ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২
এমপিও শিক্ষকদের ভাতা বৃদ্ধি চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক: শিক্ষক-কর্মচারীদের সামাজিক নিরাপত্তা ও জীবনমান বৃদ্ধির উদ্যোগে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর এমপিওভুক্ত কর্মীদের ভাতা বৃদ্ধি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তাব অনুযায়ী, বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসবভাতা বাড়ানো হলে শিক্ষকদের আর্থিক সহায়তা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে এই সংস্থানের জন্য অতিরিক্ত ৭৬৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকার প্রয়োজনীয়তা চিহ্নিত করেছেন। সম্প্রতি তিনি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের কাছে এই বিষয়ে চিঠি প্রেরণ করেছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশে প্রায় ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৬৮ জন এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারী রয়েছেন। তাদের মাসিক বাড়িভাড়া ভাতা বর্তমান এক হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে দুই হাজার টাকা করলে অতিরিক্ত প্রয়োজন হবে ৪৫৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। চিকিৎসাভাতা ৫০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকায় উন্নীত করলে ২২৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা প্রয়োজন হবে। একইভাবে উৎসবভাতা ৫০ শতাংশ থেকে ৭৫ শতাংশে উন্নীত করলে আরও ৮৪ কোটি টাকা প্রয়োজন হবে। সব মিলিয়ে সংস্থানের জন্য মোট ৭৬৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকার অতিরিক্ত অর্থ প্রয়োজন হবে।
শিক্ষা উপদেষ্টা চিঠিতে আরও উল্লেখ করেছেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ এবং তাদের পেশাদারিত্ব ও জীবনমান উন্নয়নের স্বার্থে এই ভাতা বৃদ্ধির উদ্যোগ জরুরি। এতে শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের জন্য ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
চিঠিতে শিক্ষাব্যবস্থার সামগ্রিক বৈষম্য দূর করতে বাজেট বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরা হয়েছে। অতীতে অবকাঠামো উন্নয়নে বেশি অর্থ ব্যয় হওয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীদের আর্থিক অবস্থায় বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছিল। এই বৈষম্য কমানো এবং সামাজিক মর্যাদা শক্তিশালী করার লক্ষ্যে প্রস্তাবিত ভাতা বৃদ্ধি অপরিহার্য বলে চিঠিতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আগের অনুরোধে উৎসবভাতা ২৫ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশে বৃদ্ধি করা হয়েছিল। তবে ৫০ শতাংশের ওপরে না যাওয়ায় কর্মচারীদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছিল। তাই এবার উৎসবভাতা ৭৫ শতাংশে উন্নীত করার প্রস্তাব তোলা হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট বিভাগ জানিয়েছে, প্রস্তাবিত অতিরিক্ত বরাদ্দ নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রয়োজনে সংশোধিত বাজেটে এই সংস্থান রাখা হতে পারে।
এদিকে শিক্ষকদের ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে শুধু তাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা বাড়বে না, বরং শিক্ষার মানোন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। শিক্ষকের জীবনমান উন্নত হলে তারা আরও মনোযোগী ও কার্যকরভাবে কাজ করতে পারবেন, যা সরাসরি শিক্ষার্থীদের শেখার অভিজ্ঞতা ও ফলাফলে প্রতিফলিত হবে।
ইএইচপি
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- লাভেলোর শেয়ার কারসাজি: তিন বিও অ্যাকাউন্টের লেনদেন স্থগিত
- সরকারের সিদ্ধান্তে ডুবছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন?
- ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড কার্যকারিতায় বিএসইসির নতুন উদ্যোগ
- একাদশে ভর্তি: চতুর্থ ধাপে আবেদনের সুযোগ
- শেয়ারবাজারে প্রতারণা ঠেকাতে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
- শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক মুনাফা চান? জেনে নিন ৫ মন্ত্র
- শেয়ারবাজারে ইতিহাস গড়লেন ‘ছাগল-কাণ্ডের’ সেই মতিউর
- আরএসআই বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত পাঁচ শেয়ারে
- ডিভিডেন্ড বৃদ্ধির আলোচনায় জ্বালানি খাতের ১১ কোম্পানি
- মালিকানায় পরিবর্তন আসছে ইয়াকিন পলিমারের
- এক শেয়ারের জোরেই সবুজে ফিরল শেয়ারবাজার
- ডিভিডেন্ড দোলাচলে তথ্যপ্রযুক্তির ৮ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- চার কোম্পানির আর্থিক অনিয়মের দায়ে নিষিদ্ধ হচ্ছে ৬ নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান
- শেয়ার কারসাজিতে শ্যালক–দুলাভাইর দেড় কোটি টাকা জরিমানা
- সোনালী পেপারের কারসাজিতে জেনেক্স ইনফোসিসের পরিচালকদের জরিমানা