ঢাকা, রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

মালদ্বীপে প্রবাসী চার বাংলাদেশির হাতে হিউম্যান হারমনি অ্যাওয়ার্ড

২০২৫ অক্টোবর ১১ ০১:৫৭:২৫

মালদ্বীপে প্রবাসী চার বাংলাদেশির হাতে হিউম্যান হারমনি অ্যাওয়ার্ড

মানবসম্প্রীতি ও সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে চারজন মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি অর্জন করেছেন হিউম্যান হারমনি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫। মালদ্বীপে অনুষ্ঠিত এক বর্ণাঢ্য আয়োজনে তাদের হাতে এই আন্তর্জাতিক সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাতে রাজধানী মালের ভিলা ইন্টারন্যাশনাল কলেজের অডিটোরিয়ামে এশিয়ান বিজনেস পার্টনারশিপ সামিট আয়োজিত ‘হিউম্যান হারমনি কনফারেন্স অ্যান্ড অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। এবারের আসরে বাংলাদেশসহ আটটি দেশের ৪০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।

পুরস্কারপ্রাপ্ত মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা হলেন—

১) এনটিভির স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ও মালয়েশিয়া বাংলাদেশ কমিউনিটি প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি কায়সার হামিদ হান্নান,

২) ডিবিসি নিউজ ও দৈনিক কালের কণ্ঠের মালয়েশিয়া প্রতিনিধি এবং বাংলা প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক সদস্য মোহাম্মদ আলী,

৩) ব্যবসায়ী ক্যাটাগরিতে সিআইপি মো. সাহাবুদ্দিন,

৪) গ্লোবাল রিসোর্স এসডিএন বিএইচডির পরিচালক মো. মোশাররফ হোসাইন।

এছাড়া মিস স্টার্স ইউনিভার্স বিজয়ী ও মডেল অনন্যা আফরিন বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত হন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালদ্বীপের মৎস্য ও মহাসাগর সম্পদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ মুথালিব। তিনি বলেন, মানবসম্প্রীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পর্যটন ও বাণিজ্য এই পাঁচটি ক্ষেত্রই টেকসই উন্নয়নের মূল স্তম্ভ। এশিয়ার দেশগুলোকে মানবতার বন্ধন আরও দৃঢ় করতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালদ্বীপের অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আহমেদ সাঈদ মুস্তাফা, নেপালের সাবেক পর্যটনমন্ত্রী আনন্দ প্রসাদ পোখারেল, মালদ্বীপের ক্রীড়া উপমন্ত্রী হোসাইন নিহাদ এবং ইসলামিক বিষয়ক উপমন্ত্রী আব্দুল জালিল ইসমাইল।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন এশিয়ান বিজনেস পার্টনারশিপ সামিটের নির্বাহী পরিচালক গোলাম ফারুক মজনু। তিনি বলেন, বিশ্ব শান্তি ও মানবসম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় যৌথ উদ্যোগ প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক ব্যবসা ও পর্যটনকে এগিয়ে নিতে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সহজ ভিসা নীতি এখন সময়ের দাবি।

বক্তারা মানবসম্প্রীতি জোরদার, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন, পর্যটন শিল্প বিকাশ এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলাদেশিরা বলেন, এই মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আমাদের জন্য এক বিশাল গর্ব। প্রবাসে থেকে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে পারা সত্যিই আনন্দের। এই সম্মান আমাদেরকে ভবিষ্যতে মানবসম্প্রীতি ও উন্নয়ন খাতে আরও কাজ করতে অনুপ্রাণিত করবে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত