ঢাকা, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২

গাজায় জাতিগত নিধন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল: এরদোগান

২০২৫ নভেম্বর ০৯ ১৩:০০:৩০

গাজায় জাতিগত নিধন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল: এরদোগান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর নির্দেশে পরিচালিত গণহত্যার ঘটনায় তুরস্ক সরকার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এর্দোগান শনিবার জানিয়েছে, গণহত্যার অভিযোগে মোট ৩৭ জনের বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

নেতানিয়াহুর সঙ্গে এই তালিকায় রয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্তজ, জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ইতামার বেন গভির এবং সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আইয়াল জামি। ইস্তানবুলের বিচার দফতরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ১৭ অক্টোবর আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে হামলায় ৫০০ জন নিহত হয়েছেন।

এর্দোগান অভিযোগ করেছেন, ২০২৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি ইসরায়েলি সেনারা ইচ্ছাকৃতভাবে চিকিৎসার সরঞ্জাম ধ্বংস করেছে। গাজাকে অবরুদ্ধ রাখার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেছেন, ইসরায়েল ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ধারাবাহিকভাবে গাজায় ‘জাতিগত নিধন’ ও ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ চালিয়ে যাচ্ছে।

বিবৃতিতে তুরস্ক-ফিলিস্তিন ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে হামলার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। গাজায় তুরস্কের তহবিলায় নির্মিত ওই হাসপাতাল গত মার্চে ইসরায়েলি বাহিনী দ্বারা লক্ষ্যবস্তুতে বোমা ফেলা হয়।

নেতানিয়াহুসহ ইসরায়েল সরকার এবং সেনাবাহিনীর শীর্ষকর্তাদের বিরুদ্ধে এই গ্রেফতারি পরোয়ানা পশ্চিম এশিয়ায় নতুন অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর আগে তুরস্ক, দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে যৌথভাবে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আসিজি) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দায়ের করা গণহত্যার মামলায় অংশগ্রহণ করেছিল।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আঞ্চলিক শান্তি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১০ অক্টোবর থেকে গাজায় নাজুক যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে। কিন্তু শুক্রবারের পরোয়ানা জারির পরপরই ইসরায়েল নিন্দা জানিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদন সার বলেছেন, এই গ্রেফতারি পরোয়ানা তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোগানের রাজনৈতিক প্রচারণা বা পিআর কৌশলের অংশ।

কেএমএ

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত