ঢাকা, সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

‘নির্বাচন দেওয়ার শর্ত ছিল না’

২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ১৬:২৭:২৭

‘নির্বাচন দেওয়ার শর্ত ছিল না’

নিজস্ব প্রতিবেদক: নতুন করে দায়িত্ব গ্রহণের সময় অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য নির্বাচন আয়োজনের কোনো বাধ্যবাধকতা ছিল না বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান ও নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। তার ভাষায়, সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি তারাই দিয়েছেন, বাইরে থেকে এমন কোনো শর্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়নি।

সোমবার সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক বছরের সাফল্য তুলে ধরতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি উল্লেখ করেন, নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলো দৌড়ঝাঁপ শুরু করলেও সরকার তা নিয়ন্ত্রণের কোনো ভূমিকা রাখছে না এটি রাজনৈতিক স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার অংশ বলেই তিনি মনে করেন।

বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরাই এখন দিশেহারা অবস্থায় রয়েছে কে কোথায় যাবে, কী করবে, তা নিয়ে তাদের অনিশ্চয়তা রয়েছে। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, এই চিত্র বাংলাদেশে নতুন নয়; ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তী সময়েও এমন পরিস্থিতি দেখা গেছে। দেশের রাজনৈতিক দলগুলো স্বভাবগতভাবে মুখে মুখে মতবিনিময় করে, যা তার মতে বিরোধ নয় বরং রাজনৈতিক আলোচনা।

তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা তখনই বলা যাবে যখন সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো বিপরীতমুখী অবস্থানে দাঁড়াবে। নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে কোনো পক্ষ সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করেনি বলেও দাবি করেন তিনি। তার কথায়, “আমাদের কেউ কি ঘাড় ধরে বলেছে যে এক বছরের বা দেড় বছরের মধ্যে নির্বাচনে যেতে হবে? এমন কোনো শর্ত ছিল না। আমরা নিজেরাই বলেছি নির্বাচন হবে।”

নির্বাচন প্রসঙ্গে উপদেষ্টা আরও জানান, দায়িত্ব নেওয়ার সময় কোনো পূর্বনির্ধারিত সময়সীমা তাদের হাতে দেওয়া হয়নি। ৮ আগস্ট দায়িত্ব গ্রহণের পর পরিস্থিতি ছিল "সম্পূর্ণ ফাঁকা" কোনো ম্যান্ডেট বা সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। তবে তিনি মনে করেন, দেশে একটি নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন এবং নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়াই গণতন্ত্রের স্বাভাবিক পথ।

শেষে তিনি বলেন, দেশে সার্বজনীন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া স্থিতিশীল হওয়া জরুরি। গত ১৭-১৮ বছর ধরে এই প্রক্রিয়া স্থায়িত্ব পায়নি উল্লেখ করে তিনি আশা প্রকাশ করেন যদি বর্তমান সরকার সেই স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে পারে, তবে সেটিই হবে বড় অর্জন।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত