ঢাকা, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

ঢাবি ও ডাকসুর উদ্যোগে বদলে যাচ্ছে ঢাবি মেডিকেল

২০২৫ ডিসেম্বর ০২ ১৩:৪১:৫২

ঢাবি ও ডাকসুর উদ্যোগে বদলে যাচ্ছে ঢাবি মেডিকেল

নিজস্ব প্রতিবেদক :পরীক্ষার যন্ত্র ঠিক আছে তো ডাক্তার নেই। আবার ডাক্তার আছেন তো যন্ত্র ঠিক নেই। প্রেসক্রিপশন আছে তো ওষুধ নেই। মেডিকেল সেন্টার খোলা আছে তো লোকবল নেই। যেকোন অসুস্থতার জন্য যেন নাপাতেই ছিল ভরসা। এমন অবস্থার জন্য শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলের নাম রেখেছিল নাপা সেন্টার। তবে ঢাবির নতুন প্রশাসন ও ডাকসুর উদ্যোগে এবার অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে। নতুন করে সাজানো হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই স্বাস্থ্য কেন্দ্র।

গতকাল ১ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা মেডিকেল সেন্টারের আধুনিকায়ন ও জরুরি চিকিৎসা সেবা জোরদার করতে প্রায় ২ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকার চলমান প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান।

প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে একটি আধুনিক অ্যাম্বুলেন্স, ১০টি এয়ার কন্ডিশনার, এক্স-রে মেশিন, ইসিজি মেশিন, এনালাইজার, মাইক্রোস্কোপ, হাসপাতাল বেড, আলমিরা, চেয়ার, ডেস্কসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম ও আসবাবপত্র প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া নিচতলায় ইমার্জেন্সি ইউনিট স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে এবং বাকি সংস্কার কাজ দ্রুত দৃশ্যমান হবে।

মেডিকেল সেন্টার পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, ফার্মেসী অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সেলিম রেজা, অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাকিলা নার্গিস খান, বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহা. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, শহিদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা মেডিকেল সেন্টারের প্রধান মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ তানভীর আলী, Turkish Cooperation and Coordination Agency (TIKA) -এর বাংলাদেশ কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ আলী আরমান, ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম, ডাকসুর ছাত্র পরিবহন সম্পাদক আসিফ আবদুল্লাহ, বিজ্ঞান সম্পাদক ইকবাল হায়দার ও বিভিন্ন হল সংসদের নেতৃবৃন্দ।

এদিকে রোটারি ক্লাব অব গুলশান টাইগার্স-এর পক্ষ থেকে শহিদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা মেডিকেল সেন্টারে একটি RO Water Filter হস্তান্তর করা হয়। ক্লাবের প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান নাজমুল করিম ফিল্টারটি শহিদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা মেডিকেল সেন্টারের প্রধান মেডিকেল অফিসারের কাছে তুলে দেন। এই ফিল্টার প্রতি ঘণ্টায় ২০০ জিপিডি বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করবে। যা সেবাগ্রহীতাদের উপকারে আসবে।

পরিদর্শন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের জন্য মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে মেডিকেল সেন্টারের আধুনিকায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নতুন সরঞ্জাম, অ্যাম্বুলেন্স ও ইমার্জেন্সি ইউনিট যুক্ত হওয়ায় সেবার মান আরও উন্নত হবে।

ডুয়া/নয়ন

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত