ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ৯ কার্তিক ১৪৩২
শেয়ারবাজারে পজিটিভ মোমেন্টাম, দুই খাতে বিশেষ নজর
মোবারক হোসেন
রিপোর্টার
মোবারক হোসেন: টানা দুই সপ্তাহের নেতিবাচক প্রবণতা কাটিয়ে বিদায়ী সপ্তাহে শেয়ারবাজারের প্রধান সূচক আংশিকভাবে পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। এই সপ্তাহে বাজারে ব্যাপক উত্থান-পতন লক্ষ্য করা গেলেও, উল্লেখযোগ্য দরপতনের পর বিনিয়োগকারীরা তুলনামূলকভাবে কম দামে শেয়ার কেনার সুযোগ নিতে আগ্রহী হওয়ায় এই পজিটিভ মোমেন্টাম ফিরে আসে। যদিও সূচকের উত্থান ঘটেছে, তবে বাজারের তারল্য বা গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল নিম্নমুখী। ইবিএল-এর সাপ্তাাহিক বাজার পর্যালোচনায় এমন তথ্য প্রকাশ করেছে।
ইবিএল জানায়, সপ্তাহের প্রথম দিকে বাজার বিক্রয়চাপের মুখে ছিল। নিয়ন্ত্রক সংস্থা কর্তৃক নতুন মার্জিন বিধিমালা, ২০২৫-এর অনুমোদনের মতো গুরুত্বপূর্ণ আইনি সংস্কার ব্যবস্থার কারণে বিনিয়োগকারীরা কিছুটা সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। নতুন মার্জিন বিধিমালা অতিসত্বর গেজেটে প্রকাশের মাধ্যমে কার্যকর হওয়ার কথা, যদিও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) জানিয়েছে যে এর কার্যকরের পরও ন্যূনতম ৬ মাস থেকে ১ বছর সময় থাকবে প্রয়োজনীয় সমন্বয়ের জন্য। এমন পরিস্থিতিতে প্রথম দিকে প্রধান সূচকটি নিম্নমুখী থাকলেও, সপ্তাহের শেষভাগে নতুন করে শক্তিশালী ক্রয়চাপের উদ্ভব হয়। মূলত বিভিন্ন কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন এবং ডিভিডেন্ড ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে বিনিয়োগকারীরা নির্দিষ্ট কিছু শেয়ারকে আকর্ষণীয় মনে করে সেগুলোর দিকে ঝুঁকতে শুরু করেন। এরফলে, প্রধান সূচকটি তার টানা দুই সপ্তাহের পতনের ধারা ভেঙে আংশিক পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
সপ্তাহ শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩০.৫০ পয়েন্ট বা ০.৬ শতাংশ বেড়ে ৫ হাজার ১৫০ পয়েন্টে স্থির হয়েছে। তবে, এই সূচক বৃদ্ধির উল্টো চিত্র দেখা গেছে বাজারের তারল্যে। এই সপ্তাহে গড় বাজার লেনদেন বা টার্নওভার ১৮.১০ শতাংশ কমে মাত্র ৪ হাজার ২৭৭ মিলিয়ন টাকায় নেমে আসে, যা বাজারের দুর্বল তারল্যের ইঙ্গিত দেয়। অর্থাৎ, কিছু নির্দিষ্ট শেয়ারে ক্রয়চাপ বাড়লেও, সামগ্রিকভাবে বাজারে শেয়ার কেনা-বেচার গতি ছিল মন্থর।
বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তা এবং লেনদেনের ভিত্তিতে এবারও খাতভিত্তিক চিত্রে মিশ্র পারফরম্যান্স দেখা গেছে। এই সপ্তাহে প্রধানত ওষুধ ও রসায়ন খাতে (১৩.১০ শতাংশ) সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তা ছিল, যা মোট লেনদেনের উল্লেখযোগ্য অংশ। এরপর প্রকৌশল খাত (১০.২ শতাংশ) এবং সাধারণ বীমা খাত (১০ শতাংশ) ছিল সক্রিয়তার দিক থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে।
খাতগুলোর পারফরম্যান্সের দিকে তাকালে দেখা যায়, সিমেন্ট খাত ৩.৪ শতাংশ বৃদ্ধি নিয়ে সর্বোচ্চ লাভজনক খাত হিসেবে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, সাধারণ বীমা খাত ৫.৯ শতাংশ দরপতন নিয়ে এই সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত খাতে পরিণত হয়েছে।
এএসএম/
শেয়ারবাজারের বিশ্লেষণ ও ইনসাইড স্টোরি পেতে আমাদের পেজ ফলো করুন।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- খেলোয়াড়দের নিয়ন্ত্রণে শেয়ারবাজার, অসহায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে কেডিএস এক্সেসরিজ
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে মুন্নু ফেব্রিক্স
- ঘোষণা দিয়েও শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ড দেয়নি ১৭ কোম্পানি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে স্কয়ার টেক্সটাইল
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে মুন্নু এগ্রো
- শেয়ারবাজারে হাহাকার, ৮ দিনে ৪২ হাজার কোটি টাকা গায়েব!
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: খেলাটি সরাসরি দেখুন(LIVE)
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে শমরিতা হাসপাতাল
- লাফার্জহোলসিমের অন্তর্বর্তীকালিন ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব, বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান বিএসইসির
- লাফার্জ হোলসিমের উচ্চ মুনাফার 'অ্যাগ্রিগেটস' ব্যবসা
- শেয়ারবাজারের তালিকায় যুক্ত হলো আরও এক বন্ধ কোম্পানি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস
- পতন তান্ডবে শেয়ারবাজারে ছোটদের কফিনেও বড় পেরেক!