ঢাকা, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২
যে প্রমাণগুলো থাকলে দলিল ছাড়াই আপনি জমির মালিক
-1.jpeg)
সরকার ফারাবী
রিপোর্টার
.jpg)
সরকার ফারাবী: সাধারণত জমির মালিকানা প্রমাণের প্রধান নথি হিসেবে দলিলই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে ধরা হয়। তবে সাম্প্রতিক সুপ্রিম কোর্টের রায় এবং বর্তমান ভূমি ব্যবস্থাপনার প্রেক্ষাপটে নতুন একটি দিক স্পষ্ট হয়েছে দলিল হারিয়ে গেলেও বা নষ্ট হয়ে গেলেও নির্দিষ্ট কিছু প্রমাণের মাধ্যমে জমির মালিকানা আইনত প্রতিষ্ঠা করা যায়।
ভূমি বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেক সময় অগ্নিকাণ্ড, চুরি, বা পারিবারিক বিরোধের কারণে জমির দলিল হারিয়ে যেতে পারে কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে নষ্ট করে ফেলা হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত না হয়ে নিচে উল্লেখিত পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ সংগ্রহ করতে পারলে, ব্যক্তি আইনি প্রক্রিয়ায় তার জমির প্রকৃত মালিকানা প্রমাণ করতে পারবেন।
জমির মালিকানা দাবির ৫টি মূল প্রমাণ:
দলিল ছাড়াও জমির মালিকানা প্রমাণের জন্য নিম্নলিখিত পাঁচটি নথিপত্র বা প্রমাণ সবচেয়ে জরুরি সেগুলো হলো-
১) খতিয়ান (CS, SA, RS, BS ইত্যাদি): সরকার পরিচালিত জরিপ অনুযায়ী প্রস্তুতকৃত এই নথিপত্রে জমির মালিকানা, দাগ নম্বর, পরিমাণ, সীমানা, এবং খাজনার তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকে। এটি জমির ঐতিহাসিক মালিকানার প্রাথমিক ও প্রধান প্রমাণ।
২) খাজনার রশিদ (Tax Receipt): নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা পরিশোধের রশিদ জমির আইনি মালিকানার একটি বড় প্রমাণ। বর্তমানে অনলাইনেও খাজনা পরিশোধ করে রশিদ সংগ্রহ করা সম্ভব।
৩) নামজারি/খারিজ (Mutation Record): ক্রয় বা উত্তরাধিকারসূত্রে জমি পাওয়ার পর তা নিজের নামে সরকারি রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়াকে নামজারি বলা হয়। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে সরকারি খতিয়ানে বৈধভাবে মালিকের নাম উঠে আসে।
৪) ভোগদখলের প্রমাণ: কোনো ব্যক্তি বা তার পরিবার কত বছর ধরে জমিটি চাষ করছেন বা সেখানে বসবাস করছেন, সেই ব্যবহারই জমির উপর অধিকার প্রমাণ করে। আইনি ভাষায় এটিই প্রকৃত, গঠনমূলক ও যৌথ দখলের আইনি স্বীকৃতি।
৫) ডিসিআর (Duplicate Carbon Receipt): দলিল ছাড়াও নামজারির ভিত্তিতে ডিসিআর পাওয়া যায়। এটি জমির সরকারি রেকর্ডে মালিকানা পরিবর্তনের বৈধ দলিল হিসেবে কাজ করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পারিবারিকভাবে জমি আনুষ্ঠানিকভাবে বণ্টন না হলেও, যদি জমিটি পূর্বপুরুষদের দখলে থাকে এবং রেকর্ডে একাধিক ভাইয়ের নাম থাকে, তবে অন্য ভাই-বোনরা মালিকানার অধিকার হারান না। এ ধরনের ক্ষেত্রে বাটোয়ারা (বণ্টন) মামলা করে প্রত্যেকে নিজেদের আইনি অংশ আদায় করতে পারেন।
জমির মালিকানা সংক্রান্ত কাজে কেবল দলিল নয়, মালিকের জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম নিবন্ধন বা পাসপোর্ট প্রয়োজন হতে পারে। পাশাপাশি নাম সংশোধন, ধর্ম পরিবর্তন, বিবাহ বা তালাক সংক্রান্ত হলে প্রয়োজন অনুযায়ী হলফনামাও তৈরি করতে হয়, যা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা অভিজ্ঞ আইনজীবীর মাধ্যমে প্রস্তুত করা উচিত।
আইনজীবীরা জানান, দলিল না থাকলেও যদি খতিয়ান, নামজারি, ভোগদখল, খাজনা রশিদ ও ডিসিআর এই পাঁচটি প্রমাণ উপস্থাপন করা যায়, তবে ব্যক্তি আইনত জমির বৈধ মালিক হিসেবে বিবেচিত হবেন। তবে ভূমি সংক্রান্ত যেকোনো জটিলতা বা বিভ্রান্তি এড়াতে অভিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নেওয়া ও স্থানীয় ভূমি অফিস বা এসিল্যান্ড (সহকারী কমিশনার-ভূমি)-এর সঙ্গে যোগাযোগ করাই সবচেয়ে নিরাপদ পদক্ষেপ বলে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ৪০ বছরের ইতিহাসে ডিভিডেন্ডে নজির ভাঙল এপেক্স ট্যানারি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণায় রেকর্ড ভাঙ্গল লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স!
- শেয়ারবাজারে হাহাকার, ৮ দিনে ৪২ হাজার কোটি টাকা গায়েব!
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে মুন্নু এগ্রো
- একদিনে 'এ' ক্যাটাগরিতে ফিরল দুই কোম্পানি
- পতন তান্ডবে শেয়ারবাজারে ছোটদের কফিনেও বড় পেরেক!
- বস্ত্র খাতের ৮ কোম্পানিতে বেড়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ১৭ কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- মার্জিন ঋণ আতঙ্কে হঠাৎ ধস নামলো শেয়ারবাজারে!
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে বিএসআরএম লিমিটেড
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করবে তালিকাভুক্ত ৪ কোম্পানি
- শেয়ারবাজার স্থিতিশীল রাখতে এক হাজার কোটি টাকা পাচ্ছে আইসিবি
- ইপিএস প্রকাশ করেছে ৮ কোম্পানি
- ১৪ অক্টোবর: এক নজরে শেয়ারবাজারের ২০ খবর
- ১০ কোম্পানির কারণে ৩ মাস পেছনে গেল শেয়ারবাজার