ঢাকা, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২
অর্থনীতি চাঙ্গা করতে বন্ড ও সিকিউরিটিজ বাজার শক্তিশালী করার উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে একটি শক্তিশালী ও কার্যকর বন্ড মার্কেট গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে যৌথ উদ্যোগে একটি প্রেজেন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেছেন এই যৌথ কমিটিতে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) “Bond Market Development in Bangladesh: Challenges and Policy Recommendations” শীর্ষক প্রেজেন্টেশনটি ঢাকার মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সকালে অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, যিনি ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. মো. হাবিবুর রহমান, নুরুন নাহার, জাকির হোসেন চৌধুরী, উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, কমিশনার ফারজানা লালারুখ এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
প্রেজেন্টেশনে বাংলাদেশে বন্ড মার্কেট উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা, বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ এবং তা মোকাবিলার উপায় নিয়ে আলোচনা হয়। যৌথ কমিটি কিছু নীতিগত সুপারিশ তুলে ধরে এবং একটি সমন্বিত অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি ও বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে।
সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, জাতীয় পর্যায়ে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বৃহৎ কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর, আইডিআরএ ও বিএসইসিকে যুক্ত করে একটি সেমিনার আয়োজন করা হবে। এর মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের উৎস হিসেবে বন্ড মার্কেট ও শেয়ারবাজার ব্যবহারের বিষয়টি আরও প্রসারিত করা হবে।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, দেশের অর্থনীতিতে অতিরিক্ত ব্যাংক ঋণ নির্ভরতা ঝুঁকি তৈরি করছে। তাই বৃহৎ কোম্পানিগুলোকে ব্যাংক ঋণের পরিবর্তে বন্ড ও সিকিউরিটিজ ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহে উৎসাহিত করতে হবে। এতে একদিকে ব্যাংক খাতের চাপ কমবে, অন্যদিকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের সুযোগ বাড়বে।
একইসাথে বন্ড মার্কেটের তারল্য বৃদ্ধি ও প্রাণবন্ত বাজার প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে গত ১১ মে অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের প্রসঙ্গও আলোচনায় আসে। ওই বৈঠকে তিনি পুঁজিবাজার উন্নয়নে পাঁচটি নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে অন্যতম ছিল—বৃহৎ কোম্পানিগুলোকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের জন্য ব্যাংক ঋণের পরিবর্তে বন্ড বা শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে পুঁজি সংগ্রহে উৎসাহিত করা।
বিএসইসি জানায়, প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনার আলোকে ইতোমধ্যেই কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ এগিয়ে চলছে। তাদের প্রত্যাশা, যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে বন্ড মার্কেটকে দেশের দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের প্রধান উৎসে পরিণত করা সম্ভব হবে, যা পুঁজিবাজারসহ সামগ্রিক অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করবে।
এএসএম/
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- সরকারের সিদ্ধান্তে ডুবছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন?
- শেয়ার কারসাজিতে ৫ বিনিয়োগকারীকে ১৩ কোটি টাকা জরিমানা
- এক হাজার কোটি টাকার মামলায় শিবলী রুবাইয়াত গ্রেপ্তার
- তালিকাচ্যুতির ঝুঁকিতে অলিম্পিক এক্সেসরিজ
- শেয়ারবাজারে প্রতারণা ঠেকাতে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
- শেয়ার কারসাজিতে ১২ জনকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা
- আরএসআই বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত পাঁচ শেয়ারে
- কৃত্রিম চাপে শেয়ারবাজারে অস্থিরতা, সহসা পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা
- এক কোম্পারি অস্থিরতায় শেয়ারবাজারে তোলপাড়
- মুনাফা বাড়াতে নতুন পরিকল্পনা: ঘুরে দাঁড়াচ্ছে হাক্কানী পাল্প
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ইস্টার্ন হাউজিং
- পাঁচ কোম্পানির কারণে থমকে গেল শেয়ারবাজারের উত্থান
- ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড কার্যকারিতায় বিএসইসির নতুন উদ্যোগ
- শেয়ারবাজারে প্রসারিত হচ্ছে টেকসই বিনিয়োগের নতুন দিগন্ত
- ধস কাটিয়ে অবশেষে শেয়ারবাজারে উত্থানের স্রোত