ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২

সৌদি-পাকিস্তানের চুক্তিতে আইন উপদেষ্টার মন্তব্য

২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৮ ১৭:২০:৪৯

সৌদি-পাকিস্তানের চুক্তিতে আইন উপদেষ্টার মন্তব্য

নিজস্ব প্রতিবেদক: সৌদি আরব ও পাকিস্তান সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে, যা তাদের পারস্পরিক নিরাপত্তা সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করবে। দুই দেশ ঘোষণা করেছে, যে কোনো আগ্রাসনের মুখোমুখি হলে তারা যৌথভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে। এই পদক্ষেপ আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যে কৌশলগত গুরুত্ব বহন করছে।

১৭ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষরিত এই চুক্তি দুই দেশের দীর্ঘদিনের নিরাপত্তা অংশীদারিত্বকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এ চুক্তিকে স্বাগত জানান এবং উল্লেখ করেন, “সৌদি আরব বা পাকিস্তান আক্রান্ত হলে তা দুই দেশ নিজেদের ওপর ‘আগ্রাসন’ হিসেবে গণ্য করবে এবং একসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেবে। আলহামদুলিল্লাহ!”

এই প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এমন সময়ে আসে যখন উপসাগরীয় আরব দেশগুলো তাদের দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা রক্ষাকারী যুক্তরাষ্ট্রের ওপর কম নির্ভরশীল হতে শুরু করেছে। সম্প্রতি কাতারে ইসরায়েলের হামলা এই উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে।

রয়টার্সকে এক জ্যেষ্ঠ সৌদি কর্মকর্তা বলেন, চুক্তিটি কোনো নির্দিষ্ট ঘটনার প্রতিক্রিয়া নয়, বরং দুই দেশের দীর্ঘদিনের সহযোগিতাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার ফল। এটি মধ্যপ্রাচ্যের জটিল ভূরাজনীতিতে কৌশলগত সমীকরণ বদলাতে পারে।

পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখানো হয়, চুক্তি স্বাক্ষরের পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ও সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান একে অপরকে আলিঙ্গন করেছেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চুক্তিটি উভয় দেশের নিরাপত্তা জোরদার এবং অঞ্চল ও বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতিফলন। এতে যেকোনো আগ্রাসনের ক্ষেত্রে যৌথ প্রতিরোধ সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে।

এক অজ্ঞাতনামা সৌদি কর্মকর্তা বলেন, ভারত সম্পর্কের ভারসাম্যও রক্ষা করতে হবে। তবে চুক্তিটি সর্বাত্মক প্রতিরক্ষা সহযোগিতার আওতায় সব ধরনের সামরিক সহায়তা অন্তর্ভুক্ত করে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই চুক্তি শুধু দুই দেশের নিরাপত্তা জোরদার করবে না, বরং মধ্যপ্রাচ্যের কৌশলগত স্থিতিশীলতা ও আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এটি ভবিষ্যতে পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে আরও ঘনিষ্ঠ সামরিক ও কূটনৈতিক সহযোগিতার পথ প্রশস্ত করবে।

ইএইচপি

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত