ঢাকা, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২
প্রকৌশল পেশায় পদবি নির্ধারণে ৬ সদস্যের কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি উদ্যোগে গঠিত সুপারিশ কমিটি সম্প্রতি প্রকৌশল পেশার বিএসসি ডিগ্রিধারী ও ডিপ্লোমাধারীদের পেশাগত দাবির যৌক্তিকতা পর্যালোচনা করছে। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় দুই পক্ষের অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা শেষে কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, চলমান আন্দোলনের পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনায় যৌক্তিক সমাধানের চেষ্টা চলছে।
উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, “আজ আমরা দুই পক্ষের অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আদালতে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে পরামর্শ চাওয়ার মতো পরিস্থিতি ছিল। খুব ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আন্দোলনকারী পক্ষগুলোর দাবি কিছুটা পরস্পরবিরোধী। তাই দুপক্ষের মাঝে সেতু স্থাপন করার চেষ্টা করছি।”
সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, দুই পক্ষের প্রতিনিধিদের নিয়ে ৬ সদস্যের কমিটি গঠন করা হবে। এতে থাকবেন ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের একজন প্রতিনিধি, ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ারদের একজন শিক্ষক, আন্দোলনকারীদের একজন প্রতিনিধি। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের পক্ষে থাকবেন ইন্সটিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারের একজন প্রতিনিধি, ডিপ্লোমা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে একজন শিক্ষক ও আন্দোলনকারীদের একজন প্রতিনিধি। তারা জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের মতো কাজ করে একমত হওয়ার জন্য সুপারিশ প্রস্তুত করবেন। কমিটির রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত আন্দোলন বা রাস্তা বন্ধের কর্মসূচি দেওয়া হবে না বলে পক্ষগুলি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন।
নামের পাশে পদবী সংক্রান্ত বিষয়ে তিনটি প্রস্তাব এসেছে। এগুলো হল-
১. স্নাতক ডিগ্রিধারীরা নামের আগে 'ইঞ্জিনিয়ার' লিখবেন আর অন্যরা নামের আগে 'ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার' লিখবেন।২. আরেকটি প্রস্তাব হলো নামের আগে কেউ কিছু লিখবেন না, নামের পরে লিখবেন। ৩. আরেকটি প্রস্তাব হলো কিছুই লিখবেন না।
ডিপ্লোমা ও বিএসসি প্রকৌশলীদের কর্মসংস্থান সমস্যা সমাধানের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় শূন্য পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া অবিলম্বে শুরু করবে। সরকার আশা করছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো যেন নির্দিষ্ট অনুপাতে বিএসসি, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার এবং টেকনিশিয়ান নিয়োগ নিশ্চিত করে। উপদেষ্টা বলেন, “সরকার চায় আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান হোক। সামনে নির্বাচন আছে, তাই কোনো ধরনের জনদুর্ভোগমূলক কর্মসূচি দেওয়া যাবে না।”
সভায় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষরা।
উল্লেখ্য, সারা দেশে আট লক্ষাধিক ডিপ্লোমা প্রকৌশলী ও সাড়ে চার লক্ষাধিক পলিটেকনিক শিক্ষার্থী রয়েছেন, যারা বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ইতিমধ্যেই তাদের দাবির যৌক্তিকতা পর্যালোচনা করে সুপারিশ দেওয়ার জন্য কমিটি গঠন করেছে।
এমজে
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- লাভেলোর শেয়ার কারসাজি: তিন বিও অ্যাকাউন্টের লেনদেন স্থগিত
- সরকারের সিদ্ধান্তে ডুবছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন?
- ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড কার্যকারিতায় বিএসইসির নতুন উদ্যোগ
- শেয়ার কারসাজিতে ৫ বিনিয়োগকারীকে ১৩ কোটি টাকা জরিমানা
- একাদশে ভর্তি: চতুর্থ ধাপে আবেদনের সুযোগ
- শেয়ারবাজারে প্রতারণা ঠেকাতে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
- শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক মুনাফা চান? জেনে নিন ৫ মন্ত্র
- আরএসআই বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত পাঁচ শেয়ারে
- মালিকানায় পরিবর্তন আসছে ইয়াকিন পলিমারের
- ডিভিডেন্ড বৃদ্ধির আলোচনায় জ্বালানি খাতের ১১ কোম্পানি
- এক শেয়ারের জোরেই সবুজে ফিরল শেয়ারবাজার
- শেয়ার কারসাজিতে শ্যালক–দুলাভাইর দেড় কোটি টাকা জরিমানা
- ডিভিডেন্ড দোলাচলে তথ্যপ্রযুক্তির ৮ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- শেয়ারবাজারে প্রসারিত হচ্ছে টেকসই বিনিয়োগের নতুন দিগন্ত
- রেকর্ড ডেটে শেয়ার লেনদেন চালুর পরিকল্পনা ডিএসইর