ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২

নারীর কর্মসংস্থান বাড়াতে ডে-কেয়ার সেন্টারের মহাপরিকল্পনা

২০২৫ অক্টোবর ৩০ ১৩:১১:২৭

নারীর কর্মসংস্থান বাড়াতে ডে-কেয়ার সেন্টারের মহাপরিকল্পনা

নিজস্ব প্রতিবেদক :বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপনের মহাপরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত পোস্টে তিনি বলেন, বিএনপির লক্ষ্য এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তোলা যেখানে কোনো নারীকে তার পরিবার বা ভবিষ্যতের মধ্যে যেকোনো একটিকে বেছে নিতে হবে না।

তিনি ব্যাখ্যা করেন, যখন কোনো তরুণী মা পর্যাপ্ত শিশু পরিচর্যার সুযোগ না পেয়ে চাকরি বা পড়াশোনা ছেড়ে দেন, তখন বাংলাদেশ সম্ভাবনা, উৎপাদনশীলতা ও অগ্রগতি হারাচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য নারীর শ্রমবাজারে অংশগ্রহণ বৃদ্ধি অপরিহার্য। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পুরুষদের ৮০ শতাংশের বিপরীতে নারীদের মাত্র ৪৩ শতাংশ কর্মজীবী।

এই কারণেই বিএনপি সারাদেশে শিশু পরিচর্যা (চাইল্ড কেয়ার) এবং ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। পরিকল্পনায় রয়েছে—সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপন, সরকারি অফিসগুলোতে ধাপে ধাপে ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপনের জাতীয় পরিকল্পনা, শিশু পরিচর্যার সুবিধা প্রদানকারী নিয়োগকর্তাদের কর ছাড় ও সিএসআর ক্রেডিট, এবং নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মান অনুযায়ী কেয়ারগিভারদের প্রশিক্ষণ ও সার্টিফিকেশন প্রদান।

তারেক রহমান বলেন, শিশু পরিচর্যা নারীদের কর্মসংস্থান বাড়াতে, পারিবারিক আয় বৃদ্ধি করতে এবং জিডিপিতে ১ শতাংশ অবদান রাখতে পারে। তৈরি পোশাক শিল্পে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ শ্রমিক নারী হওয়ায় কর্মজীবী মায়েদের অবদান গুরুত্বপূর্ন। আন্তর্জাতিক গবেষণা দেখিয়েছে, শিশু পরিচর্যার সুবিধা থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মী ধরে রাখার হার বেশি, অনুপস্থিতি কম এবং খরচ এক বছরের মধ্যে পূরণ হয়।

তিনি আরও বলেন, শিশু পরিচর্যা দয়া নয়, এটি সামাজিক-অর্থনৈতিক অবকাঠামোর অপরিহার্য অংশ। ডে-কেয়ার সেন্টার নারীদের কর্মজীবনের সাফল্যের সঙ্গে সংযুক্ত করে। বিএনপির দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট: ২০৩৪ সালের মধ্যে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ট্রিলিয়ন-ডলারের অর্থনীতি গড়ে তোলা, যেখানে প্রতিটি নাগরিক, বিশেষ করে নারী, দেশের প্রবৃদ্ধিতে গর্বের সঙ্গে অবদান রাখবে।

তারেক রহমান বলেন, শিশু পরিচর্যা, সমান মজুরি এবং কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন শুধু ন্যায়সংগত নয়, এটি বুদ্ধিবৃত্তিক অর্থনীতির জন্যও অপরিহার্য। তিনি দেশের সকলকে আহ্বান জানান, এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে যেখানে প্রতিটি কর্মজীবী মা ও প্রতিটি ছাত্রী তার স্বতন্ত্র সাফল্যের অধিকার পাবে এবং সমাজের যত্ন ও সহযোগিতা অগ্রগতির ভিত্তি হিসেবে স্বীকৃতি পাবে।

ডুয়া/নয়ন

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত