ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২
ঢাবি শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে স্মার্টকার্ড দিতে উপাচার্যকে স্মারকলিপি

ঢাবি প্রতিনিধি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে স্মার্ট কার্ড প্রদানসহ বিভিন্ন দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছেন একদল শিক্ষার্থী।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে উপাচার্যের কার্যালয়ে অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খানের হাতে এই স্মারকলিপি তুলে দেন তারা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্মার্ট পরিচয়পত্রের জন্য ৬০০ টাকা নেয়। অথচ বাজারে ১৫০-২০০ টাকায় অত্যাধুনিক কার্ড পাওয়া যায়। বিগত সাত আট বছরে এই পরিচয়পত্রের কোনো ব্যবহার দেখি নাই। অধিকন্তু এ কার্ড হারিয়ে গেলে এক হাজার টাকা জরিমানাসহ চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। আজ আমরা মাননীয় উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে স্মার্ট পরিচয়পত্রের যাবতীয় সমস্যা সমাধান করার নিমিত্তে পাঁচ দফা দাবি জানাই। মাননীয় উপাচার্য এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের থেকে গত ৮ বছর যাবত ৬০০ টাকা নিয়ে স্মার্ট পরিচয়পত্র প্রদান করে থাকে। এই ফি অত্যন্ত বেশী এবং অযৌক্তিক। বর্তমানে বাজারে ১৫০-২০০ টাকার মধ্যে অত্যাধুনিক সুবিধাসম্পন্ন চিপযুক্ত কার্ড পাওয়া যায়। অধিকন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব প্রিন্টারে পরিচয়পত্র বানানো হয়, এই প্রিন্টার একবার কিনলেই আর প্রতিবছর কিনতে হয় না। ফলে প্রতি বছর স্মার্ট পরিচয়পত্র বাবদ ৬০০ টাকা ফি নেওয়া আমরা অযৌক্তিক বলে মনে করি। আমরা মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয় তার নিজস্ব ফান্ড থেকে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে স্মার্ট পরিচয়পত্র প্রদান করা উচিত।
দ্বিতীয়ত, প্রত্যেক বছর প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের থেকে স্মার্ট পরিচয়পত্রের জন্য ফি নেওয়া হয়। অথচ সময় মত স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হয় না।
তৃতীয়ত, স্মার্ট পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে অত্যন্ত ভোগান্তিকর প্রক্রিয়ায় যেতে হয় (থানায় জিডি, বিভাগের প্রত্যয়ন, প্রশাসনিক ভবনে দরখাস্তসহ অনেক কাজ করতে হয়) এবং এক হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করতে হয়। এটি শিক্ষার্থীদের উপর নিপীড়নমূলক প্রক্রিয়া। চতুর্থত, স্মার্ট পরিচয়পত্রের মাধ্যমে লাইব্রেরি অ্যাক্সেস-মেডিকেল সুবিধাসহ নানা সুবিধা নিশ্চিত করার ছিল। তবে বিগত ৫-৬ বছরেও এই পরিচয়পত্রের কোনো ব্যবহার দেখা যায়নি। বরং হলের পরিচয়পত্র, লাইব্রেরির জন্য আলাদা পরিচয়পত্র, বিভাগের লাইব্রেরি/সেমিনারে আরেক পরিচয় পত্র, মেডিকেল সেন্টারের জন্য আলাদা বহি নিয়ে সেবা নিতে হয়। একটি ইউনিভার্সিটিতে একাধিক পরিচয়পত্রের ব্যবহার হয়রানিমূলক।
তাদের পাঁচ দফা দাবি—১। শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে স্মার্ট পরিচয়পত্র প্রদান করা হোক। এটি একেবারে সম্ভব না হলে বিদ্যমান ফি কমিয়ে এটিকে নূন্যতম পর্যায়ে এনে নির্ধারণ করা হোক। ২। প্রথম বর্ষে ক্লাস শুরুর এক সপ্তাহের মধ্যে সকল শিক্ষার্থীকে স্মার্ট পরিচয়পত্র সরবরাহ করতে হবে। ৩। স্মার্ট পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে সহজ এবং নির্বিঘ্নে শিক্ষার্থীকে নূন্যতম ফি নিয়ে পুনরায় স্মার্ট পরিচয়পত্র দিতে হবে। ৪। অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক পরিচয়পত্র বাতিল করে শুধুমাত্র স্মার্ট পরিচয়পত্রের মাধ্যমে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস থেকে সনদ-নম্বরপত্র উত্তোলন, কেন্দ্রীয় ও বিজ্ঞান লাইব্রেরি রিসোর্স অ্যাক্সেস-বিভাগের সেমিনার/লাইব্রেরির রিসোর্স অ্যাক্সেস, মেডিকেল সেন্টারের সেবা প্রাপ্তি, হল অফিস এবং নিরাপত্তা বিষয়ক বিভিন্ন যাচাই ও নিরীক্ষণ কাজে এটির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। ৫। আগামী এক মাসের মধ্যে আমাদের দাবির কতটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে সেটি আপডেট জানাতে হবে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- লাভেলোর শেয়ার কারসাজি: তিন বিও অ্যাকাউন্টের লেনদেন স্থগিত
- সরকারের সিদ্ধান্তে ডুবছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন?
- ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড কার্যকারিতায় বিএসইসির নতুন উদ্যোগ
- শেয়ারবাজারে ইতিহাস গড়লেন ‘ছাগল-কাণ্ডের’ সেই মতিউর
- একাদশে ভর্তি: চতুর্থ ধাপে আবেদনের সুযোগ
- শেয়ারবাজারে প্রতারণা ঠেকাতে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
- শেয়ারবাজারে হঠাৎ দরপতন, নেপথ্যে এনবিআরের চিঠি
- শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক মুনাফা চান? জেনে নিন ৫ মন্ত্র
- ডিভিডেন্ড বৃদ্ধির আলোচনায় জ্বালানি খাতের ১১ কোম্পানি
- আরএসআই বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত পাঁচ শেয়ারে
- মালিকানায় পরিবর্তন আসছে ইয়াকিন পলিমারের
- এক শেয়ারের জোরেই সবুজে ফিরল শেয়ারবাজার
- ডিভিডেন্ড দোলাচলে তথ্যপ্রযুক্তির ৮ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- সোনালী পেপারের কারসাজিতে জেনেক্স ইনফোসিসের পরিচালকদের জরিমানা
- চার কোম্পানির আর্থিক অনিয়মের দায়ে নিষিদ্ধ হচ্ছে ৬ নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান