ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২

“ঢাবিতে কারো স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হবে না”

২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৬ ১১:২৫:৩৬

“ঢাবিতে কারো স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হবে না”

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এই সাফল্য তাদের জন্য একেবারেই নতুন। নির্বাচনী ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ভিপি ও জিএস পদে বিজয়ী প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে কয়েক হাজার ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন।

শিবিরের এ জয়ের পর ক্যাম্পাসে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে নারীদের পোশাক ও সম্ভাব্য কট্টর ইসলামিক ধারা। অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, স্বাধীনতা খর্ব হতে পারে। তবে এসব আশঙ্কাকে গুরুত্ব না দিয়ে নবনির্বাচিত ভিপি সাদিক কায়েম গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “কারো স্বাধীনতায় কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।”

নারীরা নিজেদের কাঙ্ক্ষিত নেতৃত্ব শিবিরের মধ্যেই খুঁজে পেয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি মাল্টিকালচারাল প্রতিষ্ঠান। এখানে স্বাধীনতা সীমিত করার কোনো সুযোগ নেই। হিজাব কিংবা আধুনিক পোশাক—যা-ই হোক, সবার অধিকার সমান। পোশাক, প্রতীক বা ব্যক্তিগত রুচি নিয়ে কাউকে হেয় করা কিংবা হস্তক্ষেপ করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”

সাদিক কায়েম আরও জানান, নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই তাদের প্রধান অঙ্গীকার। তার ভাষায়, “দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালানো হয়েছে। কিন্তু জুলাই বিপ্লবের পর গত এক বছরে আমরা বাস্তব কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করেছি যে নারীর অধিকার ও নিরাপত্তা আমাদের অঙ্গীকার। নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ে তোলা পর্যন্ত আমরা থামব না।”

তিনি জানান, তাদের ইশতেহারে নারীদের স্বাস্থ্যসেবা, স্যানিটেশন ও আবাসন সংক্রান্ত নানা দাবি স্থান পেয়েছে। এসব সমস্যা সমাধানে পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে এবং শিগগির বাস্তবায়ন শুরু হবে।

সবশেষে বিভাজনের রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করে নবনির্বাচিত ভিপি বলেন, “আমরা কারও ‘অন্যকরণ’ করতে চাই না। হলের যেকোনো শিক্ষার্থী সমস্যায় পড়লে আমরা পাশে থাকব। আমাদের পরিচয় একটাই—আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। কাজের মাধ্যমেই আস্থা অর্জন করতে চাই।”

ইএইচপি

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত