ঢাকা, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২
শেয়ারবাজারে টার্নওভার তালিকায় নতুন কোম্পানির মুখ

আবু তাহের নয়ন
সিনিয়র রিপোর্টার

আবু তাহের নয়ন: শেয়ারবাজারে নতুন টার্নওভার লিডার হিসেবে উঠে এসেছে সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি লিমিটেড। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটি স্বরণকালের মধ্যে প্রথমবারের মতো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় নেতৃত্ব দখল করেছে। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির মোট ৫৩ লাখ ৭০ হাজার ৬২৯টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যার বাজারমূল্য প্রায় ১০৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।
ডিএসই বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, দ্বিতীয় স্থানে থাকা সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেড এর চেয়ে প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে সিভিওর। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, এত বড় ব্যবধানে টার্নওভার নেতৃত্বে আসা সিভিওর জন্য একটি ব্যতিক্রমী অর্জন।
এর আগের সপ্তাহেও সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল টার্নওভার তালিকায় ছিল, তবে ছিল তালিকার একেবারে নিচের দিকে। ডিভিডেন্ড ঘোষণার পরপরই কোম্পানিটির শেয়ারে নতুন গতি লক্ষ্য করা যায়। ২৮ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটি ২০২৫ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১১ শতাংশ ক্যাশ ও ৯ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। গত বছর কোম্পানিটি দিয়েছিল ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড। অর্থাৎ, এবার কিছুটা ভালো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে তারা।
তবে বিনিয়োগকারীদের অনেকেই বলছেন, ডিভিডেন্ড ঘোষণার এই উচ্ছ্বাস সাময়িকও হতে পারে। কারণ, কোম্পানিটির ব্যবসা এখনো তেমনভাবে বিস্তৃত হয়নি এবং কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি তার মুনাফায় চাপ সৃষ্টি করতে পারে। বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করেন, ডিভিডেন্ড ঘোষণার চেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে বাজারে শেয়ার কারসাজিকারীদের সক্রিয় ভূমিকার কারণে।
ডিভিডেন্ড ঘোষণার আগের সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ার ১৫৭ টাকার নিচে লেনদেন হয়েছে। ঘোষণার পর দ্রুত তা ২১২ টাকা ৮০ পয়সায় উঠে যায়, যা এক বছরে সর্বোচ্চ দর। বৃহস্পতিবার লেনদেনের সর্বোচ্চ দর ছিল ২১৬ টাকা ৮০ পয়সা। তবে দিনশেষে ক্লোজিং হয়েছে ২১২ টাকা ৮০ পয়সায়। বিনিয়োগকারীদের একাংশের মতে, এই দরবৃদ্ধি “স্বাভাবিক উত্তেজনা” হলেও, অন্যদের মতে এটি অতিরিক্ত মূল্যায়নের ইঙ্গিত বহন করে।
তবে ইতিবাচক দিক হলো, দীর্ঘদিন পর কোম্পানিটি ২০১১ সালের পর সর্বোচ্চ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। ২০১১ সালে তারা ২৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। এতে পুরনো বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের আত্মবিশ্বাস ফিরেছে।
যদিও বাজারসংশ্লিষ্টরা সতর্ক করছেন, সাম্প্রতিক উত্থানকে স্থায়ী ধরে নেওয়া বিনিয়োগকারীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। কারণ, ডিভিডেন্ড ঘোষণার পর অনেক সময় বিনিয়োগকারীরা লাভ তুলে নেওয়ার প্রবণতায় বিক্রির চাপে দাম আবারও কমে যেতে পারে। তাই স্বল্পমেয়াদি মুনাফার আশায় নয়, বরং কোম্পানির মৌলিক শক্তি ও আর্থিক স্বচ্ছতার দিকে নজর রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
এএসএম/
শেয়ারবাজারের বিশ্লেষণ ও ইনসাইড স্টোরি পেতে আমাদের পেজ ফলো করুন।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বাংলাদেশে বনাম হংকং, খেলাটি সরাসরি দেখুন (LIVE)
- আজ বাংলাদেশ বনাম হংকং ফুটবল ম্যাচ: কখন, কোথায় ও কিভাবে লাইভ দেখবেন
- বাংলাদেশে বনাম আফগানিস্তান,খেলাটি সরাসরি দেখুন (LIVE)
- শেয়ারবাজারে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিএসইসি চেয়ারম্যানের যুগান্তকারী ঘোষণা
- বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ড, সরাসরি দেখবেন যেভাবে
- ‘জেড’ থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ফিরেছে তালিকাভুক্ত কোম্পানি
- আফগানিস্তান বনাম বাংলাদেশ, সরাসরি দেখবেন যেভাবে
- ডুবছে ওষুধের দুই কোম্পানি, বিনিয়োকারীদের কপালে চিন্তার ভাজ
- সাত কোম্পানির শেয়ারে কারসাজির গন্ধ!
- RSI এলার্ট: ১০ শেয়ারে বিপদ সংকেত
- ঢাবি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেবে জাপান, আবেদন করবেন যেভাবে
- শেয়ারবাজারের কোম্পানিতে কারসাজির গন্ধ! তদন্তে নেমেছে বিএসইসি
- উৎপাদন বন্ধ চার কোম্পানির শেয়ার নিয়ে সতর্কতা জারি
- জেডে নেমে তিন শেয়ারের ধস, বিনিয়োগকারীদের নিঃস্ব হওয়ার শঙ্কা
- মশিউর সিকিউরিটিজের গ্রাহকদের জন্য জরুরি নির্দেশনা