ঢাকা, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২
বেতন-ভাতা বৃদ্ধি নয়, জাতীয়করণ চায় জমিয়াতুল মোদার্রেছীন

নিজস্ব প্রতিবেদক: মাদরাসা শিক্ষকদের জাতীয়করণ ছাড়া কোনো বিকল্প নয় এমনই সুদৃঢ় অবস্থান জানিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন নেতৃবৃন্দ। তাদের মতে, বেতন-ভাতার বাড়তি হার নয়, বরং কর্মরত সব শিক্ষক-কর্মচারীর চাকরি পুরোপুরি জাতীয়করণই একমাত্র যৌক্তিক সমাধান।
বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের সবচেয়ে বড় অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, ২০১৭ সালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল সমাবেশের মধ্য দিয়ে এই দাবি জানানো হয়েছিল। তখন থেকেই এ দাবি আদায়ে ধারাবাহিক কর্মসূচি চলছে এবং দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন থামবে না।
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “আমরা কোনো শতকরা হারে বেতন-ভাতা চাই না, আমরা চাই জাতীয়করণ। শিক্ষকরা যাতে সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন।” তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই দাবি আদায় হোক আলোচনা ও শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, রাস্তায় বিশৃঙ্খলা বা দাঙ্গা সৃষ্টি করে নয়।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় সরকার চাইলেও এখনই বাড়তি বেতন-ভাতা দিতে পারবে না। তবে আগামীতে যারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসবেন, তারা ইতোমধ্যে চাকরি জাতীয়করণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তারেক রহমানকে আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে তিনি আশা প্রকাশ করেন, তখন শিক্ষকরা চেয়েও তার চেয়ে বেশি পাবেন।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর মহাখালীস্থ গাউসুল আজম কমপ্লেক্সে আয়োজিত “মাদরাসা শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষিকাদের করণীয়” শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব রুহী রহমান এবং মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক দিলরুবা খান।
বাহাউদ্দীন এইচএসসি ফলাফল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, কলেজের খারাপ ফল এক জিনিস, আর মাদরাসায় খারাপ ফলাফল আরেক জিনিস। সামনে আরও পরীক্ষা রয়েছে, কিন্তু এখনই কিছু সংগঠন আন্দোলনের নামে ক্লাস বন্ধ করে দিচ্ছে, যা শিক্ষার জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে যারা এখন রাস্তায় আন্দোলন করছে, তারা মূলত স্ট্যান্টবাজি করছে। পরিস্থিতি বুঝেও যারা শিক্ষকদের ব্যবহার করছে, তারা নিজের স্বার্থেই করছে।”
নারীদের শিক্ষা ও অগ্রগতির পক্ষে কথা বলার পাশাপাশি তিনি বলেন, “নারী শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে, তাদের বিদেশে প্রশিক্ষণের সুযোগ দিতে হবে—বিশেষ করে চীনে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।” তিনি উল্লেখ করেন, দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনের মতো উন্নত দেশগুলোর উন্নয়নে নারীদের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ, বাংলাদেশেও এমন উন্নতির জন্য শিক্ষিত নারী সমাজের বিকল্প নেই।
জমিয়াত সভাপতি বলেন, ইসলামি চিন্তা-চেতনা সমাজে বাড়ছে, তবে তা যেন সঠিক পথে পরিচালিত হয়। তিনি বলেন, “এই দেশে আজান-নামাজ থাকবে, আবার লালন উৎসবও হবে—এটাই বাংলাদেশ।”
একই অনুষ্ঠানে সংগঠনের মহাসচিব অধ্যক্ষ শাব্বীর আহমদ মোমতাজী বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের দাবি জানিয়ে আসছি। সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই দাবি আদায়ের পক্ষে আমরা।”
ইএইচপি
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বাংলাদেশ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, খেলাটি সরাসরি দেখুন (LIVE)
- ৪০ বছরের ইতিহাসে ডিভিডেন্ডে নজির ভাঙল এপেক্স ট্যানারি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণায় রেকর্ড ভাঙ্গল লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স!
- একদিনে 'এ' ক্যাটাগরিতে ফিরল দুই কোম্পানি
- বস্ত্র খাতের ৮ কোম্পানিতে বেড়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ
- মার্জিন ঋণ আতঙ্কে হঠাৎ ধস নামলো শেয়ারবাজারে!
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করবে তালিকাভুক্ত ৪ কোম্পানি
- ১৪ অক্টোবর: এক নজরে শেয়ারবাজারের ২০ খবর
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করবে তালিকাভুক্ত তিন কোম্পানি
- ১০ কোম্পানির কারণে ৩ মাস পেছনে গেল শেয়ারবাজার
- শেয়ারবাজার কি ধ্বংসের পথে? আর কত রক্তক্ষরণ?
- ইপিএস প্রকাশ করেছে ৮ কোম্পানি
- পাকিস্তান বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা: নোমান আলীর শিকার মার্করাম
- ডিভিডেন্ড ঘোষণার তারিখ জানাল ৯ কোম্পানি
- পোশাক খাতকে শেয়ারবাজারে আনতে বড় উদ্যোগ নিচ্ছে বিজিএমইএ