ঢাকা, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৭ কার্তিক ১৪৩২
বিএসইসি’র স্বায়ত্বশাসন চাইলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে স্থিতিশীলতা ও টেকসই উন্নয়নের জন্য গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, সততা ও সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি চর্চার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বলেন, “আমাদের মানসিকতা পাল্টাতে হবে। গণতান্ত্রিক ও সততা চর্চা করতে হবে, সামষ্টিক স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। শেয়ারবাজার নিয়ে হতাশ হওয়া যাবে না।”
একইসঙ্গে তিনি গুজব ছড়ানো বন্ধ করার আহ্বান জানান এবং জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের মতো বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকেও (বিএসইসি) কার্যকর সায়ত্বশাসনের অধিকার দিতে হবে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি’র মাল্টিপারপাস হলে অনুষ্ঠিত ‘শেয়ারবাজারের অংশীজনদের চতুর্থ মাসিক সমন্বয় সভা’তে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে শুরু হওয়া এই সভায় বিএসইসি’র চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, কমিশনারবৃন্দ, ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এবং অন্যান্য অংশীজন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ড. আনিসুজ্জামান বলেন, “বাস্তব অবস্থা বুঝে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে হবে। শেয়ারবাজারে গতিশীলতা আনতে হলে গুজবের অবসান ঘটাতে হবে।” তিনি আরও নির্দেশনা দেন, সেন্ট্রাল কাউন্টারপার্টি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিসিবিএল)-এর রেজিস্ট্রেশন ডিসেম্বরের মধ্যেই সম্পন্ন করে একে দ্রুত কার্যকর করতে হবে।
অন্যদিকে সভায় বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ শেয়ারবাজার সংস্কার ও উন্নয়নে কমিশনের চলমান উদ্যোগ তুলে ধরেন। তিনি জানান, “মার্জিন বিধিমালা ২০২৫, মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা ২০২৫ এবং পাবলিক অফার অব ইক্যুইটি সিকিউরিটিজ রুলস ২০২৫— এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিধিমালার কাজ প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।”
তিনি আশা প্রকাশ করেন, খুব দ্রুত এগুলোর গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে শেয়ারবাজারের আইনি সংস্কারে বড় অগ্রগতি অর্জিত হবে। নতুন মার্জিন বিধিমালা নিয়ে তিনি বলেন, “এটি কার্যকর করা হবে অতি শিগগিরই, তবে কোনো শঙ্কার কারণ নেই। প্রয়োজনে সমন্বয়ের জন্য ন্যূনতম ছয় মাস থেকে এক বছরের সময় রাখা হবে।”
সভায় শেয়ারবাজারের গভর্নেন্স ও স্বচ্ছতা জোরদার, সার্ভেইল্যান্স আধুনিকায়ন, সেটেলমেন্ট সময় হ্রাস, কমোডিটি এক্সচেঞ্জ ও ফিউচারস মার্কেট চালু, এবং বিএসইসি’কে স্বাধীন সংস্থা হিসেবে বিকশিত করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এছাড়া সভায় আলোচিত আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মধ্যে ছিল— মিউচুয়াল ফান্ড খাতের উন্নয়ন, নেগেটিভ ইক্যুইটির সমাধান, মার্চেন্ট ব্যাংকের কার্যপরিধি সম্প্রসারণ, রাষ্ট্রীয় ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর তালিকাভুক্তি, এবং অনিয়ম ও কারসাজি প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ।
শেষ বক্তব্যে বিএসইসি চেয়ারম্যান পুনরায় বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করে বলেন, “বিএসইসি শেয়ারবাজারের সংস্কার, সুশাসন ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষায় দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিএসইসি যা করছে, তা বিনিয়োগকারী ও শেয়ারবাজারের স্বার্থেই করছে। ”
এএসএম/
শেয়ারবাজারের বিশ্লেষণ ও ইনসাইড স্টোরি পেতে আমাদের পেজ ফলো করুন।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- খেলোয়াড়দের নিয়ন্ত্রণে শেয়ারবাজার, অসহায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে কেডিএস এক্সেসরিজ
- ঘোষণা দিয়েও শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ড দেয়নি ১৭ কোম্পানি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে স্কয়ার টেক্সটাইল
- শেয়ারবাজারে হাহাকার, ৮ দিনে ৪২ হাজার কোটি টাকা গায়েব!
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে মুন্নু এগ্রো
- লাফার্জহোলসিমের অন্তর্বর্তীকালিন ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে শমরিতা হাসপাতাল
- বস্ত্র খাতের ৮ কোম্পানিতে বেড়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব, বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান বিএসইসির
- লাফার্জ হোলসিমের উচ্চ মুনাফার 'অ্যাগ্রিগেটস' ব্যবসা
- পতন তান্ডবে শেয়ারবাজারে ছোটদের কফিনেও বড় পেরেক!
- শেয়ারবাজারে সচেতনতা বাড়াতে এবার যুক্ত হচ্ছে মাঠ প্রশাসন
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ১৭ কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে বিএসআরএম লিমিটেড