১৩ কোম্পানির শেয়ারে কমেছে বিদেশি বিনিয়োগ

হাসান মাহমুদ ফারাবী: গত সেপ্টেম্বর, ২০২৫ মাসে ০.১০ শতাংশের বেশি বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ১৩ কোম্পানিতে। কোম্পানিগুলো হলো- বিএটিবিসি, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস, ঢাকা ডাইং, ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংক, আইডিএলসি, ইনটেক অনলাইন, যমুনা ব্যাংক, লিন্ডে বিডি, মবিল যমুনা (এমজেএল বিডি), অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, রিংশাইন, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট (সাপোর্ট) এবং স্কয়ার ফার্মা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বিএটিবিসি-বৃটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকো

বিএটিসিরি শেয়ার সংখ্যা ৫৪ কোটি এবং পরিশোধিত মূলধন ৫৪০ কোটি টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে আগস্ট মাসে ছিল ৩.৫৫ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.১২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩.৪৩ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে বাকি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ৭২.৯১ শতাংশ, সরকারের কাছে ০.৬৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে সর্বোচ্চ ১৪.৪১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৮.৬১ শতাংশ শেয়ার।

সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ডিভিডেন্ড দিয়েছে ৩০০ শতাংশ ক্যাশ।

বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস

বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলসের শেয়ার সংখ্যা ১৮ কোটি ৭০ লাখ ৩৮ হাজার ৮৪৩টি এবং পরিশোধিত মূলধন ১৭০ কোটি ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে আগস্ট মাসে ছিল ১.২২ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.৭৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ০.৪৫ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে সরকারের কাছে ৭৬.৯৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে সর্বোচ্চ ১৫.৫৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৭.০৯ শতাংশ শেয়ার।

সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ডিভিডেন্ড দিয়েছে ৪০ শতাংশ ক্যাশ।

ঢাকা ডাইং

ঢাকা ডাইংয়ের শেয়ার সংখ্যা ৮ কোটি ৭১ লাখ ৫৩ হাজার ৪৫৩টি এবং পরিশোধিত মূলধন ৮৭ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। মোট শেয়ারের মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে আগস্ট মাসে ছিল ০.১৮ শতাংশ শেয়ার, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.১০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ০.০৮ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে বাকি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩০.১০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে সর্বোচ্চ ১৭.৯৬ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫১.৮৬ শতাংশ শেয়ার।

সর্বশেষ ৩০ জুন ২০২২ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ডিভিডেন্ড দিয়েছে ০.২৫ শতাংশ ক্যাশ।

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার সংখ্যা ১২০ কোটি ৮১ লাখ ৩৯ হাজার ৩৭৯টি এবং পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ২০৮ কোটি ১৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। মোট শেয়ারের মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে আগস্ট মাসে ছিল ০.৪৪ শতাংশ শেয়ার, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.১৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ০.২৭ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে বাকি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৫.৯০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে সর্বোচ্চ ২৮.৭০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬৫.১৩ শতাংশ শেয়ার।

সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ডিভিডেন্ড দেয়নি।

আইডিএলসি ফাইন্যান্স

আইডিএলসি ফাইন্যান্সের শেয়ার সংখ্যা ৪৩ কোটি ৬৪ লাখ ৮৩ হাজার ৪০৯টি এবং পরিশোধিত মূলধন ৪৩৬ কোটি ৪৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা। মোট শেয়ারের মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে আগস্ট মাসে ছিল ১.৭২ শতাংশ শেয়ার, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.৬১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১.১১ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে বাকি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৫৬.৬৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে সর্বোচ্চ ২৮.২৬ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৩.৯৭ শতাংশ শেয়ার।

সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ ক্যাশ ও ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

ইনটেক অনলাইন

ইনটেকের শেয়ার সংখ্যা ৩ কোটি ১৩ লাখ ২১ হাজার ২২৬টি এবং পরিশোধিত মূলধন ৩১ কোটি ৩২ লাখ ১০ হাজার টাকা। মোট শেয়ারের মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে আগস্ট মাসে শেয়ার ছিল ০.২২ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.১৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ০.০৮ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে বাকি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩০.০০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে সর্বোচ্চ ১৭.০৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫২.৮৫ শতাংশ শেয়ার।

সর্বশেষ ৩০ জুন, ২০২০ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ডিভিডেন্ড দিয়েছে ০.২০ শতাংশ ক্যাশ।

যমুনা ব্যাংক

যমুনা ব্যাংকের শেয়ার সংখ্যা ৯৩ কোটি ৯৩ লাখ ৩৭ হাজার ৬৩০টি এবং পরিশোধিত মূলধন ৯৩৯ কোটি ৩৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা। মোট শেয়ারের মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে আগস্ট মাসে ছিল ০.২৫ শতাংশ শেয়ার, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.১২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ০.১৩ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে বাকি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৪০.৯৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে সর্বোচ্চ ৩.৫৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫৫.৩২ শতাংশ শেয়ার।

সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ১৭.৫০ শতাংশ ক্যাশ ও ৬.৫০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

লিন্ডে বিডি

লিন্ডে বিডির শেয়ার সংখ্যা ১ কোটি ৫২ লাখ ১৮ হাজার ২৮০টি এবং পরিশোধিত মূলধন ১৫ কোটি ২১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। মোট শেয়ারের মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে আগস্ট মাসে ছিল ০.৬০ শতাংশ শেয়ার, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.১০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ০.৫০ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে বাকি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৬০.০০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে সর্বোচ্চ ২২.২০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৭.৩০ শতাংশ শেয়ার।

সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ৪৫০০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে।

এমজেএল বিডি

এমজেএল বিডির শেয়ার সংখ্যা ৩১ কোটি ৬৭ লাখ ৫২ হাজার ২৭টি এবং পরিশোধিত মূলধন ৩১৬ কোটি ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। মোট শেয়ারের মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে আগস্ট মাসে শেয়ার ছিল ১.৯৬ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.৯৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ০.৯৯ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে বাকি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৭১.৫২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে সর্বোচ্চ ২০.৯৯ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬.৫০ শতাংশ শেয়ার।

সর্বশেষ ৩০ জুন, ২০২৫ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ডিভিডেন্ড দিয়েছে ৫২ শতাংশ ক্যাশ।

অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ

অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার সংখ্যা ১৯ কোটি ৯৯ লাখ ৩৮ হাজার ৮৮৬টি এবং পরিশোধিত মূলধন ১৯৯ কোটি ৯৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। মোট শেয়ারের মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে আগস্ট মাসে শেয়ার ছিল ৩৩.৪২ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.৩৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৩.০৭ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে বাকি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩২.৩৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে সর্বোচ্চ ২১.৪৮ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৩.০৭ শতাংশ শেয়ার।

সর্বশেষ ৩০ জুন, ২০২৫ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ডিভিডেন্ড দিয়েছে ৩০ শতাংশ ক্যাশ।

রিংশাইন টেক্সটাইল

রিংশাইন টেক্সটাইলের শেয়ার সংখ্যা ৫০ কোটি ৩ লাখ ১৩ হাজার ৪৩টি এবং পরিশোধিত মূলধন ৫০০ কোটি ৩১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। মোট শেয়ারের মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে আগস্ট মাসে শেয়ার ছিল ০.৬৪ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.৬৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ০.০০ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে বাকি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩৬.৪৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে সর্বোচ্চ ৫.৫১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫৮.০৩ শতাংশ শেয়ার।

সর্বশেষ ৩০ জুন, ২০১৯ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ডিভিডেন্ড দিয়েছে ১৫ শতাংশ স্টক।

সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট

সামিট অ্যালায়েন্স পোর্টের (সাপোর্ট) শেয়ার সংখ্যা ২৩ কোটি ৬৮ লাখ ৬৭ হাজার ১২৩টি এবং পরিশোধিত মূলধন ২৩৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা। মোট শেয়ারের মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে আগস্ট মাসে শেয়ার ছিল ৪.০৬ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.২০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩.৮৬ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে বাকি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৫৯.০০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে সর্বোচ্চ ১১.১০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৬.০৪ শতাংশ শেয়ার।

সর্বশেষ ৩০ জুন, ২০২৪ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ডিভিডেন্ড দিয়েছে ১৫ শতাংশ ক্যাশ। ৩০ জুন, ২০২৫ অর্থবছরের জন্য ০৬ নভেম্বর ঘোষণা করার বৈঠক রয়েছে।

স্কয়ার ফার্মা

স্কয়ার ফার্মার শেয়ার সংখ্যা ৮৮ কোটি ৬৪ লাখ ৫১ হাজার ১০টি এবং পরিশোধিত মূলধন ৮৮৬ কোটি ৪৫ লাখ ১০ হাজার টাকা। মোট শেয়ারের মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে আগস্ট মাসে শেয়ার ছিল ১৫.২৪ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে ০.১০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৫.১৪ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে বাকি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৪৩.৫৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে সর্বোচ্চ ১৪.৪৬ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৬.৮১ শতাংশ শেয়ার।

সর্বশেষ ৩০ জুন, ২০২৫ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ডিভিডেন্ড দিয়েছে ১২০ শতাংশ ক্যাশ।

এসএ /খান