডিজির পদে আসীন হয় তা শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটসহ শিক্ষার্থী এবং সুশীল সমাজের কারো বোধগম্য নয়।
শিক্ষা প্রশাসনে পদায়নের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগীদের দাপট এখনো কমেনি জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালনরত শিক্ষকরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে শিক্ষার্থীদের ক্রমাগত চাপের মুখে আওয়ামী ভিসি এবং সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ পরিবর্তন পর তাদেরকে আবারও ডেকে এনে পুনর্বহাল করা হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সিন্ডিকেটের প্রত্যক্ষ সহযোগী আওয়ামী সুবিধাভোগী এসব কর্মকর্তাদের পুনর্বহাল এবং গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে পদায়ন করা হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এখনও আওয়ামী বলয় মুক্ত হয়নি। যার প্রমাণ মাউশির ডিজি পদে আওয়ামীকরণ।
এই বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের সহকারী মহাসচিব অধ্যাপক বদরূল ইসলাম, সাংবাদিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ আলীবদ্দীন ও যুগ্মমহাসচিব আব্দুল হাকিমসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজ শিক্ষকরা অংশ নেন।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ডিভিডেন্ড দিতে পারছে না বস্ত্র খাতের ১৩ কোম্পানি
- ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ফিরেছে আর্থিক খাতের কোম্পানি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- শেয়ারবাজারের ৬ ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা, ৫ ব্যাংকের লোকসান
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৭ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- ডিএসইর সতর্কবার্তার জালে দুর্বল দুই কোম্পানির শেয়ার
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব: ফের অস্থির শেয়ারবাজার
- চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে দুই কোম্পানির বাজিমাত
- বিসিএসে স্বতন্ত্র বিভাগে অন্য বিভাগ অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- রবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের মুখে গ্রামীণফোন
- টানা পতনেও শেয়ারবাজারে পুনরুজ্জীবনের সংকেত
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- চলতি সপ্তাহে ৬ কোম্পানির ডিভিডেন্ড অনুমোদন