ঢাকা, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২

শান্তি সংলাপের আগে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াল দুই দেশ 

২০২৫ অক্টোবর ১৮ ১১:৪৭:০৪

শান্তি সংলাপের আগে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াল দুই দেশ 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দীর্ঘ উত্তেজনা ও সীমান্ত সংঘাতের পর অবশেষে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দুই শত্রুভাবাপন্ন প্রতিবেশী—পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। দোহায় আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) শুরু হতে যাওয়া শান্তি সংলাপ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকবে বলে উভয় দেশ নিশ্চিত করেছে। দুই পক্ষের এই পদক্ষেপ সীমান্ত উত্তেজনা প্রশমনের পথে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, পাকিস্তানের সরকারি প্রতিনিধি দল ইতোমধ্যে কাতারের রাজধানী দোহায় পৌঁছেছে, আর আফগান প্রতিনিধিরা শনিবার পৌঁছাবেন। তবে জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানি প্রতিনিধিরা এখনো রওনা দেননি—তারা আজই দোহা উদ্দেশে যাত্রা করবেন।

২০২১ সালের আগস্টে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর থেকেই দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ক্রমশ অবনতির দিকে যায়। পাকিস্তান-আফগানিস্তান সম্পর্কের টানাপোড়েনের মূল কারণ তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি), যাকে ইসলামাবাদ বহু বছর আগে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করেছিল। তবে কাবুলে তালেবান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর টিটিপি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ পাকিস্তানের।

আফগান সীমান্ত সংলগ্ন খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে টিটিপি ও পাকিস্তানি বাহিনীর সংঘর্ষ এখন প্রায় নিয়মিত ঘটনা। ইসলামাবাদ দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে যে, কাবুল সরকার টিটিপিকে আশ্রয় ও মদত দিচ্ছে। তবে আফগানিস্তান বারবার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

সম্প্রতি দুই দেশের উত্তেজনা চরমে ওঠে। ৯ অক্টোবর রাতে কাবুলে বিমান হামলা চালায় পাকিস্তান, যাতে নিহত হন টিটিপি নেতা নূর ওয়ালি মেহসুদ এবং সংগঠনের আরও কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় সদস্য। এর জবাবে ১১ অক্টোবর আফগান সেনারা সীমান্তবর্তী পাকিস্তানি চৌকিগুলোতে হামলা চালায়। পাল্টা জবাব দেয় পাকিস্তানও। টানা চারদিন চলা এই সংঘাতে আইএসপিআর-এর তথ্যমতে আফগান বাহিনীর ২০০ জন ও পাকিস্তানের ২৩ জন সেনা নিহত হন।

১৫ অক্টোবর উভয় পক্ষ ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়, যা শুক্রবার দুপুরে শেষ হয়। তবে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তানি বিমানবাহিনী আফগানিস্তানের কান্দাহার ও পাকতিকা প্রদেশে নতুন হামলা চালায়। এতে নিহত হয় অন্তত ৫০ জন এবং আহত দেড় শতাধিক। এই রক্তক্ষয়ী ঘটনার পরই রাতেই যুদ্ধবিরতি বাড়াতে রাজি হয় কাবুল ও ইসলামাবাদ, যাতে দোহা সংলাপের পরিবেশ অনুকূলে থাকে।

এমজে

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত

ঢাকার আকাশে উড়ছে খাবার

ঢাকার আকাশে উড়ছে খাবার

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশে খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় নতুন প্রযুক্তির সূচনা ঘটেছে। জাপানি রেস্টুরেন্ট ইজাকায়া ঢাকায় একদিনের পরীক্ষামূলক কার্যক্রমে ড্রোন ব্যবহার... বিস্তারিত