বিএনপির ফাঁকা আসনগুলোতে কারা পাচ্ছেন মনোনয়ন?

সরকার ফারাবী: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই রাজনৈতিক অঙ্গনে বাড়ছে জোট রাজনীতি ও আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা। নির্বাচন ঘিরে বিএনপির কৌশল এখন স্পষ্ট হচ্ছে ধীরে ধীরে। দলটি ইতিমধ্যে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৩৭টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে, তবে বাকি ৬৩টি আসন ইচ্ছাকৃতভাবে ফাঁকা রাখা হয়েছে।

কৌশলগত কারণেই আসন ফাঁকা

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, এই ফাঁকা রাখা আসনগুলো মূলত তাদের আন্দোলন-সহযোগী ও জোটভুক্ত দলের নেতাদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। যারা আওয়ামী লীগবিরোধী আন্দোলনে সরব ভূমিকা পালন করেছেন এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রেখেছেন, তাদেরই এই আসনে অগ্রাধিকার দেওয়া হতে পারে।

ফখরুলের ব্যাখ্যা

বুধবার (৫ নভেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা কিছু আসন কৌশলগত কারণে ফাঁকা রেখেছি। আন্দোলনে অংশ নেওয়া সহযোগী দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে এসব আসনে প্রার্থী নির্ধারণ করা হবে।

তিনি আরও জানান, এটি শুধু রাজনৈতিক সৌজন্য নয়, বরং যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া দলগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ঐক্য রক্ষার অংশ।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিএনপির এই কৌশল দুটি উদ্দেশ্য পূরণ করবে—

১) জোটের ভেতরে সমন্বয় বজায় রাখা,

২) একাধিক প্রার্থী থাকা আসনগুলোতে অগ্রাধিকার যাচাই করে কোন্দল এড়ানো।

এতে দলীয় শৃঙ্খলা বজায় থাকবে এবং জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা থাকা প্রার্থীদের চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন দেওয়া সহজ হবে।

যেসব দল অগ্রাধিকার পেতে পারে

সূত্র জানায়, বিএনপি ফাঁকা রাখা ৬৩ আসনের মধ্যে বেশ কিছু আসন এলডিপি (LDP), গণতন্ত্র মঞ্চ, গণঅধিকার পরিষদ, গণফোরাম, ১২ দলীয় জোট, সমমনা জোট, এবং বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি)-এর নেতাদের জন্য বরাদ্দ রাখছে।

দলটির কৌশল অনুযায়ী, নির্বাচনের ঘনিষ্ঠ সময়ে সমঝোতা চূড়ান্ত করে একক প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে ভোট বিভাজন এড়িয়ে কার্যকর বিরোধী ঐক্য গঠন সম্ভব হয়।

বিভিন্ন সূত্র ও আলোচনা অনুযায়ী, বিএনপির সমর্থন পেতে পারেন এমন কয়েকজন আলোচিত জোট নেতার নাম ও সম্ভাব্য আসন:

এই আসনগুলো জোটগতভাবে কার দখলে যাবে, তা এখন রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার প্রধান বিষয়।