ঢাকা, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২

প্রকৌশল পেশায় পদবি নির্ধারণে ৬ সদস্যের কমিটি

২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৭ ১৮:৩৯:৪৫

প্রকৌশল পেশায় পদবি নির্ধারণে ৬ সদস্যের কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি উদ্যোগে গঠিত সুপারিশ কমিটি সম্প্রতি প্রকৌশল পেশার বিএসসি ডিগ্রিধারী ও ডিপ্লোমাধারীদের পেশাগত দাবির যৌক্তিকতা পর্যালোচনা করছে। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় দুই পক্ষের অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা শেষে কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, চলমান আন্দোলনের পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনায় যৌক্তিক সমাধানের চেষ্টা চলছে।

উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, “আজ আমরা দুই পক্ষের অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আদালতে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে পরামর্শ চাওয়ার মতো পরিস্থিতি ছিল। খুব ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আন্দোলনকারী পক্ষগুলোর দাবি কিছুটা পরস্পরবিরোধী। তাই দুপক্ষের মাঝে সেতু স্থাপন করার চেষ্টা করছি।”

সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, দুই পক্ষের প্রতিনিধিদের নিয়ে ৬ সদস্যের কমিটি গঠন করা হবে। এতে থাকবেন ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের একজন প্রতিনিধি, ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ারদের একজন শিক্ষক, আন্দোলনকারীদের একজন প্রতিনিধি। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের পক্ষে থাকবেন ইন্সটিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারের একজন প্রতিনিধি, ডিপ্লোমা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে একজন শিক্ষক ও আন্দোলনকারীদের একজন প্রতিনিধি। তারা জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের মতো কাজ করে একমত হওয়ার জন্য সুপারিশ প্রস্তুত করবেন। কমিটির রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত আন্দোলন বা রাস্তা বন্ধের কর্মসূচি দেওয়া হবে না বলে পক্ষগুলি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন।

নামের পাশে পদবী সংক্রান্ত বিষয়ে তিনটি প্রস্তাব এসেছে। এগুলো হল-

১. স্নাতক ডিগ্রিধারীরা নামের আগে 'ইঞ্জিনিয়ার' লিখবেন আর অন্যরা নামের আগে 'ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার' লিখবেন।২. আরেকটি প্রস্তাব হলো নামের আগে কেউ কিছু লিখবেন না, নামের পরে লিখবেন। ৩. আরেকটি প্রস্তাব হলো কিছুই লিখবেন না।

ডিপ্লোমা ও বিএসসি প্রকৌশলীদের কর্মসংস্থান সমস্যা সমাধানের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় শূন্য পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া অবিলম্বে শুরু করবে। সরকার আশা করছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো যেন নির্দিষ্ট অনুপাতে বিএসসি, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার এবং টেকনিশিয়ান নিয়োগ নিশ্চিত করে। উপদেষ্টা বলেন, “সরকার চায় আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান হোক। সামনে নির্বাচন আছে, তাই কোনো ধরনের জনদুর্ভোগমূলক কর্মসূচি দেওয়া যাবে না।”

সভায় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষরা।

উল্লেখ্য, সারা দেশে আট লক্ষাধিক ডিপ্লোমা প্রকৌশলী ও সাড়ে চার লক্ষাধিক পলিটেকনিক শিক্ষার্থী রয়েছেন, যারা বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ইতিমধ্যেই তাদের দাবির যৌক্তিকতা পর্যালোচনা করে সুপারিশ দেওয়ার জন্য কমিটি গঠন করেছে।

এমজে

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত