ঢাকা, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২

দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক, নেতৃত্বে প্রধান উপদেষ্টা

২০২৫ ডিসেম্বর ২২ ১৮:৫১:০৫

দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক, নেতৃত্বে প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে স্থিতিশীলতা ও ভারসাম্য ফিরে এসেছে। দীর্ঘ আড়াই বছর পর প্রথমবারের মতো মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের নিচে নেমেছে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির এই চিত্র উঠে আসে।

বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বাজেট ব্যয় ও অর্থনীতির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চলক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

মূল্যস্ফীতি ও মজুরি: বৈঠকে জানানো হয়, ২০২৫ সালের নভেম্বর মাসে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি কমে ৮.২৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সরকারের সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির ফলে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে এটি ৭ শতাংশের নিচে নামবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, মূল্যস্ফীতি ও মজুরি বৃদ্ধির হারের পার্থক্য কমে আসায় সাধারণ মানুষের প্রকৃত আয় পুনরায় বাড়তে শুরু করেছে।

বৈদেশিক মুদ্রা ও রিজার্ভ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত গ্রস বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩২.৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে, যা ২০২৪ সালের আগস্টে ছিল মাত্র ২৫ বিলিয়ন ডলার। প্রবাস আয়ের গতি বৃদ্ধি এবং বিনিময় হার স্থিতিশীল হওয়ার কারণে রিজার্ভের এই ঊর্ধ্বগতি বজায় থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রবাস আয় ও আমদানি: চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) ৫ লক্ষ কর্মীর বৈদেশিক কর্মসংস্থান নিশ্চিত হয়েছে এবং রেমিট্যান্স এসেছে ১৩.০৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ১৭.১৪ শতাংশ বেশি। এছাড়া, অর্থনীতির চাকা সচল করতে আমদানির বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ায় আমদানি প্রবৃদ্ধি ৬.১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

ব্যবসায়িক পরিবেশ ও ঋণপত্র (LC): দেশের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার হওয়ায় ঋণপত্র খোলার হার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। মূলধনী যন্ত্রপাতির এলসি খোলার ক্ষেত্রে ২৭.৭ শতাংশ এবং শিল্পজাত কাঁচামালের ক্ষেত্রে ৪০.৯৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে, যা দেশের উৎপাদনশীল খাতে গতির সঞ্চার করেছে।

কৃষি উৎপাদন: প্রাকৃতিক বিপর্যয় না থাকায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৬০.৯৫ লক্ষ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে সরকারি খাদ্যশস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ হবে।

এসপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত