ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

পলাতক নেতাকর্মীর হুমকিতে পুলিশের মাঠকর্মীরা আতঙ্কিত

২০২৫ নভেম্বর ২৪ ১৪:৫০:১২

পলাতক নেতাকর্মীর হুমকিতে পুলিশের মাঠকর্মীরা আতঙ্কিত

নিজস্ব প্রতিবেদক :প্রতিনিয়ত পুলিশের অসংখ্য সদস্যকে ফোনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দিচ্ছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাকর্মীরা। পুলিশ মনে করছে, তারা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঠেকাতে মাঠে কঠোর অবস্থান নেওয়ায় এসব হুমকি দেওয়া হচ্ছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, এসব হুমকির ক্ষেত্রে প্রায়শই ভারতীয় ফোন নম্বর ব্যবহার করা হচ্ছে। পুলিশ সদর দপ্তর ইন্টারপোলের মাধ্যমে এসব সিম কার্ডের রেজিস্ট্রেশন যাচাই করার উদ্যোগ নিয়েছে।

সূত্র জানায়, নাশকতাকারীদের গ্রেফতারে মাঠে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ কর্মকর্তাদের ভয় দেখানো হচ্ছে। হুমকিদাতারা কখনো তাদের পরিবারকে টার্গেট করছে, আবার কখনো চাকরি থেকে অবসরের পরও ক্ষতি করার হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনির হাসানকে ফোন করা এক ব্যক্তি নিজেকে স্থানীয় নাগরিক পরিচয় দিয়ে হুমকি দেন। ৭ নভেম্বর একটি ফেসবুক পেজে ওই কথোপকথনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় তা দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়।

এসআই মনির হাসানএকটি সংবাদ মাধ্যমকে জানান , তিনি সন্ত্রাস দমন আইনের কিছু মামলা ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা। নানা নম্বর থেকে নিয়মিত হুমকি আসছে এবং হুমকিদাতার পরিচয় জানা গেছে—পাশের কোটালিপাড়া থানার ইমরান হোসেন রাজিব। অনেক ক্ষেত্রে এই হুমকির কলরেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, যা মাঠে দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তাদের মানসিক চাপ বৃদ্ধি করছে। নিরাপত্তার জন্য পুলিশ সদস্যরা থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছেন।

পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মনে করছেন, মাঠপুলিশকে মানসিকভাবে দুর্বল করতে এ ধরনের কাজ করছে পলাতক নেতাকর্মীরা। সম্প্রতি পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের অভ্যন্তরীণ এক সভায় বিষয়টি আলোচনা হয়েছে, তবে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা আসেনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তানভীর রহমান জানান, হুমকি মানসিক চাপ তৈরি করে। যদি নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকে, তবে এই হুমকিগুলো প্রভাব ফেলবে না। সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, হুমকি দেওয়া একটি অপরাধমূলক কাজ এবং হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত।

গত বছরের ৫ আগস্টের পরও পলাতক নেতাকর্মীরা পুলিশকে টার্গেট করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেতিবাচক প্রচারণা চালিয়ে বিভিন্ন পুলিশ কর্মকর্তার নাম, ছবি প্রকাশ করেছে। পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (অপারেশন্স) মো. রেজাউল করিম জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তারা উদ্বিগ্ন নন। প্রয়োজন হলে মামলা নেওয়া হয়, জিডির মাধ্যমে ইনকোয়ারি করা হয় এবং ইন্টারপোলের মাধ্যমে সিম কার্ডের মালিকানা যাচাই করা হচ্ছে।

ডুয়া/নয়ন

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত