ঢাকা, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ আশ্বিন ১৪৩২
খাগড়াছড়িতে চলমান অস্থিরতায় ডাকসুর উদ্বেগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: খাগড়াছড়িতে সম্প্রতি এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ এবং এর পরবর্তী অস্থিতিশীল পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)
বুধবার (১ অক্টোবর) ডাকসুর জিএস এস এম ফরহাদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ইতিমধ্যেই শয়ন শীল নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু, মামলায় উল্লেখিত সময়ে তাকে বাজারে কেনাকাটা করতে দেখা যায়। এ ঘটনায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান চিকিৎসক ডা. জয়া চাকমা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, "ওই ছাত্রীর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। এমনকি সে ধর্ষণের শিকারও হয়নি।"
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিয়মতান্ত্রিক ও আইনানুগ প্রক্রিয়া না মেনে সুসংগঠিতভাবে অবরোধ, অ্যাম্বুলেন্সে হামলা, দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট, ঘরবাড়ি পোড়ানো, পর্যটক হয়রানি এবং একে জাতিগত সংঘাতের দিকে ঠেলে দেওয়া দুঃখজনক। পরবর্তীতে চলমান অস্থিরতা ও সংঘাতে আথুই মারমা, আথ্রাউ মারমা এবং তৈইচিং মারমা নামে তিনজন নাগরিক নিহত এবং বেশ কয়েকজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। ডাকসু পার্বত্য অঞ্চলে সংঘটিত হামলা, সশস্ত্র সংঘাত ও হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এ ধরনের গুরুতর অভিযোগকে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ও আইনানুগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমাধান করতে ব্যর্থ হওয়া এবং অপতৎপরতাকারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে না পারা, বসবাসরত চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা ও বাঙালীসহ সকল জনগোষ্ঠীর বেসামরিক নাগরিকদের যথাযথ নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করতে না পারা মূলত প্রশাসনের সীমাহীন অদক্ষতা ও দায়বদ্ধতার অভাবকে প্রকাশ করে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও সশস্ত্র গোষ্ঠীর অপতৎপরতা ও উস্কানি বিদ্যমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিনষ্ট করছে এবং জাতিগত সংঘাতে রূপান্তরের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, দেশের এই সংকটময় সময়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল-মতের একাধিক অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট পাহাড়ে ‘গণহত্যার’ আহ্বান জানাচ্ছেন। আমরা এ ধরনের জেনোসাইডাল মনোভাবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
বিচারের জোর দাবি জানিয়ে ডাকসু বলে, "স্বচ্ছ ও সুনির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে যদি ধর্ষণের ঘটনা প্রমাণিত হয়, তবে অপরাধীর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যদিকে, যদি প্রমাণিত হয় যে ঘটনাটি সাজানো বা পরিকল্পিতভাবে সংঘটিত হয়েছে, তবে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।"
এমজে
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- এশিয়া কাপ ২০২৫: বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান,সরাসরি দেখবেন যেভাবে
- নতুন দিগন্তে বেক্সিমকো, শেয়ারবাজারে আশার আলো
- দুই বছরের ডিভিডেন্ড পেল তালিকাভুক্ত কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- বিএসইসি-ডিএসই’র নাকের ডগায় লোকসানি শেয়ার নিয়ে কারসাজি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ৬ কোম্পানি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ইবনে সিনা ফার্মা
- চূড়ান্ত অনুমোদনের পথে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- দু্ই কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- ১৪ প্রতিষ্ঠান রদবদলে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা অন্ধকারে, বাড়ছে আতঙ্ক
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- শেয়ারবাজার নিয়ে অর্থনীতির দুই শীর্ষ নেতার কড়া সমালোচনা
- মুনাফা কমেছে জুতাশিল্পের দুই জায়ান্টের
- উদ্যোক্তা পরিচালকদের বিনিয়োগ বেড়েছে ৪ কোম্পানিতে
- আর্থিক চাপ কাটাতে ভবন বিক্রি করছে শেয়ারবাজারের দুই প্রতিষ্ঠান
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে এনভয় টেক্সটাইল