ঢাকা, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২

নির্বাচনের সময় ড্রোন ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ: ইসি

২০২৫ অক্টোবর ২০ ১৪:৪৬:৫৫

নির্বাচনের সময় ড্রোন ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ: ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ড্রোন ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোট প্রক্রিয়ার গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২০ অক্টোবর) সকাল ১০টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে কমিশন সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, মহাপুলিশ পরিদর্শক বাহারুল আলম, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসার, র‌্যাব, এনএসআই, ডিজিএফআই, এনটিএমসি, সিআইডি এবং স্পেশাল ব্রাঞ্চের ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

ইসির নির্বাচনী পরিচালনা-২ অধিশাখার উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত কার্যপত্রে বলা হয়েছে, ড্রোন আধুনিক প্রযুক্তি হলেও নির্বাচনের সময় এর ব্যবহার গোপনীয়তা লঙ্ঘন, নিরাপত্তা ঝুঁকি, আইন ও বিধি লঙ্ঘন এবং ব্যক্তিগত তথ্য চুরির মতো সমস্যার কারণ হতে পারে। অননুমোদিত ড্রোন ব্যবহার ভোটকেন্দ্র ও ভোটার পর্যবেক্ষণ করে নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষুণ্ণ করতে পারে। এছাড়াও ড্রোন ব্যবহার করে বিপজ্জনক বস্তু বহন করা বা নির্বাচনী এলাকা অশান্ত করার ঝুঁকি থাকে।

কার্যপত্রে আরও বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তিন পর্যায়ে কাজ করবে। তফসিল ঘোষণার পূর্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভোটপূর্ব শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করবে। অপরাধী ও দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, অবৈধ অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হবে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা হবে। তফসিল ঘোষণা থেকে নির্বাচন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষা প্রার্থীদের নিরাপদ প্রচারণা ও ভোটদানের জন্য অপরিহার্য।

ভোটকেন্দ্র নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, আনসার, গ্রাম পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আমর্ড পুলিশ এবং সশস্ত্র বাহিনী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। ভোটগ্রহণ শেষে ৪৮ ঘণ্টা মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধে মোতায়েন থাকবে।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং নির্বাচনী তদন্ত কমিটি সংক্ষিপ্ত বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

ইসি জানিয়েছে, সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম ইতিমধ্যেই অগ্রগতি লাভ করেছে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন, ভোটকেন্দ্র নির্ধারণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চলছে। কমিশন তফসিল ঘোষণার আগে ও পরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।

ইএইচপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত