ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৩ কার্তিক ১৪৩২

গম আমদানি নিয়ে বিভ্রান্তি, সঠিক তথ্য জানালো খাদ্য মন্ত্রণালয়

২০২৫ অক্টোবর ২৮ ১১:৫৪:১২

গম আমদানি নিয়ে বিভ্রান্তি, সঠিক তথ্য জানালো খাদ্য মন্ত্রণালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক: খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম আমদানি প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের অনিয়ম, অতিরিক্ত দাম বা বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়নি। মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় জানায়, সম্প্রতি এক জাতীয় দৈনিকে ‘চুক্তির কারণে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের গম কিনছে বাংলাদেশ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে সরকার থেকে সরকার (জি-টু-জি) পদ্ধতিতে গম আমদানির প্রক্রিয়া নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রণালয় বলেছে, ওই প্রতিবেদনের তথ্য পাঠকদের বিভ্রান্ত করতে পারে। তাই বিষয়টির সঠিক তথ্য প্রকাশ করা প্রয়োজন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আওতায় জি-টু-জি পদ্ধতিতে গম আমদানি করা হচ্ছে।

প্রথম ধাপে ২ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন গম প্রতি টন ৩০২.৭৫ মার্কিন ডলার দরে আমদানির চুক্তি হয়।

পরে দ্বিতীয় ধাপে একই পরিমাণ গম প্রতি টন ৩০৮ মার্কিন ডলার দরে ক্রয় চুক্তি সম্পন্ন হয়।

মন্ত্রণালয় জানায়, প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের গমের দাম রাশিয়ার গমের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর। যুক্তরাষ্ট্রের গমের মূল্যে চট্টগ্রাম ও মোংলা সাইলো পর্যন্ত পরিবহন, বীমা, আনলোডিং ও বন্দরভিত্তিক খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকে, কিন্তু রাশিয়ার মূল্যে কেবল দেশটির বন্দর পর্যন্ত খরচ হিসাব করা হয়।

বাস্তব তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে রাশিয়ার গমের আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য প্রতি মেট্রিক টন প্রায় ২৩২ মার্কিন ডলার, এবং যুক্তরাষ্ট্রের গমের দাম প্রায় ২৩৪ মার্কিন ডলার—অর্থাৎ পার্থক্য মাত্র ২ ডলার।

খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের গমের মান ও পুষ্টিগুণ রাশিয়ার গমের চেয়ে উন্নত। রাশিয়ার গমে গড়ে ১১ শতাংশ প্রোটিন থাকে, তবে যুক্তরাষ্ট্রের গমে ১৩.৫ শতাংশ প্রোটিন, যা মান এবং পুষ্টির দিক থেকে আরও উত্তম। উন্নত মান, প্রোটিনের উচ্চমাত্রা এবং আন্তর্জাতিক পরিবহণ ব্যয় বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রের গমের দাম কিছুটা বেশি হওয়া যুক্তিসঙ্গত ও বাজার সম্মত।

খাদ্য মন্ত্রণালয় স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে জি-টু-জি পদ্ধতিতে গম আমদানির পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে স্বচ্ছ, প্রতিযোগিতামূলক এবং সরকার অনুমোদিত আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে।

কেএমএ

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত